v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-29 18:38:41    
নারী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য এশীয় মহিলা স্পীকার ও মহিলা মন্ত্রীদের আলোচনা অনুষ্ঠিত

cri

    দু'দিনব্যাপী এশীয় মহিলা স্পীকার ও মহিলা মন্ত্রী পর্যায়ের পঞ্চম সম্মেলন ২৮ নভেম্বর পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে। এবারের সম্মেলনের প্রধান প্রতিপাদ্য ছিলো " নারী ও মেয়েশিশুদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার প্রদান"। নারী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২২টি দেশের মোট ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এবারের সম্মেলনে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন।এখন শুনুন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রেকডিংভিত্তিক রিপোর্ট ।

    গঠনমূলক আলোচনার পর এবারের সম্মেলনে " পেইচিং প্রস্তাব" গৃহীত হয়। প্রস্তাবের উপস্থাপক নিউজিল্যান্ড দলের প্রধান জিল পেট্টিস আশা প্রকাশ করেন, এ প্রস্তাব বাস্তব ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন:" এ প্রস্তাব প্রণয়নে যারা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন আমি তাদের ধনবাদ জানাই। আশা করি, এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারীর দেশগুলো আরও সুষ্ঠুভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে।"

    প্রস্তাবে বলা হয়, নারী ও মেয়েশিশুদের শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে আরো সুযোগ বেশি সৃষ্টি করতে পারলে তাদের জীবনে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে তারা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এ কারণে তাদের শিক্ষাগ্রহণ ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এবারের সম্মেলনে চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান উ পাং কুও সফররত অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেছেন:" এবারের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়টি সত্যিই চমত্কার । নারী ও মেয়েশিশুদের শিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট সমস্যার ওপর বিশেষ গুরূত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ এটা হচ্ছে একটি দেশের সভ্যতা এবং সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। আমাদের লক্ষ্য হলো নারীদের অধিকার অর্জন করা এবং পুরুষ ও মহিলার মধ্যে সমতা বজায় রাখা। নারীদের গুণগত মানের উন্নতির ওপর আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচে' মৌলিক বিষয় হচ্ছে শিক্ষা সমস্যা। আমি বিশ্বাস করি, এবারের আলোচনার মাধ্যমে নারী ও মেয়েশিশুদের শিক্ষার ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিশ্চয়ই আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে মনোযোগ দেবে।"

    সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নারী রাজনীতিবিদরা সংশ্লিষ্ট তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। তারা মানে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিকূলতা সত্বেও এশীয় নারী ও মেয়েশিশুদের শিক্ষাগ্রহণের দিকটির অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে ঐতিহাসিক ,সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় কুসংস্কারের কারণে নারীদের বহুলাংশই এখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। পুরুষ ও মহিলার মধ্যে পুরোপুরি সমতা বাস্তবায়নে আরও অনেক সময় লাগবে। তবে এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য নারীদের নিরলস চেষ্টার পাশাপাশি বিভিন্ন এশীয় দেশের যৌথ প্রচেষ্টাও বিশেষভাবে প্রয়োজন।

    পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিকসমিতির মহাসচিব গিল গ্রিয়ার সম্মেলনে বলেছেন:" নারীদের উচিত আত্মবলীয়ান হওয়া। নারী স্পীকার ও মন্ত্রীরা নিজের এবং মেয়েদের অধিকার অর্জনের লক্ষে প্রচেষ্টা চালাবেন। অগুনতি নারীর ভবিষ্যত্ আমাদের এ প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত। শিশুদের দৃষ্টিতে রয়েছে তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত্ । তাদের কথা বিবেচনা করে আমাদের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনাকে সফল করে তুলতে হবে। এটি আমাদের সামনে একটি কঠোর চ্যালেন্জ।"

    বিগত পাঁচ বছরে এশীয় নারী স্পীকার ও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন "বিভিন্ন এশিয়া দেশের নারী স্পীকার ও মন্ত্রীদের সংলাপ এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। --ওয়াং হাইমান