v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-29 17:55:11    
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস

cri

    ২৫ নভেম্বর হচ্ছে জাতিসংঘের নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস।

    ১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে তিনজন নারী নির্যাতনে নিহত হয়। এ ঘটনার স্মরণে ১৯৮১ সালের জুলাই মাসে, প্রথম ল্যাটিন অ্যামেরিকার নারী-অধিকার সম্মেলনে ২৫ নভেম্বরকে নির্যাতন বিরোধি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রতি বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬দিনব্যাপী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    ১৯৯৩ সালের ২৫ নভেম্বর, জাতিসংঘ 'নারী নির্যাতন দূরীকরণ ঘোষণা' প্রকাশ করে। নারী নির্যাতন হচ্ছেঃ গণ-ব্যবহার্য স্থানে বা ব্যক্তিগত জীবনে, নারীদের প্রতি দেহ ও মন এমনকি যৌন কাজে বাধ্য করাসহ যে কোন ধরনের মানসিক চাপ সম্বলিত আচরণ।

    ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের খসড়াকে অনুমোদন করে প্রতি বছরের ২৫ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস' হিসেবে গ্রহণ করেছে।

    পরিবারিক সহিংস ঘটনা বলির অবসানে আগামী দিনগুলোয় বিশ্বের সকল দেশের মনোযোগ ও গুরুত্ব পাবে। এক তদন্তে জানা গেছে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগের নারী তাদের জীবনে হিংসাত্মক, বল প্রয়োগের দ্বারা যৌন তার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ উত্তক্তকারীই হচ্ছে তাদের পরিবারের সদস্য। পরিবারিক ক্ষেত্রে হিংসাত্মক ঘটনা হচ্ছে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। তা বিবাহ ও পরিবার থেকে নারীকে ছিন্ন করার পাশাপাশি গুরুতরভাবে নারীদের দেহ ও মনের অসুস্থতাকে নির্মূল করবে।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিবারিক হিংসাত্মক ঘটনা নির্মূল করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। পরিবারিক হিংসাত্মক ঘটনার কারণে উত্তক্তকারীকে শাস্তি দেয়ার জন্য অনেক দেশ সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা তৈরী করেছে। এর মধ্যে অনেক দেশ বিশেষ পরিবারিক হিংসাত্মক বিরুধী আইন তৈরী করেছে। কিন্তু পরিবারিক হিংসাত্মক ঘটনাবলির ব্যাপারে অনেক দেশেই এ খনো যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় নি। সুতরাং বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর প্রচেষ্টা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন ও নীতি কাঠামো কার্যকর এবং নারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ বন্ধ করে সহনশীল পরিবেশ তৈরী করা উচিত।