চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা পার্টির বৈদেশিক যোগাযোগের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেন । এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ১৬তম কংগ্রেসের পর থেকে এ পর্যন্ত পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য অথবা এর উচ্চপদস্থ নেতা মোট ৫০বার প্রতিনিধিদল নিয়ে বিদেশ সফর করেছেন এবং বিদেশের ক্ষমতাসীন পার্টির সঙ্গে সরাসরি মত বিনিময় করেছেন । এ সম্পর্কে উপমন্ত্রী লিউ হোংছাই বলেন, বৈদেশিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা ব্যাপকভাবে নতুন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করি । ভাল বন্ধুর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করি। আমরা কখনো পুরোনো বন্ধুকে ভুলব না ।
অন্যান্য পার্টির সঙ্গে যোগাযোগের সময় চীনা কমিউনিষ্ট পার্টি পরস্পরের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে এবং খোলামনে পরস্পরের মতপার্থক্যনিয়ে আলোচনা করে । এ সম্পর্কে মিঃ লিউ বলেন, আমরা যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন পথ , দেশ শাসন ও পরিচালনা এবং দেশ সমৃদ্ধি করার অভিজ্ঞতা বিনিময় করি তেমনি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করি । চীন সফরকালে বিদেশী প্রতিনিধি দল যেমন চীনের শিল্পোন্নত অঞ্চল তেমনি গরিব ও অনুন্নত অঞ্চলও পরিদর্শন করতে পারে । তারা চীনের একটি সার্বিক ও সত্যিকারের চিত্রজানবে বলে আমরা আশা করি ।
চীনের বহুমুখী রাষ্ট্রীয়ক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও বেশি করে আশা করছে যে , চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের স্পর্শকাতর ও কঠিন সমস্যার সমাধানে অংশ নেবে । এ জন্য চীনা কমিউনিষ্ট পার্টিজাতি সংঘের সংস্কার , বৈশ্বিকআবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবেলা , কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা , মধ্য প্রাচ্যের শান্তি আলোচনা , ফিলিস্তিন ও ইসরাইল পরিস্থিতি সহ নানা আঞ্চলিক সমস্যার সমাধানে ভূমিকা পালন করেছে । চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির ১৭তম কংগ্রেসের প্রাক্কালে উপমন্ত্রী লিউ বলেন , চীন ও বিশ্বের সম্পর্কে গভীর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির বৈদেশিক যোগাযোগ নজিরবিহীন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিহচ্ছে । আমরা বিশ্বাস করি , বৈদেশিক যোগাযোগ চীনা কমিউনিষ্ট পার্টিরনতুন আন্তর্জাতিক মর্যাদা স্থাপন, রাষ্ট্র-রাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সুষম বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আরও নতুন ও আরও বড় ৪অবদান রাখবে । 1 2
|