v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-27 18:19:24    
নিরাপত্তা ও মাদকদ্রব্য সমস্যা এখনও আফগানিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জ

cri
   মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিও বুশ ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতি সংঘের ৬২তম সাধারণ পরিষদে অংশ গ্রহণকারী আফগান প্রেসিডেন্ট কারজায়ির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দু'পক্ষ আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানের অর্জিত অগ্রগতির সক্রিয় মূল্যয়ন করেছে। জনমত অনুযায়ী, বতর্মানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। ২৫ সেপ্টেম্বর জাতি সংঘের সাধারণ বিতর্কে কারজায়ি বলেছেন, নিরাপত্তা ও মাদকদ্রব্য সমস্যা এখনও আফগানিস্তানের সম্মুখীন দু'টো বড় চ্যালেঞ্জ।

   প্রেসিডেন্ট বুশের সঙ্গে বৈঠকে তিনি শিক্ষা, চিকিত্সা ও অবকাঠামো নির্মানে আফগানিস্তানের অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করেছেন। প্রেসিডেন্ট বুশ আফগান সরকারের প্রতি তার সমর্থন পুনর্রায় জোরদার করেছেন। তিনি মনে করেন, আফগানিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমথর্ন দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপদ স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

   তিনি আরও বলেছেন, তালিবান যোদ্ধাদের ওপর আঘাত হানা এবং যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে আফগান সরকার যে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই তাতে সমর্থন দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি তিনি মনে করেন , প্রেসিডেন্ট কায়জায়ির উদ্যোগে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে।

   এখানে উল্লেখ করতে হয়ে যে, ২৫ সেপ্টেম্বর জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার সময় কারজায়ি স্বীকার করেছেন, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক গঠনকাজে বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে , তবুও সন্ত্রাসবাদ ও মাদকদ্রব্য লেনদেন অর্থনীতির আরও উন্নতির পথে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ২০০৬ সাল থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। চলতি বছর তা আরও তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এক পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, গত ১৯ সালে প্রায় ৭০০০ লোক বিভিন্ন সহিংস সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে।

   এর পাশাপাশি আফগানিস্তানে আফিনের উত্পাদনের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। এখন আফগানিস্তান বিশ্বের এক নম্বর আফিন উত্পাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। গত ২৭ অ্যাগষ্ট জাতি সংঘ মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বিষয়ক দফতরের প্রকাশিত ' ২০০৭ সালে আফগানিস্তানে আফিম সম্পর্কে দতন্ত' রিপোটে দেখা গেছে, চলতি বছর আফগানিস্তানে আফিম উত্পাদনের পরিমাণ ইতিহাসের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত বছরের চাইতে চলকি বছরের উত্পাদনের পরিমাণ ৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

   বিশ্লেষকরা মনে করেন, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ও বেপরোয়াভাবে আফিমের উত্পাদন এবং মাদকদ্রব্যে লেনদেন পরিস্থিতি অবনতিশীল হওয়ার কারণ। স্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকলে উন্নয়নের সম্ভবনা থাকেনা। জনসাধারণ নিরুপায় হয়ে আফিম চাষের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়। পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, চলতি বছর সারা আফগানিস্তানে প্রায় ৩৩ লাখ লোক আফিমের চাষে অংশ নিয়েছেন। এতে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার্রের মুনাফা হয়েছে।

    জাতি সংঘ মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বিষয়ক অফিসের রির্পোটে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে আফিম উত্পাদনের ক্ষেত্রওবেড়েছে। যেমন দক্ষিণাংশের হেলমন্দ প্রদেশ হচ্ছে আফিন উত্পাদনের প্রধান প্রদেশ। তা ছাড়া, এই প্রদেশে তালিবান যোদ্ধাদের তত্পরতাও সবচেয়ে তরপর। তালিবান যোদ্ধারাআফিম উত্পাদনকারীও মাদকদ্রব্য পাচারকারীদের আশ্রয় দিয়েছে।

   বিশ্লেষকরা মনে করেন, নিরাপত্তা ও মাদকদ্রব্য দু'দেশের শীর্ষ বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায়, মার্কিন সরকার বুঝতে পেয়েছে যে, আফিম উত্পাদন ও নিরাপত্তা সমস্যার মধ্যকার পারষ্পরিক সম্পর্ক অধিক থেকে অধিক নিবিড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু আফিনের চাষ একটি খুব জটিল সমস্যা। সুতরাং এই সমস্যার সমাধান করা সময়সাপেক্ষ।