১৬ নভেম্বর হচ্ছে আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস। ইউনেস্কো ঘোষিত এই আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হচ্ছে বহুমুখী সমাজে সহনশীলতা শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মানুষের সুষম ও শান্তিপূর্ণভাবে জীবন-যাপন নিশ্চিত করা।
বিংশ শতাব্দীর ৯০ দশকের প্রথম দিকে স্নায়ু যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে, আন্তর্জাতিক পরিমান্ডলে সহিংসতা বৃদ্ধির আশংকায়। ইউনেস্কো 'সহনশীলতা' দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। ইউনেস্কোর উদ্যোগে, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয় যে ১৯৯৫ সাল থেকে 'আন্তর্জাতিক সহনশীলতা বর্ষ' উদযাপন করা হবে। ১৯৯৬ সালের ১৬ নভেম্বর ইউনেস্কোর ২৮তম অধিবেশনে 'সহনশীলতার মৌলিক নীতি ঘোষণা' গৃহীত এবং প্রতি বছরের ১৬ নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এক প্রস্তাবে বিভিন্ন দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়। যাতে শিক্ষা ও প্রচারসহ বিভিন্ন উপায়ে সহনশীলতার দিকটিকে সবার কাছে তুলে ধরা যায়।
'সহনশীলতার মৌলিক নীতি ঘোষণা'-এ বলা হয়েছে যে, প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহনশীলতাকে বাস্তবায়ন করা। কারণ 'সহনশীলতা হচ্ছে শান্তি স্থাপনের পাশাপাশি সবার অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদাকে উন্নত করার অপরিহার্য নীতি'। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান 'আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস'-এ বলেছিলেন যে, সহনশীলতা হচ্ছে এক ধরনের ইতিবাচক সঠিক দৃষ্টিভংগী এবং তা অন্য মানুষের অবাধ ও অধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস সংক্রান্ত ইউনেস্কো উত্থাপন করেছে, সহনশীল ও সত্যনিষ্ঠ সমাজ নির্মাণ মাত্র দিন ও রাতের কাজ নয়। তা সময় ও সমাজের বিভিন্ন পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ইউনেস্কো জোর দিয়ে বলেছে, সহনশীলতা শিক্ষার জন্য শিশুদের থেকে, বাবা,মাসহ সবার উচিত শব্দ ও আচরণগত দিকে নিবিড় মনোযোগ দেয়া। (খোং চিয়া চিয়া)
|