v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-09-13 19:03:45    
শিনজো আবের পদত্যাগ

cri
   জাপানের প্রধান মন্ত্রী শিনজো আবে বুধবার পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পর জাপানের ক্ষমতাসীন পাটি লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পাটি জানিয়েছে , আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শিনজো আবের উত্তরসুরিনির্বাচিত হবে। একটি খবরে বলা হয়েছে, পাটির চেয়ারম্যান তারো আসোর নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিকপাটি শিনজো আবের উত্তরসুরি খুঁজতে শুরু করবে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পাটি আরও জানিয়েছে যে, সংক্ষিপ্ত উদ্ধতিতে শিনজো আবের উত্তরসুরি হিসেবে প্রার্থী মনোয়ন করা হবে। কে শিনজো আবের স্থালাভিসিক্ত হয়ে জাপানের নতুন প্রধান মন্ত্রী হবেন এবং শিনজো আবের ঝটিকা পদত্যাগ জাপানের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতির ওপর কী নী প্রভাব ফেলবে তা আলোচিত বিষয়ে পরিণত হচ্ছে।

   প্রথমত: জনমতের মনোযোগ হল কে শিনজো আবের উত্তরসুরি হবেন।

জাপানের তথ্য মাধ্যমগুলোর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, লিবারেল ডেম্রক্র্যাটিকপাটির চেয়ারম্যানের প্রার্থীদের মধ্যে পাটির বতর্মান চেয়ারম্যান তারো আসো সবচেয়ে জনপ্রিয়। তিনি এক সময় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা বেশী। তা ছাড়া, তিনি জনগণের

    মধ্যে খুব জনপ্রিয় এবং তার সমর্থকের সংখ্যাও বেশী। সাবেক অর্থ মন্ত্রী তানিগাকি সাদাকাজুকেও একজন শক্তিশালী প্রার্থী বলে গণ্য করা হয়। তিনি শিনজো আবের পররাষ্ট্র নীতির বিরোধীতা করতেন এবং সব সময় শিনজো আবের থেকে দূরে থাকতেন। সুতরাং তিনি সম্ভবত শিনজো আবের নীতি পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে জনগণের ভোট অর্জন করতে পারেন। এ ছাড়া, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিকপাটির প্রবীণ সদস্য সাবেক মন্ত্রিসভারমহা সচিব এবং বতর্মান মন্ত্রিসভারমহা সচিবেরও কিছু সমর্থক আছে।

    দ্বিতীয়তঃ জনমতের মুনোযোগ হল কী পদ্ধতিতে শিনজো আবের উত্তরসুরি নির্বাচিত করা যায়। সবাই জানেন যে, সাধারণত ক্ষমতাসীন পাটির চেয়ারম্যানজাপানের প্রধান মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত হন। বতর্মানে তার উত্তরসুরি লিবারেল ডেমোক্র্যাটিকপাটি জাপানের ক্ষমতাসীন পাটি। সুতরাং এ পাটির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ার পর ,এই নতুন চেয়ারম্যান আপনাআপনি জাপানের নতুন প্রধান মন্ত্রী হবেন।

    অতীতে পাটির অভ্যন্তরের বিভিন্ন দলের নেতাদের মধ্যে গোপনীয় বৈঠকের মাধ্যমে এ পাটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতো। কিন্তু এখন পাটির অভ্যন্তরেএ ধরনের পদ্ধতিতে চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। জাপানের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিকপাটির অনেক নেতা বলেছেন, গোপনীয় বৈঠকে পাটির চেয়ারম্যান নির্বাচন করা ঠিক নয়, বরং চেয়ারম্যান নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। কিন্তু কেউ কেউ মনে করেন, নতুন প্রধান মন্ত্রী যাতে সময় মতো জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে পারেন সেই জন্য আগামী সপ্তাহে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা উচিত।

    শিনজো আবে হঠাত পদত্যাগ করার পর জাপানের রাজনৈতিক মঞ্চে বিরাট আড়োলনের সৃষ্টি হয়েছে। শিনজো আবের উত্থাপিত ' সন্ত্রাস দমনের বিশেষ পদক্ষেপ আইনের' কাযর্করীতা অব্যাহত রাখা যায় কি না তা একটি রহস্যময় বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বরের পর জাপানের রক্ষী বাহিনী মার্কিন সেনাদের কাছে তেল সরবরাহ করতে পারবে কি তাও একটি সাংঘাতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তা ছাড়া, ১০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসে বক্তৃতা দেয়ার সময় শিনজো আবে দ্বীর্থহীনভাবে জানিয়েছেন, তিনি সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যেমন রাজধানী ও অন্যান্য জায়গার মধ্যে পার্থক্য কিভাবে কমানো হবে। নতুন প্রশাসনের উপর জনগণের আস্থা পুনর্রায় ফিরে আনার জন্যে তিনি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আর্বিভুত দূর্নীতি কেলেকারী মোকাবেলার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু তার সংকল্প বাস্তবায়িত হয়ার আগে তিনি পদত্যাদ করেছেন। এ সব অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হতে পারে কিনা তা সমস্যাসাপেক্ষ। শিনজো আবে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া সহ প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক সক্রিয়ভাবে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন এবং এ ক্ষেত্রে কিছুটা ইতিবাচক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তার উত্তরসুরি শিনজো আবের পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করবেন কি না তাও জনগণের মুনোযোগী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।