v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-10 14:56:09    
স্বাস্থ্যের জন্য রোদের উপকারিতার কথা

cri

    সম্প্রতি চীনের বৃদ্ধ বয়সীদের পরিষদ প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চীনে ৬.৯৭ শতাংশ লোক অস্টেওপোরোসিস অর্থাত্ হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত । রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই হল ৭০ বছরের বেশী বয়স্ক । শরীরে সূর্যের আলোর ঘাটতি থেকে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা সবচেয়ে বেশি । সূর্যালোক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যেই জানা দরকার স্বাস্থ্যের জন্য কি কি ভুমিকা পালন করে সূর্যালোক ? আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে এ বিষয়ে কিছু তথ্য দেবো ।

    সূর্যের আলো, বাতাস , পানি এবং খেলাধুলা হলো মানবজাতির সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি । চীনের বিখ্যাত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হোং চাও কুয়াং বলেছেন, সূর্যালোক শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধ করে । কারণ আমাদের ত্বক শুধু সূর্যালোকের উষ্ণতা থেকে ভিটামিন ডি তৈরী করতে পারে । ভিটামিন ডি রক্তনালীতে ক্যানসারের উপাদান নির্মূল করে বলেই, নানা ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে । গবেষণা থেকে জানা যায় , ক্যানসার প্রতিরোধে অন্য কোনো পুষ্টিকর উপাদান ভিটামিন ডি'র চেয়ে বেশি কার্যকর নয় ।

    সূর্যের আলো শরীরের ঠাণ্ডা লাগাও প্রতিরোধ করে । যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, শীতকালে সহজে ঠাণ্ডা লাগা সূর্যালোকের ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিত । এতে শরীরে ভিটামিন ডি কমে যায় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় ।

    তাছাড়া চীনের মনোবিজ্ঞান পরিষদের বিশেষজ্ঞ লিউ বাও ফেং উল্লেখ করেছেন যে, সূর্যের আলো মানুষের নৈরাশ্য এবং বিষন্নতা কমায় । অনেকের শীত বা বর্ষাকালে সহজে মন খারাপ হয় । শরীরে সূর্যের আলো না পড়াই মূলত এর জন্য দায়ী ।

    সূর্যের আলো স্বাস্থ্যের জন্য এতোটাই উপকারী , তবুও অনেকেই বিশেষ করে মেয়েরা কালো হয়ে যাবার ভয়ে শরীরে রোদ পড়তে দেয় না । ফলে ২০০৫ সালে ১৮টি দেশে হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত নারী রোগীদের শরীরের ভিটামি ডি'র পরিমাণ সম্পর্কে এক জরীপ থেকে জানা যায় যে, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি'র পরিমাণ পুরুষদের তুলনায় অনেক কম । এর কারণ হল রোদ গায়ে লাগতে না নেয়া । তাহলে স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমরা কিভাবে সূর্যের উষ্ণতা নেবো ?

    ভিন্ন ভিন্ন বয়সের মানুষের রোদ পোহানোর পদ্ধতি ভিন্ন ।

    ছোট বাচ্চারা প্রতিদিন ভোরে বা সন্ধ্যায় একবার রোদ পোহাতে পারে । প্রতিবার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট । ছোট বাচ্চাদের ত্বক অনেক নরম, তাই দুপুরের রোদে থাকলে তাদের চামড়ার ক্ষতি হবে । ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে রোদ স্নানের সময়ও ভিন্ন । বসন্ত ও শরত্কালে সকাল ৯টার থেকে ১১টার মধ্যে যে কোনো সময় ভালো । গ্রীষ্মকালে সকাল ৯টার আগে ভালো ।

    শিশুদের সাধারণত পূর্নবয়স্কদের চেয়ে একটু বেশি সূর্যের উষ্ণতা নেয়া ভালো । কারণ শিশুকাল হচ্ছে শরীর গঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়পর্ব । তখন হাড় গঠনের জন্য প্রচুর ভিটামিন ডি দরকার , যাতে শরীর সহজভাবে ক্যালসিয়াম উপাদান গ্রহণ করতে পারে ।

    তরূণ বা যুবকরা সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং বিকেলে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ,প্রতিদিন ১ বা ২ ঘন্টা গায়ে রোদ মাখলে ভালো । যুবকদের শরীরের রাসায়নিক রূপান্তরের সামর্থ্য বেশি এবং শরীরের ক্যালসিয়াম উপাদান সহজে হজম করে বলে বেশি ভিটামিন ডি দরকার । এ কারণে রোদও বেশি পোহানো ভালো ।

    বৃদ্ধ লোকজন সকাল ১০টার আগে এবং বিকেল ৪টা পর প্রতিদিন দু'বার , ৩০ মিনিট করে রোদ পোহালে ভালো । বৃদ্ধ বয়সে ঠিকভাবে রোদ গায়ে পড়লে অস্টেওপোরোসিস এবং মনের বিষন্নতা ঠেকানো যায় । কিন্তু দুপুরবেলায় রোদ না মাখাই ভালো ,কারণ দুপুরের সূর্য খুবই শক্তিশালী, যা বৃদ্ধ লোকদের চোখ ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে ।