v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-28 18:11:22    
আন্তর্জাতিক উধর্তন খাদ্য নিরাপত্তা ফোরামে পেইচিং ঘোষণা গৃহীত

cri

    আন্তর্জাতিক উধর্তন খাদ্য নিরাপত্তা ফোরাম ২৭ নভেম্বর পেইচিংয়ে শেষ হয়েছে। ফোরামে "খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত পেইচিং ঘোষণা" গৃহীত হয়েছে। ঘোষণায় বিভিন্ন দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময় জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং ফলপ্রসূ তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক উধর্তন খাদ্য নিরাপত্তা ফোরাম হচ্ছে চীনের আয়োজিত খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রথম আন্তর্জাতিক ফোরাম। প্রায় ৩০জন মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিসহ বিভিন্ন দেশের ৬০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এবারের ফোরামে উপস্থিত ছিলেন। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর সমস্যা ও জটিলতার বিষয়টি উপলব্ধি করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চীন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে এ ফোরাম আয়োজন করে। দু'দিনব্যাপী আলোচনা ও বিনিময়ের পর অবশেষে প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে "খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত পেইচিং ঘোষণা" অনুমোদন করেন।

    ঘোষণায় জোরালো ভাষায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের উচিত যথাযথভাবে খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবেলার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা এবং এ সমস্যা মোকাবেলার জন্য নানা রকম সহযোগিতা করা। চীনের জাতীয় খাদ্য মান তত্ত্বাবধান ও কোয়ারানটাইন পরীক্ষা সাধারণ ব্যুরোর মহাপরিচালক লি চাং চিয়াং বলেন, "ফোরামে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যেসব বিষয়ে বৃহত্তর মতৈক্যে পৌঁছেছে। সেগুলো হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করা এবং হাতে হাত মিলিয়ে বিরাজমান খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করা। ফোরামের সার্থকতা হচ্ছে 'পেইচিং ঘোষণা'গ্রহণ। সবাই বলেন, এই ঘোষণা আমাদের সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে কাজ করবে।"

    ঘোষণায় সকল দেশের প্রতি খাদ্য নিরাপত্তার ফলপ্রসূ তত্ত্বাবধান ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত খাদ্য উত্পাদন থেকে শুরু করে ভোগ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায় তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাধীন বিভাগ স্থাপন করা, আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সংগতি রেখে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করা, দ্রুত ও ফলপ্রসূ খাদ্য নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান নেটওয়ার্ক ও খাদ্য ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

    ঘোষণায় বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে সরকারের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। কিন্তু কেবল সরকারের ওপর নির্ভর করে তা হবে না। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী চেন চুন বলেন, "খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকারের বাস্তব দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের এই দায়িত্ব কেবল সমাজের বিভিন্ন অংশের সম্পদের ব্যাপক সমাবেশের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হতে পারে। ভোক্তাদেরকে খাদ্য নিরাপত্তা সচেতন করে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলভাবে সঙ্গে নিজেদের সুনাম ও আস্থা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, এ সব চিন্তাধারা পুরোপুরি 'পেইচিং ঘোষণায়' প্রতিফলিত হয়েছে।"

    জানা গেছে, ঘোষণায় স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে, নিরাপদ খাদ্য উত্পাদন করা হচ্ছে খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মৌলিক কর্তব্য।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক জর্গেন স্ক্লান্ট বলেন, "অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা একমত যে, খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সমস্যা। শিল্পোন্নত দেশ হোক, উন্নয়নশীল দেশ হোক, সব দেশেই এ সমস্যা আছে। দেশভেদে হয়তো খাদ্য নিরাপত্তা সমস্যা কম বা বেশি, তবে তা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা। 'পেইচিং ঘোষণা' সেই উপায় খোঁজার পথটিই দেখিয়ে দিয়েছে।" (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)