চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর হচ্ছে ২৬তম আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস। এই দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বাণীতে প্রতিটি দেশ এবং সকল যোদ্ধাকে এই দিনটিকে সম্মান এবং বৈরিতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার জনগণকে স্থানীয় সময় ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় ১ মিনিটে শোক করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
শান্তি অন্বেষণ হচ্ছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মিশন। একটি যুদ্ধহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত নম্বর ৩৬/৬৭ প্রস্তাবে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ শুরু হওয়ার এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত ৫৫/২৮২ নম্বর প্রস্তাবে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসকে বিশ্বের যুদ্ধ বিরতি ও অহিংসা দিবস হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া সকল দেশ ও জনগণকে এ দিনে বৈরিতা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সকল সদস্যদেশগুলো, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তির কাছ থেকে শিক্ষা ও গণ প্রচারসহ বিভিন্ন উপযুক্ত উপায়ে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসকে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে করে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিশ্বের যুদ্ধ বিরতি বাস্তবায়ন করা যায়।
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস প্রবর্তিত হওয়ার পর, প্রতি বছরের এ দিন জাতিসংঘ শান্তি ঘন্টা বজিয়ে শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও মানবপ্রেমিকদের শান্তি দূত হিসেবে স্মরণ তত্পরতায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাবে। এর পাশাপাশি, বিশ্বের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, লোক সমাজ ও ধর্মীয় গ্রুপও বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর আয়োজন করে এই দিবস উদযাপন করবে। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস সম্পর্ক বিশ্বে ২ হাজারেরও বেশী সংস্থার সমর্থন পেয়েছে।
বহু বছর ধরে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বের শান্তি বাস্তবায়নের জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু যুদ্ধ, সন্ত্রাসী হামলা, আঞ্চলিক সংঘর্ষসহ বিভিন্ন ধরনের বল প্রয়োগমূলক সংঘর্ষও রয়েছে। মানবজাতির সত্যিকার শান্তি বাস্তবায়নের পথ এখনো অনেক দূর।
|