v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-05 17:17:45    
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিস্থিতি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে

cri
    আগামী ৬ অক্টোবর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যে বতর্মান প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। পাকিস্তানের তথ্য মাধ্যমগুলোর মন্তব্য অনুযায়ী, সম্প্রতি নির্বাচনের পরিস্থিতি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

    পারভেজ মোশাররফ এবারের প্রেসিডেন্টননির্বাচনে জয়লাভ করতে চান । কিন্তু সেনা বাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদে বহাল থাকার পাশাপাশি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা হল তার সম্মুখীন একটি সবচেয়ে বড় সমস্যা।

    " প্রেসিডেন্ট সামরিক পদে বহাল থেকে আইন লঙ্ঘণ করছে " এ অভিযোগে কিছু দিন আগে বিরোধীদলের বেশ কয়েক জন নেতা পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এর পাশাপাশি তাঁরা সর্বোচ্চ আদালতে পারভেজ মোশারফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যোগ্যতা সম্পর্কেও মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এই রায়ে তাকে সামরিক পদে বহাল থেকেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

    ধারণা করা হচ্ছে যে, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় পারভেজ মোশাররফের জন্যে সবচেয়ে বড় বাধা দুর করে দিয়েছে।গত ৩ অক্টোবর স্থানীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাত্কারে পারভেজ মোশাররফ স্পষ্টভাবে বলেছেন, বতর্মান সংসদ তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করার পর অর্থাত আগামী ১৫ নভেম্বরের আগেই তিনি তার সামরিক উর্দি খুলে ফেলবেন ।এর আগে তিনি অবশ্যই তার একজন বিশ্বাসযোগ্য সামরিক উত্তরসুরি বেছে নিয়েছেন। তিনি সাবেক গোয়েন্দারবিভাগের মহা পরিচালক আসফাক পারভেজ কায়ানিকে স্থল বাহিনীর উপ স্টাফ প্রধান নিযুক্ত করেছেন। জানা গেছে কায়নি পারভেজ মোশাররফের একজন ভক্ত সমর্থক। এবার মোশাররফ কায়ানিকে তার উত্তরসুরি হিসেবে নির্ধারন করার উদ্দেশ্য হল, নির্বাচনের পর তাঁর ঘোষিত অঙ্গীকারেঅটল থাকা।

    এর পাশাপাশি পারভেজ মোশাররফ বিভিন্ন বিরোধী দলের ব্যাপারেও ধারাবাহিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।এক দিকে, তিনি কয়েক মাস আগে জনতা পাটির চেয়ারম্যান বিদেশে নির্বাসীতসাবেক প্রধান মন্ত্রী বেনাজির ভুট্টোর সঙ্গে ভবিষ্যত নির্বাচনের সহযোগিতা ও ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে গত ৩ অক্টোবর টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, জনতা পাটি দেশজুড়ে চরমপন্থীবাদ রুখতে সরকারকে সাহায্য করতে পারে। সরকার জনতার পাটির সঙ্গে সহযোগিতা চালাতে পারে। গত ৪ অক্টোবর লন্ডনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংএ বেনাজির ভুট্টোওবলেছেন, জনতা পাটি ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরেকটি খবরে প্রকাশ, পাকিস্তান সরকার বেনাজির ভুট্টোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বাতিল করতে রাজি হয়েছে।

    অন্য দিকে, পাকিস্তানের আরেক জন সাবেক প্রধান মন্ত্রী, মুসলিম লীগের নেতা নাওয়াজ শরিফ বেনাজির ভু্ট্টোর মত মর্যাদা পাননি। গত ১০ সেপ্টেম্বর৭ বছর নির্বাসনের পর নাওয়াজ শরিফ ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পৌঁছার কয়েক ঘন্টা পরই বহিষ্কার করা হয় । ধারণা করা হচ্ছে, পাছে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে অস্থিতিশীল উপাদান সৃষ্টি করেন সেই ভয়ে পাকিস্তান সরকার তাকে বহিষ্কার করেছে।

    গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পারভেজ মোশাররফ সহ ছ'জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মনোয়নপত্র পরীক্ষা করে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সবার মনোনয়নপত্রই গ্রহণ করা হয়েছে। এক খবরে প্রকাশ, পারভেজ মোশাররফকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে সহায়তা করা ১৭টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের স্পীকার চৌধুরি আমির হুসেইন ১ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

    বতর্মান পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পারভেজ মোশাররফের জয়লাভের সম্ভবনা বেশী।