v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-29 18:43:25    
চীন জ্বালানী সাশ্রয় আইন সংশোধন করেছে

cri
    গোটা সমাজে জ্বালানী শক্তি সাশ্রয়ের জন্য ২৮ অক্টোবর চীন সরকার জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় আইন সংশোধন করেছে । সংশোধনের পর বাড়ীঘর নির্মাণ , যানবাহন ও সরকারী সংস্থাগুলোর জ্বালানী সাশ্রয় এ আইনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে । জ্বালানী সাশ্রয় আইনের সংশোধন চীনের জ্বালানী সাশ্রয় ব্যবস্থাকে আরো পরিপূর্ণ করেছে এবং এ সংশোধনচীনের অর্থনীতিকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জ্বালানী সাশ্রয়ের দিকে রুপান্তরিত করার একটি বাস্তব পদক্ষেপ ।

    বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে অর্থনীতির বিকাশ এবং জ্বালানী সম্পদ ও পরিবেশের দ্বন্দ্ব দিন দিন প্রকট হচ্ছে । চীনও এর ব্যতিক্রম নয় । চীনে জ্বালানী শক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে । জ্বালানী সাশ্রয় চীনের একটি মৌলিক নীতি । চীন সরকার ইতোমধ্যে ২০১০ সালে নির্দিষ্ট জিডিপির জ্বালানী ক্ষয় ২০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য পেশ করেছে । চার মাস আগে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির অধিবেশনে জ্বালানী সাশ্রয় আইন সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব পর্যালোচনার সময় জাতীয় গণ কংগ্রেসের অর্থ ও অর্থনীতি কমিটির চেয়ারম্যান ফু চি হুয়ান বলেন চীনের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে অর্থনীতি ও সমাজের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য হাসিলের জন্য জ্বালানী শক্তি সাশ্রয় করা চীনের একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি হবে । কাজেই এ আইনের সংশোধন শুধু বর্তমানকালের লক্ষণীয় সমস্যার সমাধান করাই যথেষ্ট নয় , বরং জ্বালানী সাশ্রয়ের এক স্থায়ী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।

    বর্তমান জ্বালানী সাশ্রয় আইন দশ বছর আগে প্রণয়ন করা হয় । এবার এ আইনের প্রায় প্রতিটি ধারা সংশোধিত হচ্ছে । আগের আইনের তুলনায় সংশোধিত আইনের দুটি বড় পার্থক্য হলঃ সংশোধিত জ্বালানী সাশ্রয় আইনের আওতা আগের চেয়ে আরো ব্যাপক হবে । আরো বেশি পেশাগত ক্ষেত্রে এ আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্তকরা হয়েছে এবং জ্বালানী সাশ্রয়ের মানদন্ডকে আরো স্পষ্ট করা হয়েছে । আরেকটি পার্থক্য হল আইনের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা আরো স্পষ্ট হয়েছে । সংশোধিত আইনে শাস্তি ও পুরস্কারের বিষয়টিও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ।

    এই আইন সংশোধনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল বাড়ীঘর নির্মাণ , যানবাহন ও পাবলিক সংস্থার মত জ্বালানীর ক্ষয় বেশি এমন শিল্প বিভাগকে জ্বালানী সাশ্রয় আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা । সংশোধিত আইনে বাড়ীঘর নির্মান ও যানবাহন শিল্পের জন্য জ্বালানী সাশ্রয় ও পরিচালনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে । এ ছাড়া সরকারী সংস্থাগুলোর জ্বালানী সাশ্রয় ও জ্বালানী ক্ষয়ের দায়িত্বের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে ।

    সংশোধিত আইনে কর আদায়সহ নানা ধরনের আর্থিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি কিছু বাধ্যতামূলক জ্বালানী সাশ্রয় ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে । এ সম্পর্কে ফু চি হুয়ান বলেন , এ সব ব্যবস্থা জ্বালানীর ক্ষয় ও জ্বালানীর অপচয় রোধে সাহায্য করবে , যে সব পণ্যদ্রব্য ও সরঞ্জামে জ্বালানীর ক্ষয় বেশি হয় , সেগুলোকে বাদ দেয়ার গতিকেও তরান্বিত করার পাশাপাশি দেশের জ্বালানী সাশ্রয় ও সুষ্ঠুপরিবেশ সংরক্ষণের কাজে সাহায্য করবে ।

    গত বছর চীন বার্ষিক জ্বালানী ক্ষয় কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে পারে নি । বিশেষজ্ঞদের মতে , এ লক্ষ্য হাসিল করতে না পারার প্রধান কারণ হল জ্বালানী সাশ্রয় ও পরিবেশ সংরক্ষণ ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ব্যবস্থার অভাব এবং শাস্তি প্রদান ক্ষেত্রের অপরিপূর্ণতা। কাজেই সংশোধিত আইনে অনেক বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । এ আইনে বিভিন্ন বিভাগের দায়দায়িত্বের সংখ্যাও আগের ৮টি থেকে ১৮টিতে উন্নত হয়েছে ।

    এ ছাড়া সংশোধিত আইনে জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্য অর্জনকে স্থানীয় সরকার ও তার দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজকর্ম মূল্যায়নের অন্যতম বিষয় হিসেবে গণ্য করা হবে । এ ক্ষেত্রে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের অর্থ ও অর্থনীতি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি মিন চি বলেন , এর আগে আমরা অর্থনীতি উন্নয়নের গতি ও আর্থিক আয় বৃদ্ধির উপর বেশি গুরুত্ব দিতাম । এখন আমরা টেকসই উন্নয়নের দিকে বেশি গুরুত্ব দেব । চীনের একাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনায় গোটা দেশের জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্য পেশ করা হয়েছে । বিভিন্ন স্থান নিজ নিজ জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্য পেশ করেছে ।

    সংশোধিত জ্বালানী সাশ্রয় আইন আগামী বছরের পয়লা এপ্রিল চালু হবে ।