৫ অক্টোবর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার সমস্যা সংক্রান্ত বিশেষদূত ইব্রাহিম গামবারি সেদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি উদ্বেগজনগ প্রতিবেদন পেশ করেছেন । প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন , মিয়ানমার সংকটের প্রধান কারণ হল দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতিতে দেশবাসীর অসন্তোষ। মিয়ানমার সরকার ইতোমধ্যে কিছু ইতিবাচক ব্যবস্থা নিয়েছে । তিনি জোর দিয়ে বলেন , মিয়ানমারের ভবিষ্যত মিয়ানমার সরকার ও জনগণের হাতে । উল্লেখ্য ইব্রাহিম গামবারি সম্প্রতি মিয়ানমারে চার দিনব্যাপী সফর করে সরেজমিন পরিস্থিতি দেখে গেছেন ।
মিয়ানমারের নেতা জেনারেল থান শুয়ে শর্তসাপেক্ষে অং সান সু চির সঙ্গে যে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন , মহাসচিব বান কি মুন তাকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত বৈঠক করার তাগিত দিয়েছেন । তিনি বলেন , মিয়ানমারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অংশগ্রহণের ভিত্তিতে খোলামেলা ও উদার নীতির ভিত্তিতে জাতীয় সম্প্রীতির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে ।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও টিন্ট সুয়ে বলেন , মিয়ানমারের সংকট আঞ্চলিক বিশ্বশান্তি এবং নিরাপত্তা প্রতি হুমকি হয়ে দাড়াবে না । কাজেই মহাসচিবের মধ্যস্থ্যতা প্রচেষ্টার প্রতি ক্ষতিকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।
জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ওয়াং কুয়াং ইয়া বলেছেন , মিয়ানমারের সমস্যা শুধু মিয়ানমারের জনগণ ও সরকারই নিষ্পত্তি করতে পারেন । তিনি মনে করেন মিয়ানমার সমস্যা সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদকে দায়িত্বশীল ও সতর্ক মনোভাব পোষন করতে হবে ।
|