v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-28 18:17:43    
আনাপোলিসে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলন শুরু

cri
    যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের আনাপোলিসে গতকাল থেকে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলন শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জজ ডাব্লিও বুশ , ইসরাইলের প্রধান মন্ত্রী ওলমার্টএবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সহ ৪০টিরও বেশী দেশ ও প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্হার প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বুশ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতির সারসংক্ষেপপাঠ করেন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে দু'পক্ষের মধ্যে সাত বছর ধরে স্থগিত থাকা শান্তি আলোচনা অবিলম্বে শুরু হবে। ২০০৮ সালের শেষ নাগাদ সকল সমস্যার সমাধান করা যায় এমন একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে ওলমার্টআশা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু জনমতের ধারণা, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনা এখনও বেশি কয়েকটি অসুবিধার সম্মুখীন । এখন শুনুন আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রেকডিংভিত্তিক রিপোট ।

    বুশ বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনা শুরুর সময়কালে দু'পক্ষের উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা । তিনি বলেন,

    দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা যাতে সফল হতে পারে সে জন্য এক দিকে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের প্রতিরতাদের সদিচ্ছা প্রদর্শনের পাশাপাশি সকল ধরনের সন্ত্রাসীতত্পরতা নিরসনভাবে ফিলিস্তান , ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা উচিত। অন্য দিকে ইসরাইলের উচিত হবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া যে, তারা আলোচনার মাধ্যমে ১৯৬৭ সালের পর ফিলিস্তানের ভূভাগের ওপর থেকে তাদের দখলের অবসান ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। ইসরাইলের উচিত হবে একটি সমৃদ্ধ ও সফল ফিলিস্তিন দেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করা।

    ফিলিস্তানের প্রেসিডেন্টমাহমুদ আব্বাস ও ইসরাইলের প্রধান মন্ত্রী ওলমার্ট আলাদা আলাদাভাবে সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন। মাহমুদ আব্বাস বলেন, দু'পক্ষের শান্তিপূর্ণ উদ্যাগে দু'পক্ষের জনসাধারণের সমর্থনের প্রয়োজন। সুতরাং তিনি ইসরাইলের জনসাধারণকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, " যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী তত্পরতা অতীত হয়ে গেছে। তিনি বলেন,

    "শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা আমাদের অভিন্ন অধিকার ও স্বার্থ। এখন দু'পক্ষের মধ্যকার রক্তপাত , সহিংসতা ও দখলের অবসান ঘটানোর সময়। ভবিষ্যত সম্পর্কে আমরা আশাবাদী । এই ভূমিকে ভালবাসা ও শান্তিপূর্ণ ভূমিতে পরিণত করা উচিত।

    ইসরাইলের প্রধান মন্ত্রী ওলমার্ট সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী দেশগুলোকে ইসরাইলের অস্তিত্বের প্রতি অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,

    আমাদের মধ্যেকার আলোচনা দ্বিপাক্ষিকভিত্তিতে খোলামন দিয়ে হওয়া উচিত। ২০০৮ সালে সকল সমস্যা সমাধান করা যাবে এমন একটি শান্তি-চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য দু'পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো উচিত। আলোচনার সময় আমাদের মধ্যকার জটিল সমম্যাগুলো এড়িয়ে না দিয়ে সরাসরিভাবে সে সব বিষয়ে মোকাবেলা করা উচিত।

    দু'পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষারের পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াং চিয়ে সি বলেন, চীন ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে পৌঁছানো সমঝোতা দলিলপত্রকে স্বাগত জানায়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষ যে ইতিবাচক চেষ্টা চালিয়েছে চীন তার ভূয়সী প্রশংসা করে। তিনি বলেন, চীন সব সময় মনে করে যে , জাতি সংঘের " ভূমির বিনিময়ে শান্তি" এই মৌলিক নীতিতে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা সমাধান করা উচিত।

    জনমত অনুযায়ী, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল এখনো পুরোপুরিভাবে শান্তি বাস্তবায়নের জন্যে প্রস্তুতি হয়নি। মনে হচ্ছে ওলর্মাটের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ তীব্রতর হবে। মাহমুদ আব্বাসও হামাসের তীব্র বিরোধীতার মুখে পড়বেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এবারের শান্তি সম্মেলনে কোন লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি নাও হাতে পারে। (চিয়াং চিন ছেন)