ছাংছুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ শিক্ষা কলেজের ভাইস-প্রধান চাও লিজুন বলেছেন যে, বহু বছরে তাঁরা মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্যে একটি ভাল শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন । বর্তমান এ বিদ্যালয়ে ডি.ভি.ডি সহ বহু রকমের আধুনিক প্রযুক্তির ওপর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে , এবং প্রতিবন্ধীদের জন্যে বিভিন্ন ধরণের পূর্ণাঙ্গ সাজ-সরঞ্জাম দিয়ে পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। " আমাদের বিদ্যালয়ের বধিরদের , অন্ধদের কম্পিউটার পরীক্ষাগার এবং আরেকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট পরীক্ষাগার আছে। এই ইন্টারনেট পরীক্ষাগারে শুধু প্রতিবন্ধীদের জন্যে প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষা ওয়েব-সাইট রয়েছে । এখন বিশ্বের মোট ১৩টি দেশের প্রতিবন্ধীরা এই ওয়েব-সাইটে অংশ নেয়। এই ১৩টি সদস্য দেশের জনগণ একসময়, মিলিতভাবে ওয়েব-সাইটের বিষয় শিখতে পারে। তা একটি আধুনিক সাজ-সরঞ্জাম।"
এ ছাড়া , ছাংছুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ শিক্ষা কলেজে আরো একটি মোট ২ লাখেরও বেশি বই নিয়ে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্ধদের বই প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি ।
চীনের পশ্চিমাঞ্চলের ছুংছিং শহর থেকে অন্ধ ছাত্রী লিউ রুই ছাংছুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ শিক্ষা কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি বলেছেন যে, এখানে প্রতিদিন লেখাপড়া করতে আমার ভাল লাগে, বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ছাড়াও , এখানকার শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের যত্নে আমি মুগ্ধ হয়েছি।" কারণ আমাদের মধ্যে কিছু কিছু লোক মনে করে যে, আমরা অন্ধ, আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কিছুটা পার্থক্য আছে। এখানে এসে শিক্ষকরা যেমন " দেখতে পারে কিনা" এসব কথা বলবে না। তাঁরা আমাদেরকে সাধারণ মানুষের মতই দেখেন এবং আমাদের জীবনে দৃঢ়ভাবে বেঁচে থাকার কথা বার বার বলেছেন।"
এর সঙ্গে সঙ্গে এ বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ ছাত্রছাত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করে। যাতে প্রতিবন্ধীদের সমাজে কাজ করার সামর্থ্য উন্নত হয়। লিউ রুই সংবাদদাতার কাছে বলেছেন:" বিদ্যালয় আমাদের লেখাপড়ার সুযোগ দিয়েছে, তারা আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছে। যেমন চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মাঝে মাঝে এখানে এসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এইভাবে আমরা সাধারণ লোকের সাথে আলোচনা করতে পারি, আমাদের অনেক ভাল লাগে।" ছাংছুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ শিক্ষা কলেজের প্রধান মনে করেন যে, ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধীদের জীবন আরো বেশি সুন্দর হবে। 1 2
|