চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর হচ্ছে ২৭তম বিশ্ব খাদ্য দিবস। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এ বছরের খাদ্য দিবসের প্রসঙ্গ হিসেবে 'খাদ্যের অধিকার' নিশ্চিত করেছে। এর অর্থ প্রত্যেকেরই যথেষ্ট খাদ্য পাওয়ার অধিকার আছে।
১৯৭৯ সালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০তম অধিবেশনে ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছরের ১৬ অক্টোবর (জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী) বিশ্ব খাদ্য দিবস আয়োজনের সিদ্ধন্ত নেয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের খাদ্যের অভাব জনিত সমস্যার ব্যাপারে মানুষদের গুরুত্ব আকর্ষণ করা, বিভিন্ন দেশকে ব্যবস্থা নিয়ে খাদ্যের উত্পাদন বাড়ানোর তাগিদ দেয়া এবং ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা। প্রতি বছরের খাদ্য দিবসে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিভিন্ন দেশের সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে।
খাদ্য হচ্ছে মানবজাতির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বস্তুগত ভিত্তি। মানবজাতির সভ্যতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কিন্তু বিশ্বের লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়া, আবাদী জমির আয়তন ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়া এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের সামজস্যহীতনার সঙ্গে সঙ্গে, বিশ্বের কৃষি ও খাদ্যের উত্পাদনের পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি লোকের জন্য যথেষ্ট খাদ্যের অভাব রয়েছে। এ পরিমান বিশ্বের লোকসংখ্যার ৭ ভাগের ১ ভাগ। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় ও যথেষ্ট গুণগত ভালো মানের খাবার নিশ্চিত করা হচ্ছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মূল লক্ষ্য।
ক্ষুধা বর্তমানে মানবজাতির সম্মুখীন প্রধান হুমকি। তাই খাদ্য ও কৃষি সংস্থা 'খাদ্যের অধিকার' এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রসঙ্গ হিসেবে নির্ধারন করেছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জোর দিয়ে বলেছে, বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত প্রত্যিটি লোকের খাদ্যের অধিকারকে নিশ্চিত করা এবং কার্যকরভাবে মানবজাতির এই মৌলিক অধিকারকে সংরক্ষণ করা। ১৯৯৬ সাল বিশ্ব খাদ্যের ওপর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়া থেকে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকার ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে খাদ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিভিন্ন দেশকে পরিকল্পনা তৈরী করতে সাহায্য করছে। যাতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্ষুধাতে লোকসংখ্যা অর্ধেক কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যায়।
|