২৬ অক্টোবর সিউলে "কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসম্পর্কিত সেমিনারে " দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত নিং ফুখুই এ ব্যাপারে চীনের অভিমত ব্যাখ্যা করেছেন ।
তিনি মনে করেন , কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে । এক , ঐতিহাসিক অবস্থান এবং বাস্তব সম্পর্কের দিক থেকে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে । দক্ষিণ কোরিয়া , উত্তর কোরিয়া , চীন , যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলার চারটি প্রত্যক্ষ পক্ষ । চারপক্ষের বৈঠকের মাধ্যমে উপদ্বীপে শান্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেমন বাস্তব তেমনি সম্ভব এবং উপদ্বীপের স্থায়ী শান্তি রক্ষার পক্ষে সহায়ক হবে । দুই, উপদ্বীপে শান্তি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে নানা ধরণের স্নায়ু যুদ্ধমূল থেকে নির্মূল করতে হবে । এর জন্য সময় লাগবে । ৬ পক্ষীয় বৈঠকে গৃহীত সংশ্লিষ্ট দলিল ও বিবৃতি অনুযায়ী তা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে । তাছাড়া বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সকলে বিজয়ী হয় এমন একটি ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।
রাষ্ট্রদূত নিং ফুখুই আরও বলেন , বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় ৬ পক্ষীয় বৈঠক এবং কোরিয়া-মার্কিন সম্পর্ক, উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কেইতিবাচক অবস্থা তৈরী হয়েছে । উপদ্বীপের পরিস্থিতিতে গভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে । উপদ্বীপে শান্তিব্যবস্থা গড়ে তোলার পক্ষে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সুযোগ । এ প্রক্রিয়ায় চীন আগের মতো ভবিষ্যতেও সক্রিয় ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে এবং বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ , সমন্বয় ও সহযোগিতা বজায় রাখতে ইচ্ছুক।
--চুং শাওলি
|