ইরাকের রেড ক্রিসেন্টের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৯.৩ লাখ ইরাকী তাদের বাড়িঘর ছেড়ে দেশের অন্যান্য এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, গেলো আগষ্ট মাসে শরণার্থীদের সংখ্যা জুলাই মাসের চেয়েও ৭০ শতাংশ বেড়েছে। রাজধানী বাগদাদ থেকে পালিয়া যাওয়া শরণার্থীদের সংখ্যাও বিপুলভাবে বাড়ছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অধিকাংশ শরণার্থীরাই হচ্ছেন নারী ও শিশু। কারণ বাড়ির পুরুষরা ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছে বা নানা ধরণের সশস্ত্র সংস্থায় যোগ দিয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, প্রতি দিনকার হত্যা এবং সন্ত্রাসী হামলা ইরাকী নারী এবং শিশুদেরকে মনস্তাত্ত্বিক ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ক্ষতি করেছে।
খবরে জানা গেছে, এই রিপোর্টে বলা শরণার্থীদের সংখ্যার মধ্যে বিদেশে ইরাকী পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের কথা বলা হয়নি। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সম্প্রতি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বিদেশে আশ্রয় নেয়া ইরাকীদের সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। এদের মধ্যে অধিকাংশই সিরিয়া ও জর্ডানে আশ্রয় নিয়েছে। (লিলি)
|