সিঙ্গাপুর সফররত চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ২০ নভেম্বর পৃথক পৃথকভাবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইউধোইয়োনো, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া মাকাপাগাল এরোয়ো ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন।
সুসিলোর সঙ্গে বৈঠক কালে ওয়েন চিয়া পাও বলেন, চীন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে নিজ নিজ গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্যায় পরস্পরকে সমর্থন দিয়ে যাবে এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করবে। চীন আশা করে, দু'পক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপনের অভিন্ন কার্যক্রম পরিকল্পনা এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা চুক্তি সম্প্রসারণ ও গভীরতর করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সুসিলো বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১০ সালে দু'পক্ষের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক মূল্য ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই অর্জিত হবে।
এরোয়োর সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময়ে ওয়েন চিয়া পাও বলেন, চীন ও ফিলিপাইনের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কৌশলগত সহযোগিতার অভিন্ন কার্যক্রম পরিকল্পনা আর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাঁচশালা বিকাশ পরিকল্পনা সম্পন্ন করা উচিত। এরোয়ো বলেন, ফিলিপাইন ও চীনের সম্পর্ক পরিণত ও সর্বাত্মক। ফিলিপাইন কৌশলগত পর্যায়ে চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। ফিলিপাইন দৃঢ়ভাবে এক চীন নীতি অনুসরণ করে এবং "তাইওয়ানের স্বাধীনতা" তত্পরতার বিরোধিতা করে।
ক্লার্কের সঙ্গে বৈঠকে ওয়েন চিয়া পাও বলেন, চীন ও নিউজিল্যান্ডের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল সংক্রান্ত আলোচনা হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আশা করেন, দু'পক্ষ আন্তরিকতা ও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এ বছরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করার চেষ্টা করবে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|