v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-06 21:06:33    
চীনের ছাং ঔ -১ উপগ্রহ সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে

cri

    মহাশূণ্যে ছুটন্ত ছাং ঔ-১ নামের চীনের প্রথম চাঁদ প্রদক্ষিণ ও গবেষণা উপগ্রহ ৫ নভেম্বর সকালে সাফল্যের সঙ্গে পৃথিবী থেকে ৩লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে । চীনের উপগ্রহ এই প্রথমবারের মতো চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করল ।

    পর্যবেক্ষকদের অনুমাণ অনুযায়ী ছাং ঔ-১ উপগ্রহচাঁদেরকক্ষপথে ঠিকঠাকভাবেই প্রবেশ করেছে । এর পর থেকে চাঁদের নিকট পর্যন্ত যাওয়ার প্রক্রিয়াস্বাভাবিক উড্ডয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে থাকবে ।

    এ প্রক্রিয়ায়পৃথিবী থেকে চাঁদের কক্ষপথে ঘূর্নায়মানউপগ্রহের গতি কমিয়ে আনা হবে এবং স্বাভাবিক গতিতে চাঁদের নিকটবর্তী কক্ষপথে চলতে থাকবে ।

    পেইচিং সময় ৫ নভেম্বর দুপুর ১১টা ৩৭ মিনিটে ছাংঔ-১ উপগ্রহ প্রথমবারের মতো সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। চীনের চাঁদ গবেষণা প্রকল্পের নেতৃস্থানীয় কর্মগ্রুপের উপনেতা চাং চিয়েনছি জানান , ছাং ঔ-১ উপগ্রহের চূড়ান্তভাবে অভীষ্টকক্ষপথে প্রবেশ করে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানোর জন্য চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশকে সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে । এর পাশাপাশি এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে , পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে ছুটন্ত উপগ্রহকে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য চীনের আছে এবং চীনের মহাশূন্যে গবেষণা ও নিয়ন্ত্রণের মান নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে । ছাং ঔ-১ এখন চাঁদের উপগ্রহে পরিণত হয়েছে । বলা যায় , এবারের উড্ডয়ন অত্যন্ত সফল হয়েছে । উপগ্রহটি নিখুঁতভাবে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে । এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে , আমাদের উপগ্রহ সাফল্যের সঙ্গেচাঁদ প্রদক্ষিণ করতে সক্ষমহয়েছে এবং পরবর্তীকালে চাঁদ গবেষণার কাজের জন্য মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছে ।

    ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় চীন সাফল্যের সঙ্গে ছাং ঔ -১ উপগ্রহ উতক্ষেপন করে । উপগ্রহটির উত্ক্ষেপন ছিল , চীনের চাঁদ প্রদক্ষিণ গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ । যার ভেতর দিয়ে পৃথিবীর বাইরের মহাকাশে প্রবেশ করে চীনের গবেষণা কাজ সূচিত হয়েছে ।

    চীনের জাতীয় মহাশূণ্য ব্যুরোর মুখপাত্র ফেই চাওইয়ু জানান , সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে উপগ্রহটি চাঁদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যাবে , বা চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটবে অথবা পরবর্তীউড্ডয়ন অসুবিধাজনক হয়ে পড়বে । ছাং ঔ-১ উপগ্রহের চাঁদের কক্ষপথেপ্রবেশসম্পর্কে তিনি বলেন , বর্তমানে উপগ্রহটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ স্বাভাবিকভাবে চলছে । আমরা ৬ নভেম্বর দুপুর ১১টার কাছাকাছি দ্বিতীয়বার এবং ৭ নভেম্বর সকাল ৮টার আগে বা পরে তৃতীয়বার চাঁদের নিকটবর্তী হওয়ার প্রক্রিয়া চালাবো । তখন ছাং ঔ-১ উপগ্রহ আনুষ্ঠানিকভাবে যে কক্ষপথে ঘুরেঘুরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে সেখানে প্রবেশ করবে ।

    উড্ডয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ছাং ঔ-১ উপগ্রহ চাঁদের প্রথম ছবি পৃথিবীতে পাঠাবে । তার পর উপগ্রহটি টানা এক বছর ধরে কাজ করে চার ধরণের বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ সম্পন্ন করবে । এগুলি হল , চাঁদের বাইরের ত্রিমাত্রিক ছবি সংগ্রহ করা , চাঁদের বাইরের রাসায়নিক উপাদান ও নানা পদার্থের পরিমাণ ও বিন্যাস বিশ্লেষণ করা , চাঁদের মাটির বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা এবং পৃথিবী থেকে ৪০ হাজার কিলোমিটার থেকে শুরু করে ৪ লাখ কিলোমিটার দূরের চাঁদের মহাকাশের পরিবেশ নিরীক্ষাকরা । --চুং শাওলি