v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-13 16:32:58    
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাশিয়ায় সফর শেষ

cri
    ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ১২ নভেম্বর রাশিয়ায় দু'দিনব্যাপী সফর শেষ করেছেন। সফরকালে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোর জুবকোভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দু'পক্ষ পরমাণু সহযোগিতা, বাণিজ্য বিনিময়, জাতিসংঘের সংস্কার, আফগানিস্তান ও মধ্যএশিয়ার পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। তাঁরা যৌথ চাঁদে অনুসন্ধান, যৌথভাবে পরিবহন বিমান ও জঙ্গী বিমান তৈরি এবং পরমাণু জ্বালানি স্থাপনা ,যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সামগ্রি নির্মাণসহ বিভিন্ন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। বিশ্লেষকগণ বলেছেন, মনমোহনের সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা। বিশেষ করে, দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করা।

    রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক বেশ পুরনো । রাশিয়া মনে করে, ভারত তার রাজনৈতিক মিত্র এবং অর্থনৈতিক অংশীদার এবং সেদেশে বিশাল একটি বাজার রয়েছে। ভারত মনে করে, রাশিয়া কেবল তার রাজনৈতিক মিত্র তাই নয়, বরং অস্ত্র , তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে ভালো সরবরাহকারী দেশ। পারস্পরিক চাহিদা রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের অব্যাহত এক চালিকাশক্তি।

    ১২ নভেম্বর পুতিন মনমোহনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশিয়া ও ভারত সার্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন চুক্তি করবে। রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে রাশিয়া ও ভারতের মোট বাণিজ্যের মূল্য ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালের প্রথমার্ধে দু'দেশের বাণিজ্য মূল্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩৮ শতাংশ বেশি। জুবকোভ মনমোহনের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেছেন, ২০১০ সাল পর্যন্ত রাশিয়া ও ভারতের বাণিজ্যের মোট মূল্য ১০ বিলিয়ান মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি মনে করেন, দু'দেশের বাণিজ্যে ব্যাপক সুপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, কয়েক বছর ধরে দু'দেশের বাণিজ্যিক কাঠামো অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ও পণ্য বাণিজ্য ধাপে ধাপে বাড়ছে। এতে দু'দেশের বাণিজ্য আরো বিকশিত হওয়ার পক্ষে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দু'দেশ পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    বিশ্লেষকগণ বলেন, রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। বর্তমানে রাশিয়া ভারতে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দেশ। ভারতী বাহিনীর ৭০ শতাংশ অস্ত্রই রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া। ২০১০ সালের আগে দু'দেশের সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সহযোগিতা প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়াবে দু'শোরও বেশি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যদিও রাশিয়া ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ে ধারাবাহিক পারস্পরিক যোগাযোগ এবং দু'দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠতর হলেও ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যের মূল্য সে অনুযায়ী এগোতে পারেনি। গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মূল্য প্রতি বছর তিন শো কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যেই ও ঠানামা করছে। দেশ উভয় আশা করে, পরবর্তীতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এ প্রেক্ষাপটে মনমোহন সিংয়ের রাশিয়া সফরকালে ২০১০ সালের আগে দু'দেশের বাণিজ্যের মূল্যের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ।

    বিশ্লেষকগণ মনে করে, বাণিজ্যিক কাঠামো সমস্যা হচ্ছে রাশিয়া ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এ সমস্যা অল্প দিনে সমাধান করা খুবই কঠিন।