ইরাকের নিকটবর্তী দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক দিনব্যাপী বর্ধিত সম্মেলন ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শেষ হয়েছে। সম্মেলনে ইরাকের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত ইরাকের সীমারেখা বজায় রাখা, ইরাকের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণের কথা পুনরায় ঘোষিত হয়েছে।
সম্মেলনের পর প্রকাশিত এক ইশতেহারে ইরাকে সন্ত্রাসবাদী ও বেআইনী অস্ত্রশস্ত্রের চলাচল ঠেকানোর জন্য ইরাক ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ইরাক ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নানা রকম চোরাচালান তত্পরতা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ইশতেহারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ইরাকের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ইশতেহারটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি কামেল আল-মালিকি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আঘাত হানার ক্ষেত্রে বহু পক্ষীয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মালিকি সশস্ত্র কুর্দিস্তান ওয়াকারস পার্টির সমস্যা সমাধানে সাহায্য দেয়ার বিষয়ে তুরস্ককে নতুন প্রস্তাব করেছেন। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
|