v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-30 20:50:50    
কার্টুন ছবি ফুওয়ার অলিম্পিক কাহিনী চীনে দশর্কদের প্রশংসা পেয়েছে

cri
    আগামী বছর ২৯তম অলিম্পিক গেমস পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে । ২৯তম অলিম্পিক গেমসের প্রতীক ' ফু ওয়া ' হল পাঁচটি সুন্দর পুতুল । চীনের ও অন্যান্য দেশের লোকেরা এ পাঁটটি ফু ওয়া পছন্দ করেন । ৮ আগ্ষ্ট থেকে চীনের টি ভি কেন্দ্রে ২৯তম অলিম্পিক গেমসের প্রতীক ' ফু ওয়া ' সম্পর্কিত সিরিজ কার্টুন ছবি প্রচার করতে শুরু হয় । এ সিরিজ কার্টুন ছবি শুধু ছেলেমেয়েরা পছন্দ করে তাই নয় , বয়স্করাও নিজের বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে এ কাটুন ছবি দেখেন ।

    এই সিরিজ কার্টুন ছবির সিরিজের নাম হল ফু ওয়ার অলিম্পিক কাহিনী । পেইচিং টেলিভিশন কেন্দ্র পাঁচ কোটি ইউয়ান ব্যয় করে এই কার্টুনছবি তৈরী করেছে । এ ছবির মোট এক শ'টি পর্ব রয়েছে । প্রতিটি পর্ব ১১ মিনিট স্থায়ী । এ ছবির কাহিনী হল ২০০৮ সালে ২৯তম অলিম্পিক গেমস উদ্বোধনের প্রাক্কালে পেইচিংয়ের একটি সাধারণ পরিবারের ৮ বছর বয়সী ছেলে তা ইউও বাবা-মার হাত থেকে জন্মদিনের উপহার পেল । এ উপহার হল অলিম্পিক গেমসের প্রতীক –পাঁচটি ফু'ওয়া পুতুল । কার্টুন ছবিতে তা ইউও ও পাঁচটি পুতুলের মধ্যে মজার মজার কাহিনী বণর্না করা হয়েছে । ছবিতে ছোট ছোট কাহিনীর মাধ্যমে বিশ্ব অলিম্পিক গেমসের উত্পত্তি ও বিকাশ , অলিম্পিক গেমসের নিয়মবিধি নির্ধারণ এবং অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসের বিখ্যাত কাহিনী দশর্কদের জানানো হয়েছে ।

    এ বছরের ৮ আগষ্ট পেইচিং অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠানের ঠিক এক বছর বাকী ছিল । এ উপলক্ষে এ কার্টুন ছবি টেলিভিশনে দেখানো শুরু হয় । দশর্করা এ কার্টুন ছবি দেখতে খুব পছন্দ করেন । এ কার্টুনছবি দেখা দশর্কের সংখ্যা সিরিজ নাটকের দশর্ক সংখ্যাকে ছাড়িয় যায় । পেইচিংয়ের দশর্ক ওয়াং ই মিন বলেছেন , এ কার্টুন ছবি দেখার মাধ্যমে আমরা অলিম্পিক গেমস সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য জানতে পেরেছে । তিনি বলেছেন , এ ছবি দেখে আমি অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত অনেক তথ্য ও কাহিনী জানতে পেরেছি । এ সব কাহিনী ও তথ্য আমি আগে জানতাম না । ছবিতে আট বছরের ছেলে তা লি ও পাঁচটি সুন্দর সুন্দর পুতুলের মাধ্যমে জীবন্তভাবে অলিম্পিক গেমসের ইতিহাস ও বিকাশকে চিত্রিত করা হয়েছে । আমি মনে করি ছবিটির দৃশ্য সুন্দর এবং কথাবার্তা রসপূর্ণ । তাই আমি এ ছবি দেখতে পছন্দ করি ।

    আরো অনেক দশর্ক এ কার্টুন ছবিতে চীনের ঐতিহ্যিক চিত্রশৈলীকে পছন্দ করেন । মিস লিন লু বলেছেন , আমি এই কার্টুনছবির ঐতিহ্যিক চিত্র শৈলী পছন্দ করি । এ ছবি শুধু ছেলেমেয়েরাই পছন্দ করেন না , আমার মতো বয়স্করাও পছন্দ করে । কেননা এ ছবির অনেক দৃশ্য চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চিত্র শৈলীতে আঁকা হয়েছে , তাই এই কার্টুন ছবি চীনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে । চীনের লোককাহিনী ও উপকথার উপর তৈরী অনেক কার্টুন ছবি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছিল । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপান ও ইউরোপের অনেক কাটুন ছবি চীনা দশর্করাও খুব পছন্দ করে। এ সব কার্টুন ছবিতে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে বলে ছবিগুলো আরো প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হয়েছে । চীনের কার্টুন ছবি নির্মাণকারীরা মনে করেন , চীনের ঐতিহ্যিক চিত্রশৈলীর সঙ্গে বিদেশের উন্নত প্রযুক্তির সম্বনয় হলে চীনের কার্টুনছবির গুণগতমান আরো উন্নত হবে এবং আরো বেশি দর্শকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে ।

    এ কার্টুন ছবি তৈরীর জন্য বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পেইচিং টেলিভিশন কেন্দ্র সমগ্র দেশে এই ছবির নাটক সংগ্রহ করতে শুরু করে । তারা মোট দু শ'রও বেশি নাটক সংগ্রহ করেছে । এ সব নাটক পুরোপুরিভাবে ছবিতে ব্যবহার না হলেও নাট্যকারদের চিন্তা -ভাবনা আরো উন্মুক্ত করে তুলেছে । চীনের নামকরা গায়িকা চান লিয়ান ইং এ ছবির অন্যতম পুতুল ইং ইংর কথার প্রতিধ্বনি করেছেন । চান লিয়ান ইং বলেছেন , আমি এই প্রথমবার কাটুন ছবির দাবিং-এর কাজে অংশ নিয়েছি । এ কাজ আমি পছন্দ করি । আমি পেইচিং অলিম্পিক গেমসের জন্য কিছু করতে চাই। এ কার্টুন ছবি দেখার মতো । এ ছবির জন্য কিছু করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি ।

    এ কার্টুন ছবি যাতে দশর্করা , বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা পছন্দ করে , সেজন্য পেইচিং টেলিভিশন কেন্দ্র হংকং , তাইওয়ান ও ম্যাকাওয়ের চিত্রশিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । আলোচনার মাধ্যমে তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে কাটুন ছবিতে শুধু উপকথা ও ঐতিহাসিক কাহিনীর মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেয়া যথেষ্ট নয় , কার্টুন ছবিকে বর্তমান জীবনের সঙ্গে সম্বনয় করতে হবে । পেইচিং টেলিভিশন কেন্দ্রের কার্টুন চ্যানেলের প্রধান সুয়াই মিং বলেছেন , এখন বাচ্চাদের জ্ঞানের মান ও উপলব্ধির মান আমাদের কল্পনাকে ছাড়িয়ে গেছে । তারা অনেক কিছু জানে। তাই আমাদের কার্টুন ছবি তাদের চাহিদা মেটাতে হবে । কার্টুন ছবি আগের মানে থাকলে বাজারের চাহিদা মেটাতে পারবে না ।

    চীনের কয়েক শ' স্থানীয় টি ভি কেন্দ্র পেইচিং টেলিভিশন কেন্দ্রের সঙ্গে এ কাটুন ছবি সম্প্রচারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । জানা গেছে , বিদেশের অনেক টি ভি কেন্দ্রও এ কাটুন ছবি সম্প্রচারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ।