২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আবে শিনজো জাপানের ৯০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
২৯ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের লোকসভার পূর্ণাঙ্গ সম্মেলনে তার প্রশাসনিক ভাষণে জোর দিয়ে বলেছেন, 'স্বতন্ত্র কূটনীতি' জোরদার করার পাশাপাশি অধিকতরভাবে জাপান-মার্কিন আস্থাকে সুসংহত করা, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা। আরো বেশী প্রশাসনিক ও শিক্ষামূলক সংস্কার কার্যকর করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংবিধান সংশোধন করা।
৮ ও ৯ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও'র আমন্ত্রণে আবে শিনজো আনুষ্ঠানিক চীন সফর করেন। দু'দেশের নেতৃবৃন্দ দু'দেশের সম্পর্ককে উন্নত ও জোরদার করার ব্যাপারে নতুনভাবে মতৈক্য পৌঁছেছেন। চীন—জাপান সম্পর্ক ৫ বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের পর এখন নিরচছিন্নাববে উন্নয়নের পথে চলছে।
১০ অক্টোবর, জাপানের লোকসভার বাজেট কমিটিতে বিভিন্ন পার্টির প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় তিনি বলেছেন, জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিহীন সংক্রান্ত তিনটি মৌলিক নীতি পরিবর্তন করা হয় নি।
২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারী, জাপানের প্রতিরক্ষা বিভাগকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। আবে প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা কিয়োমা কুমিওকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।
২৬ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। দু'দেশের নেতৃবৃন্দ মার্কিন—জাপান কৌশলগত ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোরালো করা, ইরাক যুদ্ধ, ইরান ও কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণুসহ বিভিন্ন ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। আবে 'প্রমোদ বালা সমস্যার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত, আবে পর পর সৌদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার ও মিসর এই ৫টি দেশ সফর করেছেন।
৩ জুলাই কিয়োমা কুমিওকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদ ত্যাগ বাধ্য করেন। ৪ জুলাই, সংবাদদাতাদের প্রশ্নোত্তর দেয়ার সময় বলেছেন, পরমাণু বোমা নিক্ষেপ জনিত ব্যাপারে ক্ষমা না করার সমস্যায় জাপানের দৃষ্টিভংগীর পরিবর্তন করে নি।
২৯ জুলাই, জাপানের কংগ্রেসের লোকসভার নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ব্যর্থ হয়। বৃহত্তম বিরোধী পার্টি গণতান্ত্রিক পার্টি বিজয়ী হয়ে সিনেটের প্রথম বৃহত্তম পার্টি হয়।
২৭ আগস্ট, আবে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ঢেলে সাজান এবং মন্ত্রীসভা পুনর্গঠন করেন।
৯ সেপ্টেম্বর, আবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বলেছেন, যদি জপাপনের কংগ্রেস 'সন্ত্রাসদমন সংক্রান্ত বিশেষ ব্যবস্থা আইন'-এর সময় বাড়ানোর অনুমোদন না দেয়, তাহলে তিনি পদ ত্যাগ করবেন।
|