v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-22 17:31:29    
পোতাসো জাতীয় পার্কের শুতু হ্রদ

cri

    পোতাসো হল চীনের মূলভুভাগের প্রথম জাতীয় পার্ক। তা ইয়ুন্নান প্রদেশের সিয়াংকোলিলা জেলায় অবস্থিত এবং ইয়ুন্নান প্রদেশের 'তিনটি সমান্তরাল নদী এলাকার' বিশ্ব প্রাকৃতিক উত্তরাধিকারের একটি অংশ ।এ পার্ককে সিয়াংকোলিলার সবচেয়ে সুন্দর স্থান বলা হয় । পার্কের আয়তন প্রায় ২০০০ বর্গকিলোমিটার । পার্কে নির্মল পানির পরিচ্ছন্ন মালভুমির হ্রদ, সীমাহীন বন , বিস্তির্ণ তৃণভুমি এবং বহু ধরনের উদ্ভিদ ও পশুপাখি দেখা যায় ।

    শুতু হ্রদ এবং বিটা হ্রদ হল পার্কের দু'টি মূল পর্যটন স্থান । সিয়াংকোলিলা জেলা থেকে গাড়িতে পোতাসো জাতীয় পার্কের প্রবেশদ্বারে পৌঁছুতে প্রায় এক ঘন্টা লাগে । পরে পার্কের পরিদর্শন বাসে করে পর্যটনের প্রথম স্থান শুতু হ্রদে পৌঁছে যাবেন । যখন হ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে সেখানকার দৃশ্যাবলী উপভোগ করবেন , তখন দেখতে পাবেন নীল আকাশ ,সাদা মেঘ , নানা রঙয়ের পাহাড় ও ঘনসবুজ বনের দৃশ্যের প্রতিফলন হ্রদের স্বচ্ছ পানির ভেতর দেখতে পাবেন । এখানে এলে মনে হবে যেন ছায়াছবির জগতে প্রবেশ করেছেন । হ্রদে প্রচুর জীবাশ্ম--'শুতু মাছ' দেখা যায় । এ মাছের শরীরের রঙ সোনালী এবং পেটের চামড়ার ওপরকার একটি অংশে কাটা দাগ রয়েছে । হ্রদের দু'পাশ জুড়ে তৃণভূমি রয়েছে কার্পেটের মত । স্থানীয় তিব্বতী গাইড মিস তাওয়াচুওমা বলেন, তা হল তিব্বতের একটি বিখ্যাত পাশুপালন এলাকা । তিনি বলেন,  শুতু হল তিব্বতী ভাষার উচ্চারণ । এর অর্থ হল মাখনের মত শক্ত পাথরের স্থান । এটি তিব্বতীদের একটি পশুপালন এলাকা । মে মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকালেতিব্বতীরা এখানে ইয়াক গরু চড়ান ।

    শুতু হ্রদের পাড় ঘেরা কাঠের পথ দিয়ে চলার সময় আমাদের পায়ের নিচে নদীর মোহনায় শব্দ কলকল শুনতে পাওয়া যায় । মালভুমির পানি বন ও তৃণভুমিকে সবুজাভ করে তোলে । পাশুপালকরা বলেন, এখানকার ঘাসে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে এবং ফলে গরুর দূধের পরিমাণও বেশি পাওয়া যায় । শুতু হ্রদ পরিদর্শন করার পর পর্যটকরা নির্ধারিত বাসে করে পার্কের রেস্তোরায় এসে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন । কাঠ দিয়ে চীনের ঐতিহ্যিক রীতিতে তৈরী রেস্টুরেন্টটি পাহাড়ের গায়ে নির্মিত । রেস্তোরাটির সামনে মালভুমি থেকে বয়ে আসা তুষার পানির ছোট নদী রয়েছে । এ সময় সুন্দর দৃশ্য দেখার পাশাপাশি সুস্বাদু খাবারও খেতে পারবেন । রেস্তোঁরার প্রধান পাচক ল্যুকাং বলেন, আমাদের রেস্তোঁরায় ইয়াক গরুর মাংস দিয়ে তৈরী খাবার বেশি । কারণ এ স্থানটি তিব্বতীদের বসবাসের এলাকা । তিব্বতীরা প্রধানত ইয়াক গরুর মাংস খায় । এছাড়া এখানে প্রাকৃতিক মাশরুম বেশি । এগুলোর মধ্যে ম্যাটসুয়েক মাশরুমসহ নানা ধরনের সুস্বাদু মাশরুম রয়েছে ।

     গত বছরের আগস্ট মাসে এ রেস্তোঁরাটি আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয় । এটি হল পার্কের একমাত্র রেস্টুরেন্ট । পার্কের পরিবেশ সংরক্ষণ করার জন্য রেস্তোঁরার সব আবর্জনা সংগ্রহ করার পর গাড়িতে করে ময়লা ফেলার স্তানে রেখে আসা হয় ।