v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-25 20:41:24    
চীনের প্রথম চাঁদ প্রদক্ষিণ পরীক্ষানিরিক্ষা উপগ্রহ উত্ক্ষেপন সফল হয়েছে

cri
    ছাং ঔ ১ নামে চীনের প্রথম চাঁদ গবেষণা উপগ্রহ ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাফল্যের সঙ্গে উত্ক্ষেপন করা হয় । এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, চীনের চাঁদ প্রদক্ষিণ ও গবেষনা প্রকল্পেরগুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে । এর মধ্য দিয়ে কাছ থেকে মহাকাশ গবেষণার উদ্বোধন হলো ।

    পেইচিং সময় ২৪ অক্টোবর বিকেল ৬ টা ০৫ মিনিটে অগ্নি সংযোগের আদেশের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৫০ মিটার উচু " তিন নম্বর-এ লাং মার্চ" রকেট প্রচন্ড আওয়াজের মধ্যে ছাং ঔ ১ উপগ্রহটিবহন করে আকাশে উত্ক্ষেপিতহয় ।

    দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছাং উপগ্রহ উত্ক্ষেপন কেন্দ্র থেকে উপগ্রহটি উত্ক্ষেপন করা হয় । উড্ডয়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাং ঔ ১ উপগ্রহ ৫ নভেম্বর পৃথিবী থেকে ৪ লাখ কিলোমিটার দূরে অবস্থিতচাঁদেরকক্ষপথেপ্রবেশ করবে এবং নভেম্বর মাসের শেষ দিকে চাঁদের প্রথম ছবি পাঠাবে । তার পর উপগ্রহটি পরবর্তী এক বছর ধরে পরীক্ষানিরীক্ষাও গবেষণা চালাবে ।

    যখন ছাং ঔ ১ উপগ্রহটি নির্ভুলভাবে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রবেশ করে , তখন সিছাং উপগ্রহ কেন্দ্রের প্রধান লি সাংফু ঘোষণা করেন , এবারের উত্ক্ষেপন সফল হয়েছে । চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী চেন পেইইয়েন উপগ্রহ কেন্দ্রে নিজের চোখে উত্ক্ষেপন দেখেছেন । তিনি উত্ক্ষেপনের সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ভাষণ দিয়েছেন । তিনি বলেন , চাঁদ প্রদক্ষিণ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চাঁদ প্রদক্ষিণ ও গবেষণা উপগ্রহ কৃত্রিম উপগ্রহ ও মানুষবাহী মহাকাশযানের পর চীনের মহাশূন্য উন্নয়নের একটি মাইলফলক ।

    তিন বছর আগে চীনে চাঁদ প্রদক্ষিণ গবেষনা প্রকল্প শুরু হয় । প্রকল্পটির নকশাকার সুন চিয়াতুং এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন , চাঁদ প্রদক্ষিণ গবেষনা প্রকল্প শুরু হওয়ার ৫০ বছর আগে মহাশূন্যেআমাদের সবকটি কাজকর্ম পৃথিবীর নিকটবর্তী মহাশূন্য ঘিরে অর্থাত পৃথিবী থেকে কয়েকশ' কিলোমিটার , কয়েকহাজার কিলোমিটার বা প্রায় এক লাখ কিলোমিটার উঁচুতে চালানো হয় । মহাশূন্য সংক্রান্ত কৌশল আয়ত্ত করার পর আমরা অবশ্যই গভীর মহাকাশে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর চেষ্টা চালাব । আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল চাঁদে প্রবেশ করা । চাঁদ থেকে ৪ লাখ কিলোমিটার দূরে পৃথিবী অবস্থিত ।

    ছাং ঔ ১ উপগ্রহটি উত্ক্ষেপনের প্রক্রিয়ায় বিদেশের কিছু মহাশূন্য ব্যুরোর প্রতিনিধির আমন্ত্রিত হয়ে ঘটনাস্থলে উত্ক্ষেপন উপভোগ করেন । এক সাক্ষাত্কারে ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সিরবৈদেশিক সম্পর্ক ও আইন বিষয়ক বিভাগের প্রধান রেনি ওস্টারলিনক চীনের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বলেছেন , চাঁদে অনুসন্ধান ও গবেষণা ক্ষেত্রে তারা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক ।

    চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন , চীন শান্তিপূর্ণভাবে মহাশূন্য ব্যবহার এবং মানবজাতির কল্যাণ করার নীতিতে অটল থাকবে এবং " সমতা এবং পারস্পরিক কল্যাণ, শান্তিপূর্ণ ব্যবহার , যৌথভাবে উন্নয়নের" নীতি অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মহাশূন্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার করবে ।

    ছাং ঔ ১ উপগ্রহ উত্ক্ষেপন চীনে চাঁদ প্রদক্ষিণ প্রকল্পের প্রথম পদক্ষেপ মাত্র। এর উত্ক্ষেপন সফল হওয়ার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১২ সালের আগে চাঁদের বাইরে অনুসন্ধান-যন্ত্রের সফ্ট ল্যান্ডিং বাস্তবায়িত হবে এবং ২০২০ সালের আগে মানুষবাহী মহাকাশযান চাঁদে নামবে এবং মাটির নমুনা পৃথিবীতে বয়ে আনা হবে । চীনের চাঁদ ব্যবহারী ক্ষেত্রে প্রধান বৈজ্ঞানিক ঔইয়াং চিইউয়ানের এক মহা পরিকল্পনা হচ্ছে , চাঁদ প্রদক্ষিণ প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে গভীর মহাশূন্যে পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর এক পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ।

    তিনি বলেন , এবারের সাফল্য মাত্র একটি সূচনা । আমরা মানুষবাহী মহাকাশযানের কৌশলের সঙ্গে ভালভাবে সমন্বয় করব, ভবিষ্যতে মানুষের চাঁদে আরোহন বাস্তবায়িত করব । তার পর মঙ্গল, ক্ষুদ্র উপগ্রহ এবং ধুমকেতু পরীক্ষা নিরীক্ষা করব । মানবজাতির অনুসন্ধানের কাজের শেষ নেই । ---চুং শাওলি