v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-03 18:20:55    
গর্ডন ব্রাউনের সৈন্য প্রত্যাহার পরিকল্পনা ইরাক নীতিতে কিছু যায়-আসে না।

cri
    ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ২ অক্টোবর ইরাকে ঝটিকা সফর করেছেন। ইরাকের প্রধান মন্ত্রী রুরি আল মালিকির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকের বসরা শহরে মোতায়েন ব্রিটিশ সৈন্যের সংখ্যা এক হাজার কমিয়ে ফেলবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গডর্ন ব্রাউনের এই নতুন সৈন্য প্রত্যাহার পরিকল্পনা সম্ভবত আগে থেকেই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানেরপ্রস্তুতির একটি পূবর্লক্ষণ। এর অর্থ এই নয় যে, ইরাকের প্রতি ব্রিটেনের নীতিতে কোনগুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটবে।

     ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর এটা হল গর্ডন ব্রাউনের প্রথমবার ইরাক সফর। তিনি বাগদাতে বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইরাকে মোতায়েন ব্রিটিশ সৈন্যদের ভূমিকাও বদলে যাবে। ভবিষ্যতে ব্রিটিশ সৈন্যরা যুদ্ধেঅংশ গ্রহণের পরিবর্তে টহল দানের ভূমিকা পালন করবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে ব্রিটিশ সৈন্যের সংখ্যা এখনকার ৫৫০০ থেকে ৪৫০০ জনে কমিয়ে দেয়া হবে। ইরাকের প্রধান মন্ত্রী মালিকি এক প্রেস ব্রিফিংএ স্বীকার করেন, আগামী দু মাসের মধ্যেই তারা ব্রিটিশ সেনার বদলে বসরার নিয়ন্ত্রণঅধিকার গ্রহণ করবে।

     এবারের সৈন্য প্রত্যাহার পরিকল্পনা থেকে বোঝাযায় যে, ইরাক সমস্যায় গডর্ন ব্রাউন কথা বলেছেন বেশী কিন্তু বাস্তব কাজ করেছেন কম। গত জুন মাসের মাঝামাঝি ভাবী প্রধান মন্ত্রী হিসেবে গর্ডন ব্রাউন ইরাক সফর করেছিলেন। সুতরাং সবাই প্রত্যাশা করেছিলেন তিনি ইরাকের প্রতি ব্রিটেনের নীতিতে ব্যাপকভাবে সংস্কারকরতে পারবেন। কিন্তু বতর্মানে তিনি সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা টনি ব্লেয়ারেরআমলের সিদ্ধান্ত। গর্ডন ব্রাউন কেবল ব্রিটিশ সৈন্যদেরকে বসরা শহর থেকে বসরার উপকন্ঠে সরিয়ে নিয়েছেন। এতে উল্লেখযোগ্যকোন পরিবর্তন সাধিত হয়নি। এবার গর্ডন ব্রাউন এক হাজার ব্রিটিশ সৈন্য কমিয়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন । এই সংখ্যা এর আগে ব্রিটেনের তথ্যমাধ্যমগুলোর করা ভবিষ্যদ্বাণী থেকে অনেক কম। ব্রিটেনের তথ্য মাধ্যমগুলো দু হাজার সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারেআশা প্রকাশ করেছিল।।

    বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর আগে গর্ডন ব্রাউন বারবার সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সূচী প্রকাশে কালক্ষেপন করেছেন।

এবারের সৈন্য প্রত্যাহারপরিকল্পনাকেবলমাত্র গর্ডন ব্রাউনের এক ধরনের রাজনৈতিক চাল । ইরাকের প্রতি ব্রিটেন সরকারের নীতিতে কোন লক্ষ্যণীয় অগ্রগতিবা পরিবর্তন হয়নি।

    প্রথমতঃ ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিবেচনা করা হলে দেখা যায় গর্ডন ব্রাউনের টনি ব্লেয়ারের নীতি সংশোধনের অবকাশ বেশী নেই। বিশেষ করে ইরাক সমস্যায় দু'জনের মধ্যে মূলত কোন পাথর্ক্য নেই। অতীতে ইরাকে সৈন্য পাঠানের ব্যাপারেগর্ডন ব্রাউন টনি ব্লেয়ার পক্ষে ছিলেন। এবং পরবর্তী কয়েক বছরে অর্থ মন্ত্রী হিসেবে গর্ডন ব্রাউন ইরাকে মোতায়েন ব্রিটিশ সেনার জন্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

    দ্বিতীয়তঃ যদিও রক্ষণশীল পাটি সবসময় ক্ষমতাসীন পাটি লেবার পাটির বিরোধীতা করে যাচ্ছে, তবুও ইরাকে সৈন্যদের পাঠানোর ব্যাপারে দু'পাটির মনোভাব আকম্মিকভাবেই অভিন্ন। এ থেকে বোঝা যায়, যদি গর্ডন ব্রাউন ব্যাপকভাবে সৈন্য প্রত্যাহারকরেন তাহলে তার সরকার রক্ষণশীল শক্তিগুলোর আরও তীব্র নিন্দার মুখে পড়বে।

    এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় যে , বতর্মানে গর্ডন ব্রাউন আগে থেকে ব্রিটেনেরসাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলতে চাচ্ছে । তিনি এই সময় ইরাক সফর করেছেন এবং সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন, এই উদ্দেশ্যের সঙ্গেতার পূর্বের সব আচরণের সম্পর্ক রয়েছে। প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পর কয়েক মাস ধরে ব্রিটেন বন্যা সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেভুগেছে। কিন্তু ব্রাউন সরকার সাফল্যজনকভাবে এ সব দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। সুতরাং বতর্মানে তিনি জনগণের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। যদি তিনি এ সুযোগে আগে থেকে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন তাহলে তিনি খুব সম্ভব লেবার পাটির জন্যে চতুর্থ কার্য মেয়াদে জয়লাভ করতে পারেন।