v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-17 17:53:44    
বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু হাসনাত হোমাম্মদ জিয়াউল হকের দেয়া সাক্ষাত্কারের দ্বিতীয় অংশ

cri

 প্রঃ আপনার মতে বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে গবেষণা ছাড়া আর কি কি কাজ করার আছে?

 উঃ আমাদের দেশে কৃষি গবেষণা থেকে যেটা বের হয়ে আসছে সেটার বিস্তার ঘটানোর ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তারা হয়তো ঠিকমত কাজ করেন না। আমরা দেখতে পেয়েছি যে একটা প্রভাক্ট ডেভেলপ করলে সেটাকে কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যেতে গেলে এক্সটেনশন দরকার মানে খুব শক্ত চেইন অব কমান্ড। যেটা আমাদের দেশে কিছুটা দুর্বল। রিসার্চ পর্যায়ে যে আউট পুট তা কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা গ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এটা চীনে ডেভেলপড। একটা রিসার্চ ডেভেলপ করলে তা কৃষকের কাছে খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে।বাংলাদেশে ম্যান পাওয়ার ও হাইটেক টেকনিশিয়ানের সমস্যা, মনিটরিং সমস্যা এবং স্যোসাল কমিট মেন্টেও সমস্যা আছে।

 প্রঃ বাংলাদেশ এবং চীন দু'দেশই ধানের উত্পাদনের পরিমান বেশি। এ ক্ষেত্রে দু'দেশ পরস্পরের কাছ থেকে কী শিখতে পারে?

 উঃ চীনের কাছ থেকে আমাদের যেটা শেখার আছে, সেটা হচ্ছে যে, কীভাবে গুড মেইনটেনেন্সের মাধ্যমে প্রডাকশন বাড়ানো যায়। আমরা হাই ইল্ডিং ভ্যারাইটি ডেভেলপ করেছি, আপনারা হয়তো জানেন যে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিষ্টিউট যেটা গাজীপুরে আছে, তারা প্রায় ৪০টা ভ্যারাইটি তৈরী করেছে। কিন্তু আমরা জি এমও পর্যায়ে কেবল রিসার্চ পর্যায়ে আছি। আমাদের ধান প্রভাকশন ৮০%, আপনাদেরও হয়তো ৭০ থেকে ৮০%। আপনারাও রাইস বেজড এবং আমরাও রাইস বেজড। এই রাইস ক্ষেত্রে কিন্তু চীন সরকার বাংলাদেশের গবেষণা কাজে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে হাই ব্রীড ও সুপার হাই ব্রীড। আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। জনসংখ্যা এখন ১৫ কোটি। ২০/৩০ বছর আগে উত্পাদিত ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টন। এখন তা প্রায় ৩ কোটি টনে দাঁড়িয়েছে। আমাদের লোকসংখ্যা ডাবল হয়েছে এবং ফুড প্রোডাকশনও ডাবল হয়েছে। এটা কিন্তু আমাদের সাকসেস। এখন আমরা যেখানে হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ৬ টন রাইস উত্পাদন করছি, সেখানে চীনের সহায়তায় আমরা ১৮টন না হলেও ১২ টন করতে পারি। এশিয়ার নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা চীনেরই আছে। আমার মনে হয়, চীন একটা বড় দেশ। তার ঐতিহ্য আছে এবং লিভারশীপ চীনের হাতেই থাকা উচিত। এবং আমরা যারা ছোট দেশ আছি, তাদের সঙ্গে চীনের কোঅপারেশন আরো বাড়ানো উচিত। যাতে চীনের নেতৃত্বে আমরা সবাই কৃষি ক্ষেত্রে একত্রিত হতে পারি। কৃষি উন্নয়নে জাপান এগিয়েছে। কিন্তু জাপানের এরিয়া কম ও পলিউশন রয়েছে। কিন্তু চীনের পপুলেশন ও এরিয়া বেশি। আমি মনে করি যে, এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষণীয় বিষয়। আমাদেরও পপুলেশন বেশি, এরিয়া কম।

 প্রঃ আমাদের বিশ্বাস, দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা দু'দেশেরই কৃষি উন্নয়নের জন্য খুব সহায়ক হবে?

 উঃ অবশ্যই। আমি মনে করি যে, আমরা এগ্রিকালচারাল রিলেশনের মাধ্যমে এগুতে পারি। আপনারাও এগ্রিকালচারাল বেইজড এবং আমরাও। তবে এখন আপনারা ইন্ডাষ্ট্রির দিকে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরও মেক্সিমাম মানুষ কিন্তু কৃষির ওপরে ডিপেন্ড করে। শহরে হয়তো ইন্ডাষ্ট্রির ওপরে করে। কৃষিতে আমাদেরও একই অবস্থা। সুতরাং কৃষির মাধ্যমে কিন্তু বন্ড অব রিলেশনশীপ মানে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরো বাড়াতে পারি। কৃষির মাধ্যমে অন্যান্য সেক্টরও ডেভেলপ করতে পারি। আপনি জেনে খুশী হবেন যে শুধু কৃষি নয়, অন্যান্য সেক্টরেও কিন্তু চীনের সাথে বিগত ৫ বছরে আমাদের অনেক কোঅপারেশন বেড়েছে। আগে যেখানে বাংলাদেশের ইমপোর্ট বেশি হতো ইন্ডিয়া থেকে। এখন সেখানে বেশি হচ্ছে চীন থেকে। কৃষির মাধ্যমেও কিন্তু অন্যান্য ইডাষ্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট বাড়াতে পারি। ইমপোর্টের জন্য চীনের কোয়ালিটি ভালো এবং লো প্রাইসড। আমরা ইউরোপের চেয়ে চায়নাকে প্রিফার করছি। সুতরাং শুধৃ কৃষি ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই আমার মনে হয় রিলেশনশীপ অনেক অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের টীমেরও সেটা বিশ্বাস। এবং এই যে ২০ দিনের সফরে, আমাদের যে অভিজ্ঞতা তা আমরা কাজে লাগাতে পারি এবং এই অভিজ্ঞতাকে আমাদের যারা কলিগ আছেন তাদের সঙ্গে শেয়ার করবো, ফলে তারাও চীন সম্পর্কে একটা পজিটিভ ধারণা পাবে। আমরা ১০ জনকে বলবো ১০ জন আরো ১০০ জনকে বলবে। এ ধরনের সফর প্রতি বছরই হওয়া উচিত। আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে চীনের কাছ থেকে।