** ওয়েন চিয়া পাও-এর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বৈঠক
২১ নভেম্বর সিংগাপুরে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও'এর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বৈঠক করেছেন । দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সীমান্ত ইস্যু নিয়ে মত বিনিময় করেন ।
ওয়েন চিয়াপাও বলেন,চীন ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ১০টি কৌশল ত্বরান্বিত করবে এবং চীন-ভারত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেবে । মনমোহন সিং বলেন, ভারত এবং চীন পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয় বরং বন্ধু এবং অংশীদার দুটি দেশ । ভারত কৌশলগত ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে ।
সীমান্ত ইস্যু প্রসঙ্গে ওয়েন চিয়া পাও বলেন, দু'পক্ষ ঐতিহাসিক সীমান্ত সমস্যা সমাধান করার ব্যাপারে আন্তরিক ও সিদ্ধান্তে অটল থাকায় চীন সন্তুষ্ট । তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধানে গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব খুঁজে বের করা সম্ভব হবে ।
মনমোহন সিং বলেন, দু'দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হল ভারত সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ।ভারত দু'পক্ষের রাজনৈতিক নীতি অনুযায়ী চীনের সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে সীমান্ত আলোচনার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে ।
** চীন-ভারত মৈত্রী সমিতির অনুষ্ঠান পেইচিংয়ে শুরু
চীন - ভারত মৈত্রী সমিতি প্রতিষ্ঠার ৫৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২২ নভেম্বর পেইচিংয়ে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে ।
চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চীন-ভারত মৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান চিয়াং চেং হুয়া অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণে বলেন, চীন ও ভারত সুপ্রতিবেশী ও ঐতিহ্যিবাহী বন্ধু দেশ । গত বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সফলভাবে ভারত সফর করেছিলেন এবং দু'দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এক নতুন স্তরে এগিয়ে নিয়েছিলেন । চীন-ভারত মৈত্রী সমিতি হল দু'দেশের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম কূটনৈতিক সংস্থা। সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক ইতিবাচক বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে । দু'দেশের জনগণের মৈত্রী ত্বরান্বিত এবং দু'দেশের বেসরকারী পর্যায়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এ সমিতি ।
চীন-ভারত মৈত্রী সমিতি ১৯৫২ সালের মে মাসে পেইচিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় । এর উদ্দেশ্য হল দু'দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রী জোরদার করা, রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দু'দেশের বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়ানো ।
** পাক -ভারত সীমান্ত অঞ্চলে ভারতের সামরিক মহড়া
২১ নভেম্বর 'টাইমস অফ ইনডিয়া' পত্রিকার এক খবরে জানা গেছে, ভারতের স্থলবাহিনী পাক-ভারত সীমান্ত অঞ্চলে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ।
জানা গেছে, মহড়ায় তিনটি পদাতিক ডিভিশন, একটি সাঁজোয়া ব্রিগেড এবং একটি গোলন্দাজ ব্রিগেড অংশ নেয় । মহড়া অঞ্চলটি হচ্ছে ফাজিলকা এবং বিকানের । এবারের মহড়া ২৭ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা । পত্রিকার খবরে অবশ্য মহড়া শুরু তারিখ জানানো হয় নি ।
খবরে আরও বলা হয়, ২১ নভেম্বর ভারতের স্থল , বিমান ও নৌ বাহিনী এবং উপকূলীয় পুলিশ কুছ উপকূলে সামরিক মহড়া চালায় ।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির অঞ্চলে ভারত এবং বৃটেনের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদ জানায় ।
** ভারতের উত্তর প্রদেশে উপর্যুপরি বোমা ৭৩ জন হতাহত
২৪ নভেম্বর ভারতের তথ্য মাধ্যমগুলো থেকে জানা গেছে , ভারতের উত্তর প্রদেশে ৩টি শহরে ২৩ নভেম্বর বিকালে কাছাকাছি সময়ে বোমা বিস্ফোরণে ৭৩ জন হতাহত হয়েছে। একটি খবরে জানা গেছে, উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ ও অন্য দু'টো শহর বারানসি ও ফৈজাবাদে আধা ঘন্টার ব্যবধান ছটি বিস্ফোরণ ঘটে। তিন মিনিটের মধ্যে তিনটি বোমা বারানসির দেওয়ানী আদালত প্রাঙ্গনে বিস্ফোরিত হয়। এতে ৯জন নিহত এবং বাকী ৩৫জন আহত হয়। কয়েক মিনিটের মাথায় আরোও দুটি বোমা ফৈজাবাদ শহরের আদালত প্রাঙ্গনে বিস্ফোরিত হয়। এখানে ৪জন নিহত ও ২৫জন আহত হয়। ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিং এই বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সারা ভারতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
** কমনওয়েলথে পাকিস্তানের সদস্য পদ স্থগিত
২২ নভেম্বর মধ্য রাতে উগানডার রাজধানী কামপালায় ব্রিটিশ কমলওয়েলথ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ কমলওয়েলথের পাকিস্তানের সদস্যপদ স্থগিত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের বতর্মান পরিস্থিতি ব্রিটিশ কমলওয়েলথের মৌলিক রাজনৈতিক নীতির পরিপন্থী এবং পাকিস্তান সরকার ব্রিটিশ কমলওয়েলথের মন্ত্রী পর্যায়ের কার্যগ্রুপের অনুরোধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় এই গ্রুপ তার সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১২ নভেম্বর এই গ্রুপ এক বিবৃতিতে পারভেজ মোশাররফকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও সেনা প্রধানের পদ ছেড়ে দেয়ার শর্ত দিয়েছিল। এই শর্ত পালন না করলে ব্রিটিশ কমলওয়েলথে পাকিস্তানের সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল।
২৩ নভেম্বর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা না করে কমনওয়েলথে তার সদস্যপদ স্থগিত করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কমনওয়েলথের মন্ত্রী পর্যায়ের কার্য গ্রুপের পাকিস্তানের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য । পাকিস্তান সরকার তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং এ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করবে ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সরকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে । জরুরি অবস্থা জারি করার উদ্দেশ্য ছিল দেশের গুরুতর সংকট এড়ানো । এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে । পাকিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি কোনো বিদেশী শক্তির অবাস্তব দাবির ওপর নয় বাস্তব অবস্থার ওপর নির্ভর করছে ।
|