v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-02 16:21:52    
পাকিস্তানের বাহিনী ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর রূপ ধারণ করার সক্ষম হবে

cri
    পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চনীয় প্রদেশের একটি শহরে ১ নভেম্বর পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়। এতে কমপক্ষে আটজন নিহত এবং কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে। এটি হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারী বাহিনীর ওপর দ্বিতীয় বারের মত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। এদিন উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের শহর সোয়াতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৭০জন সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বিশ্লেষকগণ মনে করেন, এর ফলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র ব্যক্তিদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জাভেদ ইকবাল ছিমা ১ নভেম্বর বলেছেন, এদিন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের পানজাব প্রদেশে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণরত বৈমনিকদের বহণকারী গাড়িটি বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়। এ সময় তারা পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর বৃহত্তমঘাঁটি সারগোধায় প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছিল। বিস্ফোরণে গাড়িটি আগুন লেগে যায়। এতে ৪৮জন হতাহত হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে প্রশিক্ষণার্থী বৈমানিক।

    ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির স্থল বাহিনীর সদর দপ্তরের কাছাকাছি একটি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং ১৪জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ রয়েছে। বিস্ফোরণের সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ সেনা বাহিনীর সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

    শুধু মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই দু'বার সরকারী বাহিনী আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের শিকার হলো। তার কারণ হচ্ছে জুলাই মাসে পাকিস্তান সরকারের রাজধানী ইসলামাবাদে লাল মসজিদের ওপর সামরিক ব্যবস্থা নেয়া। উত্তর ওয়াজিরস্তান উপজাতি এলাকার সশস্ত্র ব্যক্তিরা গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। তারপর থেকেই পাকিস্তানের রয়েছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত কয়েক শো'লোক নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তার অবস্থা জরুরী হয়ে পড়ে।

    এর পাশাপাশি পাকিস্তানের সরকারী বাহিনী উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বেআইনী সশস্ত্র ব্যক্তিদের ওপর আঘাত হানার ব্যবস্থা জোরদার করছে। অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী উত্তর ওয়াজিরস্তান উপজাতি এলাকার সশস্ত্র ব্যক্তিদের ওপর ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে দু'শোরও বেশি সশস্ত্র ব্যক্তি নিহত হয়েছে। জানা গেছে, ২০০১ সালের পর এবারই হচ্ছে পাকিস্তানে সন্ত্রাসদমন ক্ষেত্রে বৃহত্তম সামরিক অভিযান।

    বর্তমানে পাকিস্তানে ধাপে ধাপে জরুরী অবস্থা জারী হওয়ায় ধর্মীয় চরমপন্থীরা সরকারের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সৃস্টিতে সক্ষম হয়েছে। কেউ কেউ মনে করে, মুশাররফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। দু'সপ্তাহ হলো পাকিস্তানে ফিরে আসা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টোও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। বেনজির ভূটোর প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে ২৩ অক্টোবর বোমা হামলা চালানো হয়। একটানা আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পাকিস্তান সরকার এখন চাপের সম্মুখীন । তাছাড়া ১ নভেম্বর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে বলা হয়েছে, ১২ নভেম্বর পারভেজ মুশাররফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে চূড়ান্ত রায় প্রদান করা হবে। যদিও মুশাররফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ণায়ক ভোট পেয়েছেন। তবে পূণনির্বাচিত হওয়ার কথা ঠিক বলে নি। (লিলু)