গত তিন বছরের মধ্যে সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু শহরে মোট ৪১০টি আধুনিক মানের গ্রামীণ মানদন্ডকরণ স্কুল নির্মিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৬ লাখ ছাত্রছাত্রী নতুন স্কুলে লেখাপড়া করতে পারছে।
২০০৪ সালের জুন মাস থেকে ছেংতু শহর সার্বিকভাবে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে গ্রামীণ স্কুলগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা, পুরোপুরিভাবে পুরানো বাড়িঘরের পরিবর্তে আধুনিক ভবন নির্মাণ এবং শহর ও গ্রামের শিক্ষার উন্নয়নে ভারসাম্য উন্নয়নকে ফিরিয়ে আনা।
*চিয়াংসু প্রদেশের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে খাদ্যশস্য চাষবাস করা কৃষকদেরকে সরাসরি ভর্তুকি প্রদান শুরু করার পর এ পর্যন্ত চিয়াংসু প্রদেশের সরকারী ভর্তুকির পরিমাণ ৫২৮.৮ কোটি ইউয়ান রেনমিনপিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে সারা প্রদেশের ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশী গ্রামীণ পরিবার এবং ৩ কোটিরও বেশী কৃষক এতে উপকৃত হয়েছে।
*চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছেন চু সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় পরিষদের এক সম্মেলনে বলেছেন, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নতুন সহযোগিতামূলক চিকিত্সা গ্রহণকারী লোকের সংখ্যা হবে ৭২ কোটি। তা সারা দেশের গ্রামীণ লোকের ৮২.৮৩ শতাংশ।
*চেচিয়াং প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ জরীপ থেকে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের নতুন সহযোগিতামূলক চিকিত্সা গ্রহণকারী ৯৩ শতাংশ কৃষক এ ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।
চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত চেচিয়াং প্রদেশের ৮৭টি জেলায় গ্রামাঞ্চলের নতুন সহযোগিতামূল চিকিত্সা ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং মোট ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার কৃষক সুবিধা ভোগ করেছেন। (লিলি)
|