রাজশাহী জেলার শ্রোতা রাশিদুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, বতর্মানে চীনের সবচেয়ে উচু ভবন কোনটি? এই ভবন কোথায় অবস্থিত? বতর্মানে চীনের সবচেয়ে উচু ভবন সাংহাইয়ের জিনমাও বাণিজ্য ভবন। সাংহাইএর পুডন ব্যাংকিং ও বাণিজ্য এলাকায় এই ভবন অবস্থা হয়। এ ভবন মোট ৮৮ তলা, ভাবনটির মোট দৈর্ঘ্য ৪২১ মিটার। কিন্তু ২০০৫ সালের নভোম্বর থেকে নিমার্ন-করা সাংহাই ব্যাংকিং কেন্দ্রের উচ্চতা ১০১ তলা হবে। এ ভবন বিশ্বের সবচেয়ে উচু ভবন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিলেট জেলার শ্রোতা সেলিম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে? শ্রোতা বন্ধু, আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুব কঠিন। কারণ চীন একটি বিশাল দেশ। মোট ৩১টি প্রদেশ ও ৫টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আছে। প্রত্যেক প্রদেশে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কেবল পেইচিংএ প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক জনপদ ইনস্টিটিউও গড়ে উঠেছে। সুতরাং সারা চীনে কত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তা বলা খুব কঠিন।
পাবনা জেলার শ্রোতা নুরুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের বতর্মান প্রেসিডেন্টের নাম কি? বতর্মান প্রধান মন্ত্রীর নাম কি? উত্তরে বলছি, চীনের বতর্মান প্রেসিডেন্টের নাম হু চিন থাও। বতর্মান প্রধান মন্ত্রীর নাম ওয়েন চিয়া পাও। তাঁরা দু'জনই বাংলাদেশ সফর করেছেন।
ঢাকা জেলার শ্রোতা মিলন তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনা মহিলারা কি পুরুষের মতো চাকরি করেন? উত্তরে বলছি, চীনে মহিলা ও পুরুষের সামাজিক অবস্থান সমান। তারা সমভাবে বিভিন্ন চাকরি করেন। চীনে মহিলাকে " অধের্ক আকাশ বলে "বলে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো মহিলারা কাজ করছেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের উদাহরণ ধরা যাক, বতর্মানে চীন আন্তর্জাতিক বেতারে প্রায় ৬০ শতাংশই মহিলা কর্মী। আমাদের বাংলা বিভাগেও অধিকাংশ কর্মীই মহিলা। এক কথায়, চীনের গঠনকাজে মাহিলাদের অবদান প্রসংশনীয়।
কুমিলা জেলার শ্রোতা স্বপ্না রায় তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের প্রধান যানবাহন কী? উত্তরে বলছি, চীনের শহরাঞ্চলে প্রধান যানবাহন বাস। বাসে চড়ে মানুষ শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। কিন্তু কোন কোন লোক সাইকল চালাতে পছন্দ করে। গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে উন্নত অঞ্চলে মোটর সাইকল জনসাধারণের প্রধান যানবাহন হয়েছে। দক্ষিণ চীনের কোন কোন এলাকায় প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই কমপক্ষে একটি সোটর সাইকল আছে। অবশ্যই চীনের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে বাস চলাচল ব্যবস্থাও আছে।
এতক্ষণ মুখোমুখি শুনলেন। শ্রোতা বন্ধুরা, চীনের কমিউনিষ্ট পাটির ১৭তম কংগ্রেস আগামী ১৫ অক্টোবর পেইচিংএ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে এর আগের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে আমরা কমিউনিষ্ট পাটি সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের বলেছি। আজকের এ অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির উত্থাপিত " বিজ্ঞাস্মত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী" সম্বন্ধে কিছু বণর্না করবো।
বিজ্ঞানস্মত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী বলতে মানুষের উপর গুরুত্ব আরোপ করার ভিত্তিতে সাবির্ক ,সমন্বয়গত এবং স্থিতিশীলভাবে উন্নয়ন সাধানের দৃষ্টিভঙ্গীকে বুঝায়।
২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত চীনের কমিউনিষ্ট পাটির ১৬তম কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশনে এই দৃষ্টিভঙ্গী উত্থাপিত হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গীর মর্ম হল, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা, আঞ্চলিক উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা , প্রকৃতির সঙ্গে মানুষযের সুষমগত উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা এবং অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও বহিদির্কে উন্মুক্তকরণ সাবির্কভাবে বিবেচনা করার পূবর্শর্তে চীনের সংস্কার ও উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মানুষের উপর গুরুত্ব আরোপ করা মানে জনসাধারণের স্বার্থকে যাবতীয় কাজকর্মের আগে বিবেচনা করা এবং তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাহিদা পূরণ করে মানব জাতির সাবির্ক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা । সাবির্ক উন্নয়ন হচ্ছে, ধাপে ধাপে সামাজতান্ত্রিক বাজারের অথনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা, অথর্নীতির দ্রুত গতিতে সমন্বয়গত ও সুষ্ঠুভাবে উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক সভ্যতা , আত্ম সভ্যতার গঠনকাজ দ্রুততর করা। যাতে সামগ্রী সভ্যতা, রাজনৈতিক সভ্যতা ও আত্ম সভ্যতা পারষ্পরিকভাবে তরান্বিত করা ও সম্মলিতভাবে উন্নয়নের কাঠামো গড়ে তোলা হয়। সমন্বয়গত উন্নয়ন হচ্ছে, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের সমন্বয় উন্নয়ন, আঞ্চলিক উন্নয়ন , আর্থ-সামাজিক সমন্বয় উন্নয়ন , অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও বহির্দিকে উন্মুক্তকরণ সাবির্কভাবে বিবেচনা করা। টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সমন্বয় উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা।
বিজ্ঞানগত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী হচ্ছে নতুন শতাব্দী ও নতুন পযার্য়ে চীনের উন্নয়নের সাবির্ক পরিস্থিতির দিক থেকে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত চিন্তাধারা।
আজকের মুখোমুখি এখানে শেষ হল। ভাল থাকুন , সুস্থ্য থাকুন , আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে।
রাজশাহী জেলার শ্রোতা রাশিদুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, বতর্মানে চীনের সবচেয়ে উচু ভবন কোনটি? এই ভবন কোথায় অবস্থিত? বতর্মানে চীনের সবচেয়ে উচু ভবন সাংহাইয়ের জিনমাও বাণিজ্য ভবন। সাংহাইএর পুডন ব্যাংকিং ও বাণিজ্য এলাকায় এই ভবন অবস্থা হয়। এ ভবন মোট ৮৮ তলা, ভাবনটির মোট দৈর্ঘ্য ৪২১ মিটার। কিন্তু ২০০৫ সালের নভোম্বর থেকে নিমার্ন-করা সাংহাই ব্যাংকিং কেন্দ্রের উচ্চতা ১০১ তলা হবে। এ ভবন বিশ্বের সবচেয়ে উচু ভবন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিলেট জেলার শ্রোতা সেলিম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেচীনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে? শ্রোতা বন্ধু, আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুব কঠিন। কারণ চীন একটি বিশাল দেশ। মোট ৩১টি প্রদেশ ও ৫টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আছে। প্রত্যেক প্রদেশে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কেবল পেইচিংএ প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক জনপদ ইনস্টিটিউও গড়ে উঠেছে। সুতরাং সারা চীনে কত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তা বলা খুব কঠিন।
পাবনা জেলার শ্রোতা নুরুল ইসলাম তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের বতর্মান প্রেসিডেন্টের নাম কি? বতর্মান প্রধান মন্ত্রীর নাম কি? উত্তরে বলছি, চীনের বতর্মান প্রেসিডেন্টের নাম হু চিন থাও। বতর্মান প্রধান মন্ত্রীর নাম ওয়েন চিয়া পাও। তাঁরা দু'জনই বাংলাদেশ সফর করেছেন।
ঢাকা জেলার শ্রোতা মিলন তাঁর চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনা মহিলারা কি পুরুষের মতো চাকরি করেন? উত্তরে বলছি, চীনে মহিলা ও পুরুষের সামাজিক অবস্থান সমান। তারা সমভাবে বিভিন্ন চাকরি করেন। চীনে মহিলাকে " অধের্ক আকাশ বলে "বলে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো মহিলারা কাজ করছেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের উদাহরণ ধরা যাক, বতর্মানে চীন আন্তর্জাতিক বেতারে প্রায় ৬০ শতাংশই মহিলা কর্মী। আমাদের বাংলা বিভাগেও অধিকাংশ কর্মীই মহিলা। এক কথায়, চীনের গঠনকাজে মাহিলাদের অবদান প্রসংশনীয়।
কুমিলা জেলার শ্রোতা স্বপ্না রায় তার চিঠিতে জিজ্ঞেস করেছেন, চীনের প্রধান যানবাহন কী? উত্তরে বলছি, চীনের শহরাঞ্চলে প্রধান যানবাহন বাস। বাসে চড়ে মানুষ শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। কিন্তু কোন কোন লোক সাইকল চালাতে পছন্দ করে। গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে উন্নত অঞ্চলে মোটর সাইকল জনসাধারণের প্রধান যানবাহন হয়েছে। দক্ষিণ চীনের কোন কোন এলাকায় প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই কমপক্ষে একটি সোটর সাইকল আছে। অবশ্যই চীনের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে বাস চলাচল ব্যবস্থাও আছে।
এতক্ষণ মুখোমুখি শুনলেন। শ্রোতা বন্ধুরা, চীনের কমিউনিষ্ট পাটির ১৭তম কংগ্রেস আগামী ১৫ অক্টোবর পেইচিংএ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে এর আগের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে আমরা কমিউনিষ্ট পাটি সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের বলেছি। আজকের এ অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির উত্থাপিত " বিজ্ঞাস্মত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী" সম্বন্ধে কিছু বণর্না করবো।
বিজ্ঞানস্মত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী বলতে মানুষের উপর গুরুত্ব আরোপ করার ভিত্তিতে সাবির্ক ,সমন্বয়গত এবং স্থিতিশীলভাবে উন্নয়ন সাধানের দৃষ্টিভঙ্গীকে বুঝায়।
২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত চীনের কমিউনিষ্ট পাটির ১৬তম কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশনে এই দৃষ্টিভঙ্গী উত্থাপিত হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গীর মর্ম হল, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা, আঞ্চলিক উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা , প্রকৃতির সঙ্গে মানুষযের সুষমগত উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা এবং অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও বহিদির্কে উন্মুক্তকরণ সাবির্কভাবে বিবেচনা করার পূবর্শর্তে চীনের সংস্কার ও উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মানুষের উপর গুরুত্ব আরোপ করা মানে জনসাধারণের স্বার্থকে যাবতীয় কাজকর্মের আগে বিবেচনা করা এবং তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাহিদা পূরণ করে মানব জাতির সাবির্ক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা । সাবির্ক উন্নয়ন হচ্ছে, ধাপে ধাপে সামাজতান্ত্রিক বাজারের অথনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা, অথর্নীতির দ্রুত গতিতে সমন্বয়গত ও সুষ্ঠুভাবে উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক সভ্যতা , আত্ম সভ্যতার গঠনকাজ দ্রুততর করা। যাতে সামগ্রী সভ্যতা, রাজনৈতিক সভ্যতা ও আত্ম সভ্যতা পারষ্পরিকভাবে তরান্বিত করা ও সম্মলিতভাবে উন্নয়নের কাঠামো গড়ে তোলা হয়। সমন্বয়গত উন্নয়ন হচ্ছে, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের সমন্বয় উন্নয়ন, আঞ্চলিক উন্নয়ন , আর্থ-সামাজিক সমন্বয় উন্নয়ন , অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও বহির্দিকে উন্মুক্তকরণ সাবির্কভাবে বিবেচনা করা। টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সমন্বয় উন্নয়ন সাবির্কভাবে বিবেচনা করা।
বিজ্ঞানগত উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী হচ্ছে নতুন শতাব্দী ও নতুন পযার্য়ে চীনের উন্নয়নের সাবির্ক পরিস্থিতির দিক থেকে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত চিন্তাধারা।
|