**বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টকে হু চিন থাওয়ের সমবেদনা
বাংলাদেশের দক্ষিণাংশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে গুরুতর জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইয়াজুদ্দিন আহমেদকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
হু চিন থাও তার বার্তায় চীন সরকার, জনগণ ও নিজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সরকার ও দুর্গত মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। হু চিন থাও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে দুর্গত এলাকার জনগণ অবশ্যই কঠিন সমস্যা অতিক্রম করবেন, শিগগির স্বাভাবিক জীবন ও উত্পাদন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করবেন এবং সুন্দর স্বদেশ নির্মাণে সক্ষম হবেন।
একই দিন চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
**আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধানের সঙ্গে ছাও কাং ছুয়ানের বৈঠক
১২ নভেম্বর পেইচিংয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছাও কাং ছুয়ান ও সফররত আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধান বিসমিল্লাহ মোহাম্মদের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে এক বৈঠক হয়েছে ।
ছাও কাং ছুয়ান বলেন , চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যে কূটনেতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পরবর্তী ৫২ বছরে দু'দেশের জনগণের বন্ধুত্ব ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে । তাইওয়ান এবং তথাকথিত পূর্ব তুর্কীস্তান ইসলামী আন্দোলনের ওপর আঘাত হানার বিষয়ে চীনের প্রতি আফগানিস্তান যে সমর্থন ব্যক্ত করেছে , চীন তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে । চীন আফগানিস্তানের সঙ্গে থেকে দু'দেশ ও দুই সেনাবাহিনীর সম্পর্ককে আরো সম্প্রসারিত করতে ইচ্ছুক ।
**শওকত আজিজ পাক-চীন সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন
১৪ নভেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ তাঁর বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত এক অর্ভ্যথনা অনুষ্ঠানে পাক-চীন সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক হল পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর অভিন্ন মতৈক্য। দু'দেশের সম্পর্কের ইতিহাস থেকে দেখা গেছে, পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও, দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তিনি বিশ্বাস করেন, সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাক-চীন সম্পর্ক আগামী দিনগুলোয় আরো উন্নত হবে। তিনি বলেছেন, তার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় দু'দেশের মধ্যে অনেক ঐতিহাসিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি মনে করেন, চীনের অর্থনীতি উন্নত ও রাজনীতি স্থিতিশীল। তিনি আশা করেন, চীন দেশ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা, সংস্কার এবং উন্নয়নের সাফল্যে উজ্জিবীত হবে। তিনি আরো বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পরও অব্যাহতভাবে পাক-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।
পাকিস্তানে চীনের রাষ্ট্রদূত লুও চাওহুই পাকিস্তানের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আজিজের প্রশংস করেছেন। তিনি চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আজিজকে চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ ও উন্নয়নে জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
**পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ
পাকিস্তানের টেলিভিশন কেন্দ্রের ১৬ নভেম্বরের এক খবরে জানা গেছে, এ দিন পাকিস্তানের সিনেটের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিয়া সুমরোসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রধানমন্ত্রী সুমরোসহ তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভার সদস্যের শপথ গ্রহণ করান। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজসহ সাবেক মন্ত্রীসভার সদস্যগণ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুশাররফ বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি হচ্ছে সবচেয়ে স্থিতিশীল সরকারের পরিবর্তন এবং পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধান মন্ত্রী, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বেনজির ভুট্টো ১৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে পদত্যাগের অনুরোধ করেন। এর আগে তিনি তাকে সেনা বাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এবার হল পারভেজ মোশাররফকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্যে বেনজির ভুট্টোর প্রথম অনুরোধ।
**রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু সহযোগিতা নিয়ে ভারত জটিলতায়
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শিবশংকর মেনন ১১ নভেম্বর বলেছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে রাশিয়া ভারতে আরো চারটি পরমাণু চুল্লি নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরকে স্থগিত করে দিয়েছে। বর্তমানে দু'পক্ষের কর্মকর্তারা এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারত আশা করে, রাশিয়ার সঙ্গে বেসরকারী পরমাণু ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হবে।
১১ নভেম্বর থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাশিয়ায় দু'দিনব্যাপী সফর শুরু করেছেন।
**ভারতের পুলিশ রাহুল গান্ধীকে অপহরণের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে
ভারতীয় পুলিশ ১৬ নভেম্বর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীকে অপহরণ করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ১৭ নভেম্বর ভারতের তথ্য মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ানান বলেন, সরকার রাহুল গান্ধীর পরিবার, বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীন নেতা এল কে আদভানি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
খবরে জানা গেছে, ভারতের পুলিশ ১৬ নভেম্বর ভোরে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ শহরে মোহাম্মদ বাহিনীর তিন জন পাকিস্তানী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা স্বীকার করেছে যে, আটককৃত ৪২জন সন্ত্রাসী ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়া এবং কাশ্মির স্বাধীনতা ইস্যুতে ভারত সরকারকে আলোচনায় বসানোর উদ্দেশ্যে রাহুল গান্ধিকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
|