v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-08 21:44:42    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৭/১০/৮

cri

  "আমার স্বপ্ন , আমার শিক্ষা" নামের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানটি ৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে আপনাদের কাজে লাগবে এমন সব তথ্য দিতে পারলেই আমরা আনন্দিত । যদি কেউ আমাদের এই অনুষ্ঠান শুনার পর চীনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান বা সুযোগ তৈরি করে নেন, তাহলে আমরাও খুব খুশি হবো। ৮ অক্টোবর এই আসরে আপনারা শাংহাইয়ের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা শুনতে পাবেন। অনুষ্ঠানটি সময় মতো শোনার জন্য আপনাদেরকে অগ্রীম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।

    বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বই মেলা হিসেবে সম্প্রতি পেইচিং আন্তর্জাতিক বই মেলা-২০০৭ সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। মেলা চলার সময় চীনের ও বিদেশের প্রকাশনালয়গুলো বেশ তত্পর ছিল। পেইচিং আন্তর্জাতিক বই মেলা ইতোমধ্যেই বিদেশের সঙ্গে চীনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি গুরুত্বপুর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এ বই মেলার আরেকটি উদ্দেশ্য হল অন্য দেশের বইপত্র প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে চীনের প্রকাশনা শিল্পকে আরো বিশ্বমুখী করে তোলা। ৯ অক্টোবর সংস্কৃতির সম্ভার আসরে ফাং সিউ ছিয়েন এ বই মেলা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনাবেন।

    চীনে যারা চাকরী করেন, তারা সবাই প্রতিমাসে বেতনের একটি সরু ও লম্বা কাগজ পেয়ে থাকেন। এ কাগজে তাদের পারিশ্রমিকের বিস্তারিত বিবরণ লেখা থাকে। গত কয়েক দশকে চীনের সামাজিক ব্যারোমিটারের মত এ কাগজে চীনের জনসাধারণের জীবনযাত্রার পরিবর্তন রেকর্ড হয়েছে। ২০০৬ সালে চীনে কর্মরত কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতনের মোট পরিমাণ ২ হাজার ৩০০ বিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। ২০০৫ সালের তুলনায় যা ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে। জনসাধারণের বেতন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যয়ের কাঠামোতেও পরিবর্তন ঘটছে। ১০ অক্টোবর সমাজ দর্পন আসরে এ সম্পর্কে শি চিং উ কিছু বলবেন।

    শে জাতি দক্ষিণ চীনের একটি সংখ্যালঘু জাতি। এর ৯০ শতাংশেরও বেশি অধিবাসী চীনের উপকূলীয় ফুচিয়ান প্রদেশের পূর্বাংশ ও চেচিয়াং প্রদেশের দক্ষিণাংশে বসবাস করে। শে জাতির পূর্বপুরুষরা যাযাবরের মত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বসত গাড়তে পছন্দ করতো। প্রাচীনকালে তারা দক্ষিণ চীনের অধিকাংশ অঞ্চলে থাকতো। নিরন্তর জায়গা বদলের কারণে তারা কিন্তু সংগীত গুন হারিয়ে ফেলে নি। সে কারণে শে জাতির লোক সংগীত দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন শে জাতির জন্মভূমিকে গানের সাগর বলা হয়। ১০ অক্টোবর ওরা অনন্য আসরে ফুচিয়ান প্রদেশের নিংতে শহরের পাইলুখাং নামে শে জাতির একটি গ্রাম সম্পর্কে আপনাদের শোনানো হবে।

    পূর্ব চীনের শান তুং প্রদেশ অর্থনীতি ও জনসংখ্যার দিক থেকে চীনের একটি বড় প্রদেশ। দীর্ঘকাল ধরে এখানকার অর্থনৈতিক কাঠামোতে শিল্প কারখানার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। চীনের যে জায়গাগুলোতে জ্বালানি সম্পদ বেশি খরচ হয় তার অন্যতম শান তুং। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শানতুং প্রদেশ আবর্তনযোগ্য শিল্পের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন করার লক্ষ্যে জ্বালানি সাশ্রয় ও বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর নতুন উপায় খুঁজে বের করেছে। এ ক্ষেত্রে শানতুং সুষ্ঠু সামাজিক মুনাফা ও অর্থনৈতিক মুনাফা অর্জন করেছে। ১১ অক্টোবর অর্থনীতির অগ্রযাত্রা আসরে শুনুন শানতুং প্রদেশের আবর্তনশীল অর্থনীতি উন্নয়ন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।

    নিংসিয়া হুই জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যাঞ্চলে মরুভূমি। সেখানকার আবহাওয়া অনাবৃষ্টি ও খরা পীড়িত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় সরকার পানি সাশ্রয় ফলপ্র্রসূ কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে সেখানকার পিছিয়ে পড়া অবস্থার পরিবর্তন করেছে। ১২ অক্টোবর সেই গ্রাম এই জীবন আসরে আপনাদের নিংসিয়া এর পানি সাশ্রয় ফলপ্রসূ কৃষি উন্নয়ন প্রসঙ্গে কিছু তথ্য দেয়া হবে।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।  (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)