শুরুতেই ক্রিকেট :
ভারত - বাংলাদেশ
ক্রিকেট মানেই উত্তেজনা । আর ক্রিকেটের এই উত্তেজনা যুদ্ধতো আগের ম্যাচেই শেষ হয়ে গেছে । পাকিস্তানের জন্য এই ম্যাচটা খেলা আর না খেলা ছিল সমান কথা । দুই দলই সিরিজে না খেলা কয়েকজন খেলোয়াড় নামিয়ে আর ভারত প্রবীন কুমার ও পাকিস্তান সরফরাজ আহমেদের অভিষেক ঘটিয়ে একটা প্রীতি ম্যাচের আবহ নিয়ে এসেছিল । ওই প্রীতির মধ্যেই পাকিস্তানের জন্য সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ঠিকই শেষ ম্যাচ ৩১ রানে জিতে সিরিজ পরাজয়ের ব্যবধানটা কমিয়ে আনল ৩-২ এ । আধিনায়ক শোয়েব মালিক আর মোহাম্মদ ইউসোফের কল্যাণে৬ উইকেটে ৩০৬ রান তুলেছিল তারা । জয়পুরের এই ব্যাটিং স্বর্গে এই রানটাও শচীন টেন্ডুলকারদের জন্য যথেস্ট নাও হতে পারত যদি না সোহেল তানভির ভারতের ইনিংসের শুরুতেই না ধাক্কা দিতেন । ৬২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর সে ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে না পেরে ভারত শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে অল আউট হলো । পাকিস্তানের শুরুটা ঠিক করে রেখেছিলেন সালমান বাট, আর এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ইমরান নাজির । শ্রীশান্ত পর পর নিজের তিন ওভারে বাট, ইয়াসির হামিদ ও নাজিরকে ফেরত পাঠিয়ে খেলায় ফিরিয়ে এনেছিল ভারতকে । বিনা উইকেটে ৬৫ থেকে ৩ উইকেটে ৭৭ হয়ে যায় পাকিস্তান । এর পরের উইকেটটির জন্য গুনে গুনে ২৫.৩ ওভার অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতীয় বোলারদের । আর সেই অবসরে ১৬৮ রানের জুটি গড়েই ম্যাচটা ভারতের কছ থেকে বেশ দূরে নিয়ে গেছেন ইউসুফ - মালিক ।
কার্তিকের বলে ধোনির স্টাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে মালিক করেছেন ৮২ বলে ৮৯ রান । ইউসুফও ধোনির হাতে স্টাম্পড হয়ে ফিরেছেন যুবরাজের বলে । এর আগে ৮২ বলে চারটি চার সহ করেছেন ৭৪ রান । এই জুটির গড়ে দিয়ে যাওয়া বিতটা নস্ট হতে দেননি মিসবাহুল হক ও ফাওয়াদ আলম । তাদের কল্যানে শেষ দশ ওভারে ৮১ রান ওঠায় পাকিস্তানের স্কোরটাদাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩০৬ ।
ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনাপের পুরোটা তারা এই ম্যাচে নামায় নি । তার পরও শচীন, শেবাগদের কাছে ৩০৬ অনতিক্রম্য হবে এমন ভাবা কঠিন । কিন্তু ১১.৩ ওভারের মধ্যে ৬২ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন গৌতম গম্ভীর, টেন্ডুলকার, উথাপ্পা ও শেবাগ । এই চার উইকেটের তিনটিই সোহেল তানভিরের । ৩০ রান করেছেন টেন্ডুলকার ।
শেষ পর্যন্ত ভারত ৪৯.৫ ওভারে ২৭৫ রান তু লে সবাই আউট হয়ে যায় । এ ম্যাচের ম্যান অব দি ম্যাচ শোয়েব মালিক ।
দক্ষিণ আফ্রিকা - নিউজিল্যান্ড
জোহানেসবার্গের মতো সেন্চুরিয়নেও শোচনীয়ভাবে হরেছে নিউজিল্যান্ড । দ্বিতীয় টেস্টের দু দিনেরও বেশি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা এক ইনিংস ও ৫৯ রানে জিতে সিরিজ নিজেদের মুঠোয় ভরল । রোববার সেন্চুরিয়ন পার্কে তৃতীয় দিন নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার মার্ক গিলেস্পি নিজের ডেব্যু টেস্ট উইকেট নেন । লান্চের আগে দক্ষিণাফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৮৩ রানে । দিনের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হরায় মাত্র ৬০ রানে । দুই টেল এন্ডার আন্দ্র নেল ও ডেল স্টেইন নবম উইকেটে আক্রমনাত্মক খেলে ৫১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিস্ঠা করেন । দুজনের ব্যাট থেকে আসে সমান ২৫ রান । নিউজিল্যান্ডের ১৮৮ রানের জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে তিন উইকেটে ৩৭২ রানে । হাশিম আমলা ৮৯ রানে শুরু করে নিজের টানা দ্বিতীয় সেন্চুরি করেন । ২১৬ বলে ১০৩ রান করে তিনি আউট হন । গিলেস্পি ফিরিয়ে দেন মার্ক বাউচার, ডি ভিলিয়েস ও পল হ্যারিসকে । এর আগে ক্যালিন ও অ্যাশ ওয়েল প্রিন্সও তার শিকারে পরিণত হন ।
ঝোগান্সবার্গে প্রথম টেস্টে দক্ষিন আফ্রিকা জয়ী হয়েছিল ৩৫৮ রানে ।
অস্ট্রেলিয়া- শ্রীলঙ্কা
খেলতে নেমে ব্রেট লি নিলেন একাই ৪ উইকেট । একই সঙ্গে উইকেট পেয়েছেন মিশেল জনসন, স্টুয়ার্ট ক্লার্ক ও ম্যাকগিল । শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসটা ২৪৬ রানে শেষ করে দিতে এই চার বোলারি যথেস্ট হলো রিকি পন্টিংয়ের জন্য ।তারা সুযোগ পেয়েও শ্রীলঙ্কাকে ফলোঅন করাননি । এর আগে বেলেরিভ ওভরলে তারা যেটা করে গেছেন তাতে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস টিকতে পারল মাত্র ৮১.২ ওভার । ২৪৬ রানের এই ইনিংসের হাইলিইটস বলতে কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনের ৭৩ রানেরতৃতীয় উইকেট জুটি । তবে ৫৭ রান করে সাঙ্গাকারা জনসনের বলে হাসির ক্যাচ হয়ে ফেরার পরেরদিকটা শ্রীলঙ্কার জন্য শুধুই কস্টকর । শেষ ৭ উইকেট পড়েছে মাত্র ১১৯ রানে । তবে একটা সেন্চুরিও আছে শ্রীলঙ্কার । সেটা এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে । ২৭১ মিনিটেক্রিজে থেকে ১৩ টি বাউন্ডারিতে ১০৪ জয়াবর্ধনের ১৯ তম টেস্ট সেন্চুরিটাই চূড়ান্ত ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে ।
প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানের লিড, তৃতীয় দিন শেষেই ৪০৭ রানে এগিয়ে গয়ে শ্রীলঙ্কাকে রানে চাপা দেওয়ার কাজটাও প্রায় গুছিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা ।
ফুটবল
বিশ্বকাপের সেরা দল হিসেবে ইতালি তার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিতে পারে। কারণ মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই ইতালির ফুটবল দুঃখ থেকে আনন্দে পরিণত হয়েছে। তারা স্কটল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০০৮-এর চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিল। ফ্রান্সের চূড়ান্ত পর্ব খেলাও নিশ্চিত হলো এই জয়ের মধ্য দিয়ে। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৮৪ সালের ইউরোতে জায়গা হয়নি ইতালির। এবার সেই পরিণতি হয়নি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটির । ইংল্যান্ডের আশাও পূরণ হলো ইসরাইলের জয়ের মধ্য দিয়ে। ২১ নভেম্বর কঠিন এক ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে কেবল হারালেই হবে না, ইংলিশদের ইউরো চূড়ান্ত পর্বে যেতে হলে শনিবারের ম্যাচে রাশিয়াকে ইসরাইলের কাছে হারতেই হতো। রাশিয়া হেরেছে ১-২ গোলে। তাই জেগে থাকল ইংলিশদের আশা। বুধবার ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করলেই চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পাবে তারা।
বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারানোর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো পোল্যান্ড। সুইডেনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইউরোতে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন। নেদারল্যান্ডসও লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে ইউরো চূড়ান্ত পর্বে খেলার ভিসা পেয়েছে। এ ছাড়া শনিবরের অন্যান্য ম্যাচের মধ্যে পর্তুগাল ১-০ গোলে আর্মেনিয়াকে, তুরস্ক ২-১ গোলে নর ওয়েকে, গ্রিস ৫-০ গোলে মান্টাকে, চেক ৩-১ গোলেশ্লোভাকিয়াকে, জার্মানি ৪-০ গোলে সাইপ্রাসকে ও মেসেডোনিয়া ২-১ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছে ।
|