তৃতীয়ত, শুধু ফ্রান্সের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ২০০৩ সালে সাবেক শিরাক সরকার দৃঢ়ভাবে ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতা করেছে । আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার উচ্চ পর্যায়ের মূল্যায়ন করেছে। একই সঙ্গে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এর ফলে দু'পক্ষের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিষয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। এ ব্যাপারে ফ্রান্স জানে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত অবনতি হওয়া ফ্রান্সের জন্য কোন উপকার বলে আনবে না। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট সার্কোজি স্পস্টভাবে বলেছেন যে, ফ্রান্সের উচিত কূটনীতির বিষয়টি সুরক্ষা করা এবং এর সঙ্গে সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট নীতির সম্বনয় করা। ফ্রান্সের ঐতিহ্যিক স্বাধীন কূটনীতির উত্তরাধিকারী হিসেবে সার্কোজি জোর দিয়ে বলেছেন, ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার ব্যাপারে আশাবাদি। তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের অনুসরণ নয়। তবে ইরাক যুদ্ধ , ইরানের পরমাণু সমস্যা, ন্যাটোর সংস্কার এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা বিষয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যা সমাধানে ফ্রান্স আরও নিজের দৃঢ় অভিমত অনুসরণ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জার্মানীর চ্যান্লেলর মার্কেল দায়িত্ব গ্রহণের আগে বলেছেন, জার্মানী ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটি " সুষ্ঠু আস্থাবান ভিত্তিতে" উন্নয়ন করার জন্য সবচে' গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা। কারণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় অংশদারি সম্পর্ক জার্মানীর স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ । তিনি চ্যান্লেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর, নতুন সরকার ইরাক যুদ্ধের সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । তবে এ ব্যাপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সার্কোজির মতামতের মতো মার্কেলও জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠভাবে উন্নয়ন করতে ইরাক সমস্যায় জার্মানীর মৌলিক মতামত পরিবর্তন করা হবে না, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন মানে রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্কের উন্নয়নে বন্ধ করা নয়। 1 2
|