v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-18 20:04:47    
চীনের সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত অনুষ্ঠান(১)

cri
    কঃ প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, আপনারা সবাই ভাল আছেন? আমি ইয়াং ওয়েই মিং। সংস্কৃতি সম্ভার অনুষ্ঠান নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হামির হয়েছি। আমি ইয়াং ওয়েই মিং। আমার সঙ্গে আছেন আবাম সালাউদ্দিন।

    খঃ শ্রোতা বন্ধুরা, আপনাদের একরাশ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।

    কঃ সালাউদ্দিন, আমি বিশ্বাস করি আজকের অনুষ্ঠান শুনে শ্রোতা বন্ধুরা খুব আনন্দিত হবেন। কি মনে করেন?

    খঃ হ্যাঁ, কারণ আজকের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠান আমরা শ্রোতা বন্ধুদের জানাবো।

    কঃ হ্যাঁ, তারপর অলিম্পিক বিষয়ক একজন ফটোগ্রাফারের কথা জানাবো।

    খঃ আচ্ছা, তাহলে শুরু করা যাক আজকের অনুষ্ঠানটি।

    (সঙ্গীত)

    কঃ ১৪ সেপ্টেম্বর গত বুধবার চীনের সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকে একটি চমত্কার অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছিল। তাই না, সালাউদ্দিন?

    খঃ হ্যাঁ, বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী এবং সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজি নজরুল ইসলামের সঙ্গীত পরিবেশনসহ তাদের কবিতাও আবৃত্তি করেছে।

    কঃ অনুষ্ঠানটি খুব চমত্কার ছিল। এবং সঙ্গীতগুলো শোনার পর অনেকেই বলেছেন, অপুর্ব। সবাই আশা করেছেন যে ভবিষ্যতে আবার এধরনের অনুষ্ঠানে আসার সুযোগ পাবেন

    খঃ আসলেই বাংলাদেশের সঙ্গীত খুব সমৃদ্ধ। চীনের সঙ্গীতও সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্রময়। যদি দু'দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আরো বেশি বিনিময় হয় তাহলে দু'দেশের জনগণের জন্য অনুকূল।

    কঃ আচ্ছা, সালাউদ্দিন, তাহলে আমরা এখনই এই অনুষ্ঠানের কথা শ্রোতা বন্ধুদের জানাবো। কেমন?

    খঃ আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন শুনুন বরী ঠাকুর কাজি নজরুলের সঙ্গীত অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান।

    (নজরুলের একটি সঙ্গীত)

    কঃ সঙ্গীত অনুষ্ঠানটি সেনট্রাল কনসার্ভেটরি অব মিউজিকের মিউজিক হলে অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়েছিল। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য গিয়েছেন।

    খঃ হ্যাঁ, মিউজিক হলের সকল আসন ভরে গিয়ে ছিল। অনেকেই সিঁড়ির উপরে বসেছিলেন। বাংলাদেশের নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    কঃ এতো বেশি বাংলা সঙ্গীত প্রিয় চীনা বন্ধুদের দেখে রাষ্ট্রদূত খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেছেন:

    (রি ১)

    কঃ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ফৌয়াজ মুরশীদ কাজী এবং চীনের যোগাযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা শেখা ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে রবী ঠাকুরের একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন।

    (রি ২)

    কঃ এই কবিতা কেমন পটভূতিতে তৈরী করা হয়েছে, সালাউদ্দিন আপনি জানেন?

    খঃ ১৯২৪ সালে ঠাকুর চীন সফর করেছেন। চীনের বিখ্যাত কবি স্যুই জি মো'র সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল। তখনকার চীনের সংস্কৃতি ক্ষেত্রের ব্যক্তিরা তাঁর ৬৪ বছর জন্মদিনে তাঁর জন্য একটি উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে তাঁকে একটি চীনা নাম দেন।   

    কঃ হ্যাঁ, তারা তাঁকে জু জেন তান নামটি দিয়েছিলেন। জুন হলো থিয়েন জু, প্রাচীনকালে চীনা মানুষরা ভারতকে থিয়েন জু ডাকে। রবীন্দ্র মানে সুর্য, বিদ্যুত। তাই জেন তান মানে সারা পৃথিবীকে চমকে দেয়া। তাঁর সারা বিশ্বে বিখ্যাত হওয়ার কামনা করেছে।

    খঃ তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার পর চীন সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন।

    কঃ আচ্ছা, এবং তাহলে আমরা একসঙ্গে শুনি কবিতাটি।

    (রি ৩)

    খঃ ঠাকুরের সঙ্গীত গায়িকা অদিতি মহসিন রবিন্দ্রনাথের নয়টি গান গেয়েছেন। এতে রয়েছে "জগতে আনন্দ জাগিয়ে আমার নিমন্ত্রণ", আমি কান পেতে রই ইত্যাদি।

    কঃ তিনি খুব ভাল গেয়েছেন। শ্রোতারা রবী ঠাকুরের গান এত পছন্দ করে দেখে তিনি খুব মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেছেন:

    (রি ৪)

    খঃ আচ্ছা, তাহলে আমরা একসাথে শুনি তার গানটি।