তিব্বতের "স্বপ্ন পুরণ" কর্মসূচী সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ৪৫ দিনের এই কর্মসূচীর মাধ্যমে মোট ১৮ লাখেরও বেশী ইউয়ান রেনমিনপি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২৭৪ জন দরিদ্র্য নতুন ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন।
এবারের কর্মসূচী চীনের কমিউনিষ্ট যুব লীগের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কমিটি এবং তিব্বতের যুবক-যুবতীদের উন্নয়ন তহবিলের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে কৃষি ও পশু পালক এলাকার দরিদ্র্য ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করা এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পুরণ করা।
৫ আগষ্ট এই কর্মসূচী শুরুর পর থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাহায্যসহ বিভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছর প্রতিটি ছাত্রছাত্রী ৬৫০০ ইউয়ান রেনমিনপি সাহায্য পাবেন।
*সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেই লোং চিয়াং প্রদেশ অর্থ বরাদ্দের মাত্রা বাড়িয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষার ফি সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। সারা প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকদের প্রতি বছর মাথাপিছু বেতন ১৯৯৮ সালের ৮০০০ থেকে ২০০৬ সালের ১৯০০০ ইউয়ান রেনমিনপিতে বেড়েছে।
*২৪ সেপ্টেম্বর হংকং-এর লি কা শিং তহবিলের উদ্যোগে "স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হাইনান প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প" চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হাইনান প্রদেশের হাইখোই শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
খবরে জানা গেছে, এই প্রকল্প কার্যকরের জন্য লি কা শিং তহবিল এবং হাইনান প্রদেশের সরকার আলাদা আলাদাভাবে ২ কোটি ইউয়ান রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো সম্ভাব্য ও টেকসই উন্নয়নের গ্রামীণ চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নতুন রূপ নির্মাণের সুযোগ অন্বেষণ করা। এর মধ্যে প্রধান প্রধান বিষয় রয়েছে, ক্লিনিক নির্মাণ, গ্রামাঞ্চলের চিকিত্সক প্রশিক্ষণ, বাধ্যতামূলকভাবে গ্রামীণ অধিবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং শ্রেষ্ঠ গ্রামীণ চিকিত্সককে পুরষ্কার প্রদান। ফলে গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ লোক এতে উপকৃত হবেন। (লিলি)
|