২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নতুন শাস্তিমূলক নীতি কথা ঘোষণা করেছে । পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তারের প্রতি ইরানী সমর্থনের নিন্দা করা হয়েছে । ইরান অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে , অস্ত্রের বিস্তার এবং ইরাক ও মধ্য-প্রাচ্যের অন্য দেশে সন্ত্রাসী সংস্থাগুলোকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ইরানকে শান্তি দেওয়া হবে । তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে । জানা গেছে, শাস্তির মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে রাখা ইরানী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীসহ ২০টিরও বেশি সরকারী সংস্থা এবং ইরানী নাগরিকদের ব্যক্তিগত অর্থ ফ্রিজ করা এবং এরপর মার্কিন ব্যক্তিগত সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর ইরানী সংস্থা বা ব্যক্তির অর্থ ফ্রিজ করা হবে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেনের আরোপ ।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আলি হোসেইনি যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইরানী জনগণ ও ইরানের বৈধ সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং যথারীতি তা ব্যর্থ হবে ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এদিন বলেন, ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল অব্যাহতভাবে আলোচনা করা । ইরানের বিরুদ্ধে নতুন শাস্তি একটি বিপদজনক উপায় । এটা উল্টো ইরান সমস্যা আরও বাড়াবে ।
অন্য এক খবরে জানা গেছে, ২৫ অক্টোবর রাতে জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার হ্যামবুর্গে ইরানের নতুন পরমাণু আলোচনার প্রধান প্রতিনিধি সাঈদ জালিলি এবং সাবেক প্রতিনিধি আলি লারিজানির সঙ্গে বৈঠকে বলেন, পরমাণু সমস্যায় ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট না করতে পারলে, তারা আরো বেশি শাস্তির সম্মুখীন হবে ।
(ছাও ইয়ান হুয়া)
|