v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-10-03 19:03:55    
একজন ফরাসী ছাত্রের চোখের চীন

cri

    ফ্রান্স থেকে আসা ছাত্র লাপাসা এখন চীনের সি ছুয়ান প্রদেশে লেখাপড়া করেন । তাঁর চোখে চীন একটি চমত্কার দেশ । আধুনিকতা ও ঐতিহ্য মিলিয়ে দিন দিন উন্নত হচ্ছে চীন ।

    ২৩ বছর বয়সী ফোরাসি ছাত্র লাপাসা ফ্রান্সের মোন্টপেলিয়ার বাণিজ্য কলেজ থেকে চীনে এসেছেন । গত বছরের আগস্ট মাস থেকে তিনি সি ছুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ইন্সটিটিউটে অর্থনীতিবিদ্যা শিখতে শুরু করেন ।

    লাপাসা বলেন , আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেএকসাথে ৪৯ জন ছাত্রছাত্রী সি ছুয়ান বিশ্বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে এসেছে । ফ্রান্সে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আমাদেরকে বিভিন্ন দেশে লেখাপড়া করার সুযোগ দেয় । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা সবচেয়ে বেশী বেছে নিচ্ছে চীনকে । লেখাপড়ায় ভালো না করলে চীনে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় না । তাই আমি খুব খুশি যে বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে চীনে আসার সুযোগ দিয়েছে ।

    চীনে আসার আগে লাপাসার কাছে চীন দেশটি কেমন ছিল ? এ প্রশ্নের উত্তরে লাপাসা বলেন , আমি আগে কখনই এশিয়ায় যাই নি । তথ্য মাধ্যম বা অন্য উপায়ে জেনে চীনকে আমার কাছে ঐতিহ্যবাহী দেশ বলে মনে হয়েছে । এবং এ দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে খুব দ্রুত , কাজের সুযোগও অনেক বেশি । চীন অবশ্যই ফ্রান্সের মত পশ্চিমা দেশের চেয়ে আলাদা ।

    চীনে আসার পর লাপাসার মনে চীনের স্কুল গভীর ছাপ ফেলেছে । লাপাসা বলেন , চীনের প্রাথমিক ও হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সবসময় স্কুলের পোষাক পরে । কোর্স ও হোমওয়ার্ক অনেক বেশি । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা হোস্টেলে থাকে এবং ফ্রান্সের তুলনায় চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রফেসরদের বয়স কম ।

    সময় পেলে লাপাসা সাইকেল চালিয়ে সি ছুয়ান প্রদেশের ছেং তু শহরের বিভিন্ন জায়গায় যান । এ শহরের পর্যটন স্থান তিনি সবই চেনেন । তিনি বলেন , চীন আমার কল্পনার চেয়েও আধুনিক , ফ্রান্সের চেয়েও আধুনিক । যুক্তরাষ্ট্রের মত চীনের বিভিন্ন শহরেও উঁচু উঁচু ভবন দেখা যায়।

    লাপাসা অভিযোগ করে বলেন , আমিও মনে করি , চীন আধুনিকায়নের পাশাপাশি ঐতিহ্যের ওপর কম গুরুত্ব দেয় । শহর নির্মাণের জন্য কিছু ঐতিহাসিক পুরোনো ভবন ধ্বংস করে ফেলেছে । তবে চীনে নির্মাণ কাজের দ্রুততা লাপাসাকে অবাক করেছে । তিনি বলেন , ফ্রান্সে এক দুই বছর ধরে যে কাজ করা হয় চীনে কয়েক মাসেই তা শেষ হয়ে যায় । ফ্রান্সে থেকে কল্পনা করতে পারি নি যে এত দ্রুত কাজ শেষ করা সম্ভব ।

    চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্পর্কে লাপাসার নিজের মতামতও আছে : কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীন ফ্রান্সের চেয়ে আধুনিক এবং উন্মুক্ত । ফ্রান্সের ভারী কর ও পণ্যদ্রব্যের দাম অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য বাধা সৃষ্টি করেছে । এ ক্ষেত্রে চীন অনেক উন্নত , চীন ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বের কারখানা পরিণত হয়েছে ।

    যদিও লাপাসার চোখে চীনকে দ্রুত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত । তিনি বলেন , বর্তমানে চীন দ্রুত উন্নয়নের পর্যায়ে থাকায় কখনো কখনো পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয় । কিছু জায়গায় দূষণের ঘটনা ঘটে । তবে আমি বিশ্বাস করি এসব সমস্যা সমাধানের সামর্থ্য চীন সরকারের আছে ।

    ভবিষ্যত সম্পর্কে লাপাসা বলেন , আমি চীনে চাকরি করতে ইচ্ছুক । এখন চীনে আমি চাকরির সুযোগ খুঁজছি । আমার মনে হয় চীনে চাকরির সুযোগ বেশি , উন্নয়নের সম্ভাবনাওবেশি । চীনে কাজ করার জন্য আমি এখন খুব পরিশ্রম করে লেখাপড়া করছি , যাতে চাকরির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি । তবে আমার মনে হয় , বর্তমানে আমার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভাষা , আমার চীনা ভাষা ততটা ভালো নয় , এ দেশের উন্নয়ন এবং এ দেশের সংস্কৃতি ও রীতিনীতিকে উপলব্ধির জন্য ভালো করে চীনা ভাষা শেখা খুব গুরুত্বপূর্ণ । তাই আমি ভালোভাবে চীনা ভাষা শিখবো ।

    সাক্ষাত্কার শেষে লাপাসা সংবাদদাতাকে বলেন , যাই হোক , চীন ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতা মিলে চীনের উন্নতি হচ্ছে । আমি এ দেশকে পছন্দ করি ।