১৯৫০ সাল থেকে, চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ পর পর মোট ১২ বার পুরস্কার দান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ১০ হাজার ৬৬৭টি অগ্রণী ইউনিট এবং ২২ হাজার ২৯৭ জন অগ্রণী ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালের পর, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ ৫ বছর পর পর জাতীয় আদর্শ শ্রমিক ও অগ্রণী কর্মীদের পুরস্কার করে থাকে এবং প্রতিবার প্রায় ৩ হাজার ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়।
এই ১২ বার সম্মেলন হচ্ছে: ১৯৫০ সালের জাতীয় শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিক আদর্শ বীরদের প্রতিনিধি সম্মেলন; ১৯৫৬ সালের জাতীয় অগ্রণী শ্রমিকদের প্রতিনিধি সম্মেলন; ১৯৫৯ সালের শিল্প, যোগাযোগ ও পরিবহন, বুনিয়াদী গঠনকাজ, অর্থ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজের জাতীয় অগ্রণী ইউনিট ও অগ্রণী শ্রমিকদের প্রতিনিধি সম্মেলন, ১৯৬০ সালের শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যরক্ষা, ক্রিড়া, তথ্য ক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজে জাতীয় অগ্রণী ইউনিট ও অগ্রণী শ্রমিকদের প্রতিনিধি সম্মেলন; ১৯৭৭ সালের শিল্প ক্ষেত্রে তাছিংয়ের কাছ থেকে শিখা সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলন; ১৯৭৮ সালের জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন আর অর্থ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে তাছিং ও তাচাই থেকে শিখা সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলন; ১৯৭৯ সালের রাষ্ট্রীয় পরিষদের আয়োজিত শিল্প যোগাযোগ, বুনিয়াদী গঠনকাজের ক্ষেত্রে জাতীয় অগ্রণী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও জাতীয় আদর্শ শ্রমিকদের পুরস্কার দান সম্মেলন এবং কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যরক্ষা, বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে জাতীয় অগ্রণী ইউনিট ও জাতীয় আদর্শ শ্রমিকদের সম্মেলন; ১৯৮৯ সালের জাতীয় আদর্শ শ্রমিক ও অগ্রণী কর্মীদের পুরস্কার দান সম্মেলন ; ১৯৯৫ সালের জাতীয় আদর্শ শ্রমিক ও অগ্রণী কর্মীদের পুরস্কার দান সম্মেলন; ২০০০ সালের জাতীয় আদর্শ শ্রমিক ও জাতীয় অগ্রণী কর্মীদের পুরস্কার দান সম্মেলন।
জাতীয় আদর্শ শ্রমিক হচ্ছে সাধারণ শ্রমিকদের পাওয়ার যোগ্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং মানুষদের শিখার নিদর্শন ও আদর্শ। গত ৫৫ বছরে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ শ্রমিকদের নির্বাচনের আওতাও পরিবর্তিত হয়েছে। প্রথম দিকের সম্মুখ উত্পাদন ফ্রন্টের শ্রমিক থেকে বুদ্ধিজীবী পর্যন্ত, তারপর শিল্পপতি, শহরে প্রবেশকারী কৃষক এমনকি বিখ্যাত ক্রিড়ার পপ-স্টার্ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।
আদর্শ শ্রমিকদের পুরস্কার দানের কাজ শুরু হবার ৫০ বছরে, অগ্রণী আদর্শ শ্রমিক ও তাদের মনোবল প্রচারের মাধ্যমে , গোটা সমাজে আদর্শ শ্রমিকদের থেকে শিখা, তাদেরকে সম্মান করা, তাদের যত্ন নেয়া এবং আদর্শ শ্রমিক হবার নতুন রীতি গড়ে উঠেছে।
|