v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-24 19:43:56    
মধ্য-প্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট চার পক্ষ ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করেছে

cri
    মধ্য-প্রাচ্যের সংশ্লিষ্ট চার পক্ষ জাতিসংঘ, ইইউ, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে ফিলিস্তিনের সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করেছে।

    এটা হলো ৬২তম জাতিসংঘ পরিষদের সাধারণ সম্মেলন চলাকালে ধারাবাহিক বহুপক্ষীয় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের মধ্যে একটি। এই সুযোগের মাধ্যমে বিশ্বের জটিল সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়টি ত্বরান্বিত করার আশা করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরোভ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইস, ইইউ'র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি জ্যাভিয়ের সোলানা, ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা বেনিটা ফেরেরো ওয়াল্ডনার এবং ইইউ'র পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ-পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস আমাদো সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

    সম্মেলনে মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং নব নিযুক্ত জাতিসংঘের মধ্য-প্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত, ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার দুই বার মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলে সফর সংক্রান্ত রিপোর্ট শুনিয়েছেন। উল্লেখ্য, এবারের সম্মেলন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের উদ্যোগে শরত্কালের পর ফিলিস্তিন-ইসরাইল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সম্মেলন।

   চার পক্ষ সম্মেলনের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনো উদ্বিগ্ন। ইসরাইল অব্যাহতভাবে গাজা অঞ্চলের প্রধান প্রধান বন্দর অবরোধ করছে। অপর দিকে গাজা অঞ্চল থেকে নিরলসভাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট উতক্ষেপন করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনী জনগণের কাছে জরুরী মানবিক সাহায্য পৌঁছানো যায় তাহলে সম্ভবত পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার জন্য কিছুটা সহায়ক হবে।

    বিবৃতিতে শরত্কালে অনুষ্ঠিতব্য ফিলিস্তিন-ইসরাইল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সমর্থন জানানো হয়েছে। জানা গেছে, সেই সম্মেলন সম্ভবত নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন চলাকালে ইসরাইল, ফিলিস্তিন এবং সংশ্লিষ্ট চার পক্ষ ছাড়াও সিরিয়াসহ আরো ১১টি আরব দেশও সম্মেলনে অংশ নেবে। বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সহিংসতা ছেড়ে দিয়ে "দুই দেশ"এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে আলোচনা চালিয়ে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থাপন করা হবে এবং ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকতে পারবে।

    বিবৃতিতেবিশেষ দূত হিসেবে টনি ব্লেয়ারের উপর ফিলিস্তিনের ফাতাহ'র সঙ্গে মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরীতে আশাবাদী। এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ জন্য সমর্থন ও সাহায্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরো জোর দিয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করে জাতিসংঘের মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের সংঘর্ষ সমাধানের মতামত অনুসরণ করে এই অঞ্চলের ন্যায্য, স্থায়ী এবং সার্বিক শান্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।

    এবারের সম্মেলনের আগে, জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিষয়ক উপ-মহাসচিব বি.লিন পাসকো তথ্য জানানোর সময় সর্তক করে দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের মানবিক অবস্থা খুবই গুরুতর। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবিলম্বে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের শান্তি প্রক্রিয়া আবার শুরু করা উচিত। তিনি বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের মাথাপিছু জিডিপি ১৯৯৯ সালের ১৬১২ মার্কিন ডলার থেকে বর্তমানের ১১২৯ ডলারে নেমেছে। বিভিন্ন রকমের রোগ তিন ভাগের এক ভাগ বেড়েছে। ১০শতাংশেরও বেশি ৫ বছরের নিচের ফিলিস্তিনী শিশুদের পুষ্টিহীনতা দেখা দিয়েছে। গাজা অঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়ন আগের চেয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্যের আশ্রয়ে আছে। তাছাড়া ফিলিস্তিনের হামাস ও ফাতাহের মধ্যে সংঘর্ষ এখনো চলছে। সংঘর্ষে দু'পক্ষের হতাহত বাড়ছে। গত সপ্তাহে ইসরাইল সরকার হামাসের নিয়ন্ত্রিত গাজা অঞ্চলকে "শত্রু গোঠী"র এলাকা হিসেবে মনে করে এবং সেখানকার গ্যাস, পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থায় বাধা দেয়ার কথা ভাবছে। জাতিসংঘ এই তত্পরতাকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে বলে তার নিন্দা করেছে। গাজা অঞ্চলের ১.৪ মিলিয়ন নিরিহ জনগণকে চরমপন্থীদের অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া উচিত নয়। জাতিসংঘ ইসরাইলী সরকারের কাছে এই পদক্ষেপ নিয়ে আবার চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছে। বি.লিন পাসকো মনে করেন মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি এড়িয়ে যাবে কিনা তা আগামী কয়েক মাসের উন্নয়নের দিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে মধ্য-প্রাচ্য সমস্যার শংশ্লিষ্ট চার পক্ষসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো কূটনৈতিক চেষ্টা করা উচিত। (ইয়াং ওয়েই মিং)