প্রায় তিন বছরের প্রচেষ্টার পর চীনের তিব্বত অঞ্চলে চোখের ছানিতে আক্রান্ত ১৩ হাজারের বেশি লোক আবার আলো দেখতে সক্ষম হয়েছেন । ফলে তিব্বতে চোখের ছানিমুক্তএলাকা হিসেবে গড়ার লক্ষ্য সময়মত বাস্তবায়িত হয়েছে ।
তিব্বতী মালভূমিতে তীব্র শীত , অক্সিজেনের অভাব ও চরম সূর্যকিরণের মত বৈরি প্রাকৃতিক অবস্থার কারণে তিব্বতীদের মধ্যে ঘন ঘন চোখের ছানি দেখা দেয় । ২০০৪ সাল থেকে যৌথভাবেতিব্বতে চীনের নিবন্ধী ফেডারেশন ও বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন – আন্তর্জাতিক লায়নস ক্লাবের " সবার আগে দৃষ্টিশক্তি – চীন কার্যক্রম চালু হয় । তখন তিন বছররের মধ্যে তিব্বতকে চোখের ছানিমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয় ।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন , গত তিন বছরে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রত্যন্ত কৃষি ও পশু পালন এলাকায় চিকিত্সা দল পাঠিয়েছে , কিছু হাসপাতালের জন্যে চক্ষু সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে এবং তাদের জন্যে চোখের ছানির অপারেশ করতে সক্ষম কিছু সংখ্যক চিকিত্সককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ সাফল্যকে পৃথিবীর ছাদ বলে খ্যাত তিব্বতে মানবজাতির সৃষ্ট একটি বিস্ময় বলে আখ্যায়িত করেছে ।
|