v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-26 16:58:35    
মধ্য-প্রাচ্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে অগ্রগতির সম্ভাবনা কতটুকু

cri
    মধ্য-প্রাচ্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানাপোলিসে শুরু হবে । ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস , ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনি ২৪ ও ২৫ নভেম্বরে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন । জানা গেছে, দু'পক্ষের নেতারা ২৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আন্যাপোলিসে অনুষ্ঠেয় মধ্য-প্রাচ্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে অংশ নেবেন ।

    বুশ সরকারের কার্যমেয়াদ শেষ হতে বাকি আর এক বছর দুই মাস । এর আগেই এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য তারা অনেক চেষ্টা চালিয়ে এসেছে । বুশ আশা করেন, এবারের সম্মেলন ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করাকে ত্বরান্বিত করবে এবং ইরাকে অচলাবস্থার কারণে তাঁর যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে তা খানিকটা পুনরুদ্ধার হবে । এভাবে মধ্য-প্রাচ্য নীতির কারণে বুশ স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাইছেন । বিভিন্ন পক্ষ অবশ্য সম্মেলনের ফলাফলের ব্যাপারে তেমন আশাবাদী নয় । এখনো পর্যন্ত ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো চুক্তি বা বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়নি । ২৫ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কনডোলিত্সা রাইস সক্রিয়ভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি আহমেদ কুরি এবং ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনি'র সঙ্গে তৃপক্ষীয় বৈঠক করেন । রাইস দু'পক্ষকে যৌথ বিবৃতি দেয়ার জন্য উত্সাহ দেন । কিন্তু তা হয় নি । এ থেকে বোঝা যায়, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে মতভেদ কত বেশি ।

    বর্তমানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো মনে করে, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের বৈঠক আন্তর্জাতিক মধ্য-প্রাচ্য শান্তি সম্মেলনে বিরাট অগ্রগতির জন্য সুখবর তৈরী করতে পারে নি এবং এতোকম সময়ের মধ্যে অগ্রগতি অর্জনের সম্ভাবনাও তেমন একটা নেই । ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের কর্মকর্তারা সম্মেলনের আগে যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না । তাঁরা মনে করেন, আন্যাপোলিস সম্মেলনের লক্ষ্য হবে দু'পক্ষের মধ্যে বাস্তব আলোচনা শুরু করা । বিশ্লেষজ্ঞরা মনে করেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল অনেক দেশের প্রতিনিধিদেরকে সামনে রেখে ৭ বছর ধরে বন্ধ থাকা শান্তি বৈঠক পুনরায় শুরু করা নিয়ে আলোচনা করবে । এর অর্থ হলো দু'পক্ষের শান্তি বৈঠক পুনরায় শুরু হলে সম্মেলনের একটি বড় অগ্রগতি বলে ধরা যাবে ।

    এর আগে আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে মতৈক্য হয়েছে যে, এ লীগের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২৭ নভেম্বর সম্মেলনে অংশ নেবেন । তাদের এ সিদ্ধান্ত সম্মেলন আয়োজনের প্রতি এক ধরনের সমর্থন । ২৫ নভেম্বর সিরিয়াও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে । সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়সালের নেতৃত্বাধীন দলটি আন্তর্জাতিকমধ্য-প্রাচ্য শান্তি সম্মেলনে অংশ নেবে । সিরিয়া বলেছে, সংশ্লিষ্ট পক্ষ গোলান মালভূমি ইস্যুটিকে আলোচ্যসূচীতে স্থান দিতে রাজি হওয়ার পর সিরিয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

    আন্তর্জাতিকমধ্য-প্রাচ্য শান্তি সম্মেলন চলাকালে জেরুজালেমে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য ২৫ নভেম্বর জেরুজালেম পুলিশ এ শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তায় অবরোধ দিয়েছে এবং শহরে প্রবেশ করা গাড়িগুলোকে পরীক্ষা করা হচ্ছে । ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং বিভিন্ন সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে যে কোনো আকস্মিক ঘটনা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।

    বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এখন আন্যাপোলিসের দিকে তাকিয়ে আছে । প্রায় ৫০টি দেশ ও সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি বেশ উত্তেজনাকর হবে । তবে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের জনগণ সম্মেলনের আগে শান্তি বজায় রেখেছে । তারা শান্তিবিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও করছে এবং মনে করছে এত সহজে শান্তি আসবে না । ইসরাইলের বিখ্যাত জরিপ সংস্থা দাহাফের ২দিন আগে প্রকাশিত এক জরিপ থেকে জানা গেছে, ৭০ শতাংশ ইসরাইলী আন্তর্জাতিক মধ্য-প্রাচ্য শান্তি সম্মেলন আয়োজনকে সমর্থন করেন এবং ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এবারের সম্মেলন দু'পক্ষের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য বিরাট অগ্রগতি নিয়ে আসবে না । ফিলিস্তিনের জরীপ কেন্দ্রের সর্বশেষ জরিপ থেকে জানা গেছে, ৬৭.৫ শতাংশ ফিলিস্তিনী মধ্য-প্রাচ্য শান্তি সম্মেলনের ব্যাপারে মিশ্র মতামত দিয়েছেন । এবং ৫৪.৪ শতাংশ ফিলিস্তিনী সম্মেলন ব্যর্থ হলে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বেড়ে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।

    (ছাও ইয়ান হুয়া)