v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-05 21:19:40    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৭/১১/৫

cri

    সু চাই চীনের বিদেশী সাহিত্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক, অনুবাদক ও কবি। তবে এর আগে তিনি আফ্রিকায় চীনের একজন কূটনীতিক ছিলেন। একটি বাণিজ্যিক কোম্পানির প্রধানও ছিলেন। কবিতার প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে তিনি শান্ত পাঠকক্ষে ফিরে এসেছেন। গবেষণা ও কবিতা লেখার পাশাপাশি সু চাই সাহিত্যিক তত্পরতা আয়োজনেও সময় উত্সাহী। তিনি চীনা কবিদের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের বিখ্যাত কবিতা উত্সবে অংশ নিয়েছেন। তিনি বহু বার বিদেশী কবিদেরকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছেন তাঁর কবি বন্ধুরা । ৬ নভেম্বর সংস্কৃতির সম্ভার আসরে শুনুন অনুবাদক ও কবি সু চাইয়ের পরিচয়।

    ছিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের একটি বিখ্যাত উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর সারা দেশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাধ্যমিক স্কুলের সেরা ছাত্রছাত্রীরাই শুধু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। লাচু তিব্বতের একজন সাধারণ কৃষক পরিবারের ছেলে। এ বছরের পরীক্ষায় সে উচ্চ নম্বর পেয়ে ছিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলসেচ বিভাগে ভর্তি হয়। ইয়া তুং জেলার শিক্ষার ইতিহাসে সেই প্রথম ছাত্র, যে ছিং হুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। ইয়া তুং মহকুমার গ্রামবাসীরা তাদের আনন্দের প্রকাশ হিসেবে রাজপথে একটি অভিনন্দনসূচক ব্যানার টানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা এখন লাচুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ৭ নভেম্বর সমাজ দর্পণ আসরে শি চিং উ তিব্বতী ছাত্র লাচু সম্পর্কে কিছু বলবেন।

    উত্তর চীনের অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হুরেনবেল তৃণভূমির ভূমি উর্বর এবং এই অঞ্চল পানি ও ঘাসে সমৃদ্ধ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ তৃণভূমির পরিবেশের নিরন্তর অবনতি হয়েছে। তৃণভূমি বিলুপ্ত হওয়ার প্রবণতা ঠেকানোর জন্য গত কয়েক বছরে হুরেনবেল শহরের সরকার তৃণভূমি সংরক্ষণ এবং তৃণভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারকে একটি প্রধান কাজ হিসেবে নানা রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। এ সব ব্যবস্থা অনুযায়ী, পশু খামারের পরিবর্তে আবারও গড়ে তোলা হয়েছে তৃণভূমি এবং পশু'র সংখ্যা কমিয়ে তৃণভূমির পরিবেশ সুরক্ষা করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর ওরা অনন্য আসরে থান ইয়াও খাং হুরেনবেল তৃণভূমি সম্পর্কে কিছু বলবেন।

    সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল উত্তর-পশ্চিম চীনের সীমান্তে অবস্থিত। এখানে ছিলো প্রাচীন রেশম পথের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিনচিয়াংয়ের স্থল সীমারেখার দৈর্ঘ্য ৫৬০০ কিলোমিটার। এ সীমান্ত রাশিয়া, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, ভারতসহ আটটি দেশের সঙ্গে সংলগ্ন। সিনচিয়াং হচ্ছে এমন একটি প্রদেশ চীনে যার সীমারেখা সবচেয়ে দীর্ঘ এবং বিদেশের জন্য উন্মুক্ত বন্দরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সিনচিয়াংয়ের রাজধানী উরুমুছি হচ্ছে পশ্চিম চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরনের গুরুত্বপূর্ণ দরজা। ভৌগলিকভাবে বৈশিষ্টপূর্ণ উরুমুছিতে অতি তত্পর বৈদেশিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মসূচী রয়েছে। সম্প্রতি ১৬তম উরুমুছি বৈদেশিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর একবার আয়োজিত এই আলোচনা সভা ধাপে ধাপে উত্তর-পশ্চিম চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা সভায় পরিণত হয়েছে। ৮ নভেম্বর অর্থনীতির অগ্রযাত্রা আসরে এই আলোচনা সভা সম্পর্কে আপনাদের কিছু তথ্য জানানো হবে।

    ৮ নভেম্বর চলুন বেড়িয়ে আসি আসরে খুং চিয়া চিয়া ও আবাম ছালাউদ্দিন আপনাদের চীনের দুটি পাহাড়ে নিয়ে যাবেন। একটা হচ্ছে হোনান প্রদেশের ইয়ুন থাই পাহাড়। ইয়ুন থাই পাহাড় হোনান প্রদেশের চিয়াওচুও শহরের সিউ উ জেলায় অবস্থিত। এই দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভূক্ত সুন্দরতম ভূতাত্ত্বিক পার্ক। আরেকটি জায়গা হচ্ছে উত্তর-পূর্ব চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের পেইজেন শহরের উপকণ্ঠ। এখানে রয়েছে ল্যুশান পাহাড়। এ পাহাড়ের পুরো নাম হচ্ছে ই উ ল্যুশান পাহাড়। পাহাড়ের দৈর্ঘ্য ৪৫ কিলোমিটার এবং তার আয়তন ৬৩০ বর্গকিলোমিটার। বন্ধুরা, এই দুটি সুন্দর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে আপনারা ৮ নভেম্বরের অনুষ্ঠান শুনতে ভুলবেন না।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।