v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-18 20:04:35    
চীনের সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত অনুষ্ঠান(২)

cri

    কঃ চিং ছেন হলেন সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের বিশ্বের বিভিন্ন জাতি'র সঙ্গীত বিষয়ের মাস্টাসের ছাত্রী। তিনি আগে অনেক বার রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনেছেন কিন্তু এই প্রথম বার সরাসরি বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনা দেখেছেন। তিনি বলেছেন: 

    (রি ৬)

    কঃ "খুবই ভাল লেগেছে। পুরোপুরি এক রকম নতুন অনুভূতি। আগে আমি রবী ঠাকুরের নাম শুনেছি একজন বিশ্ব বিখ্যাত লেখক হিসেবে। পরে বিশ্বের বিভিন্ন জাতি'র সঙ্গীত বিষয় পড়ার পর জেনেছি তিনি সঙ্গে সঙ্গে একজন মহান সঙ্গীত শিল্পীও ছিলেন। আগে তার গান শুনেছি কিন্তু এবার বাংলাদেশের শিল্পীর কাছ থেকে এসব গান শুনতে পেরে খুব আনন্দিত হয়েছি। চমত্কার! তাদের গান শুনে সত্যি সত্যি আমি মুগ্ধ হয়েছি। তাদের গানে একরকম সৌন্দর্য রয়েছে যা আমার আবেগকে কেড়ে চড়িয়ে দিয়েছে। অপুর্ব!"

    কঃ এবারের অনুষ্ঠানে শুধু বাংলাদেশের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেছেন তা নয়, সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের কিছু ছাত্রীও চীনের ঐতিহ্যিক সঙ্গীত যন্ত্রপাতি দিয়ে দুটি বাংলা সঙ্গীতের সুর বাজিয়েছে।

    খঃ হ্যাঁ, সেটা অপুর্ব হয়েছে। আচ্ছা, শ্রোতা বন্ধুরা, একটু শুনুন, এই সঙ্গীত আপনারা ধরতে পারেন কিনা।

    (রি ৭)

    খঃ "তোমার হলো শুরু, আমার হলো সারা"।

    কঃ শুনে একটু অন্য রকম লাগে, তাই না সালাউদ্দিন?

    খঃ হ্যাঁ।

    কঃ আচ্ছা, এই অনুষ্ঠানে আমি এবং আমার সহকর্মী সিয়ে নান নজরুলের একটি কবিতার চীনা অনুবাদ পাঠ করেছি।

    খঃ আচ্ছা।

    কঃ উল্লেখ্য, এসব গান বা কবিতার অনুবাদ সি.আর.আইয়ের প্রবীণ সহকর্মী বাই খাই ইয়ুয়েন করেছেন। তাঁর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় চীনা দর্শকরা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো শুনতে পেরেছেন।

    খঃ হ্যাঁ, কবিতা অনুবাদ করা আসলেই কঠিন কাজ।

    কঃ হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন অভিনয় করেছেন শিল্পী অনুপ বড়ুয়া। তিনি অনেক দিন ধরে ক্লাসিকাল সঙ্গীত শিখেছেন। তিনি বলেছেন, চীনে আসা আসলে তাঁর স্বপ্ন ছিল। এবারের সুযোগের মাধ্যমে তার স্বপ্ন পুরণ হয়েছে।

    (রি ৮)

    কঃ সালাউদ্দিন, রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং নজরুল সঙ্গীতের তুলনা করলে কী কোন পার্থক্য রয়েছে? আপনি কী মনে করেন?

    খঃ আমি মনে করি তাদের নিজের বৈশিষ্টময় রয়েছে।

    কঃ আচ্ছা, আমরা একসাথে শুনি নজরুলের কিছু গান।

    (রি ৯)

    খঃ উল্লেখ্য যে, দু'জন শিল্পীর জন্য তবলা বাজিয়েছেন একজন মার্কিন মেয়ে। তাঁর নাম আজালিয়া বার্চ। তিনি নেপালে জন্ম গ্রহন করেছেন। ছোটবেলায় তার দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গীত শুনতে ভাল লাগতো।

    কঃ এবং তার তবলা বাজানো সত্যি ভাল হয়েছে। তাঁর পরিবেশনাও দর্শকদের অনেক করতালি পেয়েছে।

    খঃ একজন দর্শক তিনি নিজেই একজন শিল্পী। এবারের অনুষ্ঠান শুনে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেছেন:

    (রি ১০)

    "বাংলাদেশের সঙ্গীত খুব সুন্দর। আমি ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানে দক্ষিণ এশীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। আমি মনে করি দক্ষিণ এশীয় সঙ্গীত সহজেই আমার মনের আবেগ ছুঁতে পারে। তাই এসব গান শুনতে আমার খুব ভাল লাগে।"

    কঃ ছেন জি মিং হলেন এবারের সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের অধ্যাপক। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন জাতি'র বৈচিত্রময় সঙ্গীত নিয়ে গবেষণা করেন। এবারের অনুষ্ঠান আয়োজনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

    খঃ তিনি নিজেই বাংলাদেশের গান নিয়ে আগ্রহী। এবং এ ক্ষেত্রে গবেষণা করছেন। তিনি বলেছেন:

    (রি ১১)

    খঃ"বাংলাদেশের গান খুব বৈশিষ্টময় এবং সমৃদ্ধ। বিভিন্ন রকমের গান রয়েছে। বাউল, ভাটিয়ালী ইত্যাদি। আমি আশা করি এবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরো বেশি চীনা বাংলাদেশের গান উপভোগ করতে পারেন। এমন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দু'পক্ষ বেশ কিছু শিখতে পারে।"

    কঃ হ্যাঁ, আসলেই। আশা করি ভবিষ্যতে আরো বেশি এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।