২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের সময় ঘনিয়ে আসছে । চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে চলছে । এবারের গেমস ভালভাবে পরিচালনার জন্য পেইচিং অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটি " বৈজ্ঞানিক অলিম্পিক"-এর স্লোগান তুলেছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অলিম্পিক তথ্য যথাযথভাবে বিশ্ববাসীকে জানানোর জন্য বৈজ্ঞানিক উপায়টা কি? আজকের " বিজ্ঞান ও জীবন" অনুষ্ঠানে আমরা এ নিয়েই আলোচনা করবো। তার আসে বলে নিচ্ছি পেইচিংয়ের পুরকীর্তির ওপর দু'একটি কথা।
পেইচিং একটি পুরনো রাজধানী কাহর । পেইচিংয়ের রাজধানী হওয়ার ইতিহাস সাড়ে আট শ' বছরেরও বেশি । এই নগরীর প্রায় সব জায়গাতে পুরাকীর্তি রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে সংরক্ষিত এ ধরণের পুরাকীর্তির সংখ্যা দু হাজারেরও বেশি । অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে চীনের কিছু ঐতিহ্যিক স্থাপত্য নষ্ট হতে শুরু করেছে । এ সব পুরনো স্থাপত্যে আগুন ও বজ্রপাত প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই । ২০০০ সালে পেইচিং পৌর সরকার পুরাকীর্তি সংস্কার করার জন্য ৩৩ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছিল। এই সরকারী বরাদ্দ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা থেকে এবং সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের অনুদানসহ মোট ৫ বিলিয়ন ইউয়ান জোগাড় করে । এই অর্থ দিয়ে তিন বছরের মধ্যে পেইচিংয়ের সব পুরাকীর্তি ও পুরানিদর্শন সংস্কার করা হয়েছে । চীনের পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ইতিহাসে এত বড় সংস্কারের ঘটনা বিরল । এবারের অলিম্পিক গেমসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার তথ্য প্রচারের জন্য অনেক সহায়ক হবে। সম্প্রতি, সংবাদ বিষয়টি তৃতীয় বৈজ্ঞানিক ফোরাম পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা----সিনহুয়া বার্তা সংস্থার উপপ্রধান লু ওয়েই সেখানে এক ভাষণে বলেন, প্রযুক্তি অলিম্পিক গেমসের তথ্য প্রচারের কাজে অনেক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন:" ' বৈজ্ঞানিক অলিম্পিক' হচ্ছে ভিত্তি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হচ্ছে অলিম্পিক গেমস সাফল্যের সঙ্গে শেষ হওয়ার সুনিশ্চয়তা। এ থেকে বোঝা যায় যে, ' পেইচিং অলিম্পিক গেমস----২০০৮' সংক্রান্ত প্রচারের কাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এটো গুরুত্বপূর্ণ "।
সম্প্রতি চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যুরো "বেসামরিক বিমানচলাচল পরিচালনা সংক্রান্ত অলিম্পিক গেমস সুরক্ষা কর্মসূচী" কার্যকর করেছে। এর ফলে ২০০৮ সালে পেইচিং অলিম্পিক গেমস চলাকালে আকাশের নিরাপত্তা সার্বিকভাবে সুরক্ষিত হয়েছে।
কর্মসূচীতে বলা হয়েছে, পেইচিং, থিয়েনচিন , ছিনতাওসহ অলিম্পিক গেমস আয়োজনকারী শহরগুলোয় বিমান চলাচলের জন্যে আকাশ সীমা, বিমান লাইন এবং উড্ডয়নের সীমিত অঞ্চল নির্ধারণ করে দেয়া হবে। পেইচিংসহ বিভিন্ন মহা নগরের মধ্যে জরুরী বিমান লাইন গড়ে তোলা হবে। এর পাশাপাশি অনুষ্ঠান আয়োজনকারী শহরগুলোতে টেলিযোগাযোগ , আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা এবং আকাশ পরিচালনা সংক্রান্ত পরিসেবা ব্যবস্থা স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে।
এবারের অলিম্পিক গেমসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার । চীনের ইন্টারনেট যোগযোগ লিমিটেড কোম্পানির অলিম্পিক টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপপ্রধান চাং লিং বলেছেন:" এবারের অলিম্পিক গেমসে সংশ্লিষ্ট অলিম্পিক তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। আমি আশা করছি টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবো।"
1 2
|