২০০৫ সালের অক্টোবর চীনের সাংস্কৃতিক উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া এবং সংগীত ও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করার জন্য ইউন লু পু'র নেতৃত্বে অন্তঃর্মঙ্গোলীয় বেতার ও টেলিভিশন সাংস্কৃতিক দল যুক্তরাষ্ট্রে যায় । ইউন লু পু'র সংগীত মার্কিন দর্শকদের ব্যাপক কদর পেয়েছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ইউন লু পু'র জন্য একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করেছে । তার সংগীত পরিবেশন ও সৃজনশীল নৈপুণ্য মার্কিন দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে । একই সঙ্গে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওয়েল তার সঙ্গে সাক্ষাত্ দান করেন এবং তার প্রতিভার উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন । এ প্রসঙ্গে ইউন লু পু বলেন ,
তখন বহু মার্কিন দর্শকরা শিল্পী দলের পরিবেশিত সংগীত ও নৃত্যনাট্য দেখে মুগ্ধ হয়ে কেঁদেছেন । একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন , চীনের অন্তঃর্মঙ্গোলীয় শিল্পী দলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সত্যি দর্শকদের মন জয় করেছে । সবাই চীনের শিল্পীদের কৃতীত্বময় অনুষ্ঠান দেখে জন্য মুগ্ধ হয়েছেন ।
১৯৯৮ সালে চীনের প্রথম জাতীয় পেশাদার শিল্পী দলের সংগীত প্রতিযোগিতা উত্তর- পূর্ব চীনের হারবিন শহরে অনুষ্ঠিত হয় । এই প্রতিযোগিতায় ইউন লু পু'র নেতৃত্বে অন্তঃর্মঙ্গোলীয় শিল্পী দল তাদের সংগীত পরিবেশনের অনন্য কলাকৌশলের জন্য ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে ।
এই প্রতিযোগিতায় অন্তঃর্মঙ্গোলীয় শিল্পী দলের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে অন্তঃর্মঙ্গোলীয় বেতারের একজন কর্মকর্তা ফুইটলা বলেন ,
ইউন লু পু অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া এবং অন্তঃর্মঙ্গোলীয় জাতির জন্য বিশাল মর্যাদা এনে দিয়েছেন । শিল্পী দলের সংগীত পরিবেশন সত্যিকারভাবে দর্শকদের মর্মস্পর্শ করেছে । সে দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলার সময় হঠাত্ বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় । বিদ্যুত্ সরবরাহ ফিরে আসার পর সকল দর্শক শিল্পীদের অনুষ্ঠান পরিবেশনা আরো একাগ্রচিত্তে শুনলেন । মিলনায়তন অন্ধকার ও নিঃশব্দ ছিল । সকল অনুষ্ঠান শেষে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য দর্শকরা বারংবার তুমুল করতালি দিয়েছেন ।
ইউন লু পু'র বয়স এখন ৭৪ । মঙ্গোলীয় সংগীত ও নৃত্যনাট্য বিকশিত করার জন্য তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । ২০০৬ সালে তিনি তৃণভূমির প্রশংসাসহ দুটি সিমফনি ও সংগীত সংকলন রচনা করেছেন । তিনি বলেন , তিনি অন্তঃর্মঙ্গোলীয় জাতির সংগীত ও নৃত্যনাট্যের ঐশ্বর্য উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন এবং তা সম্প্রসারিত করার জন্য অনবরতভাবে প্রচেষ্টা চালাবেন । যাতে বিশ্ব জনগণের কাছে অন্তঃর্মঙ্গোলীয় জাতির সংগীত ও নৃত্যনাট্যের ঐশ্বর্যকেআরো সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায় ।
এতক্ষণ শুনলেন অতিথিদের তৃণভূমির স্বাগতম নামে একটি জনপ্রিয় মঙ্গোলীয় সংগীত । আশা করি , আরো বেশি পর্যটক তৃণভূমি ভ্রমণে আসবেন । মনোরম তৃণভূমির দৃশ্য দূরের অতিথিদের জন্য অপেক্ষা করছে ।
1 2
|