v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-01 19:53:11    
উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আবার শীর্ষ সম্মেলন

cri
   উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন ২ থেকে ৪ অক্টোবর পযর্ন্ত পিয়াংইয়াংএ অনুষ্ঠিত হবে।সম্মেলনে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে কোরীয় উপ-দ্বীপের শান্তি, অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং সমঝোতা ও সহযোগিতা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের শীর্ষ সম্মেলন দু'পক্ষের সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেদ্রকে সম্প্রসারিতকরবে। কোরীয় উপ দ্বীপের পরিস্থিতিরএকটি নতুন অধ্যয়ের সূচনা হবে।

   ২০০৬ সালের জুন মাসে পিয়াংইয়াংএ প্রথম শীষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কোরীয় উপ দ্বীপের দুই পক্ষ ধীরে ধীরে স্নায়ু যুদ্ধের মনোভাব ত্যাগ করে সমঝোতা ও সহযোগিতার যুগে প্রবেশ করছে। গত সাত বছরে দু'পক্ষের মধ্যে ঘনঘন আর্থ-বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও ঘনিষ্ঠসফর বিনিময় হয়েছে। দু'পক্ষের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য মূল্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ লোক দু'দেশের যাতায়াত করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে , বতর্মানেদক্ষিণ কোরিয়ার বিশটিরও বেশী শিল্প-প্রতিষ্ঠান উত্তর কোরিয়ায় পুঁজি বিনিয়োগ করতে গিয়েছে। উত্তর কোরিয়ায়

  ভ্রমন করতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

    সাত বছর পর দু'পক্ষের মধ্যে পুনরায় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রো মু হিউন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জুং ইলের মধ্যে " দক্ষিণ-উত্তর চুক্তি" স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে গত সাত বছরের অর্জিত সাফল্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে দুই প্রেসিডেন্ট পারষ্পরিক আস্থা আরও বাড়ানো , দু'পক্ষের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। দু'পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোরীয় উপ দ্বীপের শান্তি, অভিন্ন সমৃদ্ধি, শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও একীকরণ বিষয়কে এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে গণ্য করা হবে।

   সম্প্রতিদক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী সিউলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সম্পর্কে বলেছেন, কোরীয় উপ-দ্বীপের শান্তির ব্যাপারে দু'পক্ষেরই সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। অভিন্ন সমৃদ্ধির ব্যাপারে দু'পক্ষের উচিত অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাবিঘ্ন দূর করা।

দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণার পর

    দু'পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বার যোগাযোগ হয়েছে। দু'পক্ষের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের লোক সংখ্যা, সফরের স্থানসহ নানা ধরনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। দু'পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, রো মু হিউন ও দক্ষিন কোরিয়ার প্রতিনিধি দল সড়ক পথে উত্তর কোরিয়া সফর করবেন।

    গত ৩০ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী লী জা জন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দু'দেশের সীমান্ত রেখা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করা হবে এক " ঐতিহাসিক অনুপ্রেরণার মুহূর্ত। তিনি আশা করেন, এবারের সফর কোরীয় উপ-দ্বীপে শান্তি বাস্তবায়নের একটি সুযোগে পরিণত হতে পারে। জানা গেছে, তিন দিনব্যাপী এ সফরে দু'দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে কমপক্ষে দু বার বৈঠক হবে। তা ছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল সাতটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিম্মিত হবেন। প্রেসিডেন্ট রো মু হিউনের স্ত্রীও উত্তর কোরিয়ার মহিলা মহলের উচ্চ পদস্থ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল উত্তর কোরিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন।

    দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য মাধ্যমগুলো মনে করে, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের জন্যে উত্তর কোরিয়া যে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা দিয়েছে তাতে আত্মবিশ্বাস ও নমনীয়তা ফুটে উঠেছে। উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলটির সড়ক পথে উত্তর কোরিয়া সফর করতে রাজি হয়েছে এবং সফরকালে কয়েকটি কর্মসূচী সরাসরি সম্প্রচারেরঅনুমোদনও দিয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার মানসিকতার অনেক ঘটেছে ।তা আগের চাইতে আরও উন্মুক্ত এবং বাস্তব।