v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-08 19:57:42    
ইউরোপ ও এশিয়ার অর্থনীতি ফোরাম--২০০৭ চীনের সিআনে শুরু

cri

    ইউরোপ ও এশিয়ার অর্থনীতি ফোরাম--২০০৭ ৮ নভেম্বর চীনের সি আন শহরে শুরু হয়েছে । সাংহাই সহযোগিতা সংস্থারসদস্যদেশগুলো ও পর্যবেক্ষক দেশগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং চীনে অবস্থিতজাতিসংঘ সংস্থার কর্মকর্তা সহ এক হাজারটি দেশিবিদেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং অর্থনীতিবিদরা এতে অংম নিচ্ছেন। দুদিনব্যাপী ফোরামে তারা ইউরোপ ও এশিয়ার বাস্তব সহযোগিতা জোরদার , যৌথ উন্নয়ন সহ নানা বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করবেন ।

    ইউরোপ ও এশিয়ার অর্থনীতি ফোরাম ২০০৫ সালে চীনের সিআন শহরে প্রতিষ্ঠিতহয়। দু বছরে একবার করে ফোরামটি অনুষ্ঠিত হয় । এর লক্ষ্য হল সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলো এবং পর্যবেক্ষক দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করা । অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারিত করা । দু বছর আগে প্রথম ফোরামেসাংহাই যোগাযোগ সংস্থার সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা তরান্বিত করা সম্পর্কে ধারাবাহিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় । চলতি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় সাংহাই সযোগিতা সংস্থার মহাসচিব বোলাত নুরগালিয়েভ বলেছেন , ২ নভেম্বর ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীদের তাসখন্দ সম্মেলনের পর এ বছরের ফোরামটি সাংহাই যোগাযোগ সংস্থার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । ফোরামটি আঞ্চলিক অর্থনীতি , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থবিনিয়োগ ও পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । আশা করা হচ্ছে ,ফোরামে অংশগ্রহণকারীরা জ্বালানি শক্তি, মূলধন, পর্যটন ও শিক্ষা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যোগাযোগ ও সংলাপের মাধ্যমে একমত হতে পারবেন ।

    ইউরোপ ও এশিয়ার প্রথম অর্থনৈতিকফোরামের পর সাংহাই যোগাযোগ সংস্থার ৬টি সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি যৌথ ইস্তেহারে বলেন , ফোরামটি আঞ্চলিকঅর্থনৈতিক সহযোগিতাকে জোরদার করেছে । তারা অন্য প্রাসঙ্গিক দেশের ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্নক্ষেত্রের প্রতিনিধিদেরকে ফোরামে অন্তর্ভুক্তি করার প্রস্তাব করেন । এজন্যে সাংহাই যোগাযোগসংস্থার সদস্যদেশ ও পর্যবেক্ষক দেশগুলো ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার এস-কে গ্রুপ, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্কলিন রিসোর্সতহবিল , ডয়চে ব্যাংক, চীনের তেল কোম্পানি সহ বিশ্বের ৫০০ বড়বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ত্রিশটির অধিক শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ ব্যাপস্থাপক আমন্ত্রিত হয়ে এবারের ফোরামে অংশ নিচ্ছেন ।

    দুদিনব্যাপী ফোরামটিতে প্রতিনিধিরা জ্বালানী শক্তি উন্নয়ন ও সাশ্রয়, দূষিত পদার্থের নিঃসরণ হ্রাস, ইউরোপ ও এশিয়ার শিক্ষা সহযোগিতা ও সংলাপের ব্যবস্থা , ইউরোপ ও এশিয়ার আর্থিক সহযোগিতার পদ্ধতি এবং পর্যটনশিল্প উন্নয়ন সহ নানা বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করবেন । চীনে অবস্থিতজাতিসংঘ সংস্থার সমন্বয় প্রতিনিধি খালিদ মালিক বলেন , নতুন চ্যালেঞ্জ থাকার কারণে আমাদের একটি নতুন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা দরকার । ইউরোপ ও এশিয়ার অর্থনৈতিক ফোরামই এমন একটি ব্যবস্থা । জাতিসংঘের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা পরিষদ হিসেবে আমাদের খুব সৌভাগ্য যে , আমরা চলতি ফোরামের পর্যটন ও অর্থবিনিয়োগ এ দুটি শাখা ফোরামের প্রস্তুতির কাজ জোরদার করার সুযোগ পেয়েছি । যার ফলে আমরা জাতিসংঘের ছাঁচে নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করে পাশ্চাত্য এবং প্রাচ্যকে মিলিয়ে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি ।

    বিগত কয়েক বছরে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিশ্ব অর্থনীতিরউন্নয়ন তরান্বিত করার প্রক্রিয়ায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । ফোরামটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেচীনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চিয়া ছিংলিন ভাষণ দিয়েছেন । তিনি ফোরামটির পরবর্তীকালের কাজের জন্য ৪ দফা প্রস্তাবপেশ করেছেন । তিনি বলেন, এক, বিনিময় ও সংলাপ চালিয়ে পারস্পরিক আস্থা জোরদার করতে হবে । দুই , এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের শক্তি ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যোগাযোগ, জ্বালানী শক্তি ও টেলিযোগাযোগে ইন্টারনেটের নির্মাণকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রহিসেবে গ্রহণ করতে হবে । তিন , বৈদেশিক উন্মুক্তকরণে অটল থেকে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে হবে এবং চার , সহযোগিতার কার্যকরিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ফোরামের টেকসই উন্নয়ন সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । --চুং শাওলি