v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-08 18:05:24    
চেবাং মন্দির

cri

    লাসা আসার পর আপনারা নিশ্চয়ই তিব্বতের বিখ্যাত চেবাং মন্দিরে যান । কারণ , চেবাং মন্দির, কানতান মন্দির এবং সেলা মন্দির হল লাসার তিনটি সবচেয়ে বিখ্যাত মন্দির । চেবাং মন্দির হল তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মের গেলুপা ধর্মীয় গোষ্ঠীর মন্দির । এটি লাসার বৃহত্তম মন্দির এবং দালাইলামার ধর্মীয় গবেষণার স্থান । তা লাসার পশ্চিম উপকন্ঠে উজি পাহাড়ে অবস্থিত । মন্দিরটি পাহাড়ের আকার অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে । মন্দিরের রঙ সাদা । দূর থেকে দেখলে ঠিক সাদা চাউল পাহাড়ের মতো মনে হয় । তিব্বতী ভাষায় চাউল পাহাড়ের উচ্চারণ চেবাং । এ কারণে মন্দিরটিকে চেবাং বলে ডাকা হয় ।

     অন্যান্য মন্দিরের চেয়ে চেবাং মন্দিরের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বৈচিত্র হল প্রতি বছর তিব্বতী ইস্ত্রিখানায় ৩০ জুন অনুষ্ঠিত শোটন উত্সব অথবা বৌদ্ধ ধর্মের দেবতা পরিদর্শন দিবস । তা হচ্ছে লাসার বিশেষ দিবস । উত্সবের প্রথমদিনে চেবাং মন্দিরে রাখা শ্রেষ্ঠ বড় তাংকার ছবি মন্দিরের সন্ন্যাসীদের উপাসনার জন্য বাইরে নেয়া হয় এবং ভোরবেলার প্রথম সুর্যালোকের সময় ছবিটি উজি পাহাড়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় । মন্দিরের তাংকার ছবির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটারেরও বেশি, প্রস্থ ২০ মিটারেরও বেশি । বহু দূর থেকে দেখতে তা অনেক সুন্দর ও পবিত্র লাগে । তখন উজি পাহাড়ের নিচে অনেক ধর্মাবলম্বী সমবেত হয়ে বৌদ্ধ দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ।

    আসলে চেবাং মন্দির নির্মাণের শুরুতে বর্তমানের বড় স্কেল ছিল না । ১৭ শতাব্দীতে পঞ্চম দালাইলামা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে চেবাং মন্দিরে বসবাস করতেন এবং অনেক সন্ন্যাসীকে দিয়ে মন্দিরটি ব্যাপক মেরামত করান । ফলে বর্তমানের চেবাং মন্দিরটি এত সুন্দর হয়ে উঠেছে । ছুওছিন হল হলো মন্দিরের কেন্দ্রীয় স্থান। সন্ন্যাসীরা এখানে ধর্মীয় শাস্ত্র পড়েন, ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন । হলের আয়তন প্রায় ৪৫০০ বর্গমিটার, যা একই সাথে ৭০০০ সন্ন্যাসীদের ধারণে সক্ষম । আমরা চেবাং মন্দির পরিদর্শন করার সময় সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় সত্যতা সম্পর্কিত আলোচনার কথা শুনেছি ।   

    ছিংহাই প্রদেশের ইউশু জেলা থেকে চেবাং মন্দিরে আসা সন্ন্যাসী নাওয়াং চিমি বলেছেন,  বিশ্রামের দিন ছাড়া, প্রতিদিন বিকেলে সন্ন্যাসীরা বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন । তাঁরা ধর্মীয় সত্যতা সম্পর্কে গবেষণা করার জন্য আলোচনা করেন । কোন কোন পরিশ্রমী ও নিবেদিত সন্ন্যাসী রাতেও কয়েক ঘন্টা ধরে আলোচনা করেন ।


1 2